বিশ্বকাপ ফুটবল শেষ হলেও তার রেশ এখনো কাটেনি, ফুটবল প্রেমীরা এখনো চালাচ্ছে সেই নিয়ে চর্চা, আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হলো বিশ্বকাপ বিজেতা লিওনেল মেসি (Lionel Messi), নিজের দক্ষতায় কিভাবে বিশ্বকাপ জেতা যায় তা দেখালেন লিও, ফাইনাল ম্যাচটির কথা গত একসপ্তাহ ধরে সবার মুখে মুখে, তবে কাপ জিততে পিছুপা হয়নি ফ্রান্স, হারের মুখ থেকে সমতা ফেরায় এমবাপের হ্যাটট্রিক, তবুও টাই ব্রেকারে মিললো না জয়, এক কথায় কাপ যুদ্ধ শেষ হয়েও শেষ হয়নি। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পরেও উঠছে প্রশ্ন, এমনকি খানিক বিতর্ক বাড়ালেন ক্রোয়েশিয়ার সুন্দরী ইভানা নল (Ivana Knoll)। চলতি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই নজর কেড়েছিলেন এই ক্রোয়েশিয়ান মডেল। তার বিতর্কের মূল বিষয়বস্তু হলেন লিওনেল মেসি।
মেসির উপর ক্ষুব্ধ ক্রোয়েশিয়ান সুন্দরী
কাতারের কঠোর পোশাকবিধি নিয়ে তখন নাজেহাল ছিল ইউরোপের দেশগুলি। কারণ খোলামেলা পোশাককেই বেশি আরামদায়ক মনে করে থাকে তারা, তবে এসব বাঁধার তোয়াক্কা করেননি ইভানা, খোলামেলা পোশাকেই উপস্থিত হয়েছিলেন, এমনকি বিকিনি পরেও আপলোড করেছে ফটো। এমনকি অনেকেই বলেছিলেন, পোশাকবিধি ভাঙার জেরে তাঁর জেল পর্যন্ত হতে পারে। তবে কোনো কিছুই তোয়াক্কা করেননি ইভানা, বিশ্বকাপের শুরু থেকে শেষ অবধি তাঁর পোশাকের বাহারেরও হয়েছে পরিবর্তন, দিনদিন তার পোশাকের পরিবর্তনের সাথে সাথে ফিফার প্রতি ক্ষোভ ও বৃদ্ধি পেয়েছিল। ইভানা মূলত ক্ষুব্ধ হয়েছেন মেসির উপর।
Ivana or Messi ?! 🥵 ⚽ 🔥
Testing how loyal Argentina fans are at the World Cup with @knolldoll #argentina #croatia #worldcup #football #messi #foryou #fyp #ivana #ivanaknoll #riidafilms pic.twitter.com/lWoakMFRYR— RIIDA FILMS (@riidafilms) December 23, 2022
গোল্ডেন বল জেতার যোগ্য নন মেসি
গোটা বিশ্বকাপে মেসি ছিলেন অসাধারণ, তাকে আটকাতে পারেননি কোনো প্লেয়ারই, গোল করা নয়, এসিস্ট করেছেন একেরপর এক বল, আর ফাইনালে যেভাবে নিজের দলকে জিতিয়েছেন মেসি, তাতে ফিফা গোল্ডেন বল তুলে দিয়েছে মেসির হাতে, তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন ইভানা। ফাইনাল শেষের পর নিজের মনের কথা জানিয়েছেন তিনি। তার মতে গোল্ডেন বলের যোগ্য দাবিদার হলেন কিলিয়ান এমবাপের (Kylian Mbappe)। ‘ফিফা’কে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ভুল মানুষের হাতেই গোল্ডেন বল তুলে দিয়েছে ফিফা। আর্জেন্টিনা জিতেছে ঠিক আছে, তবে সত্যিকারের গোল্ডেন বল জেতার দাবিদার মেসি নন, তবে তিনি কিলিয়ানই।” মাত্র ২৩ বছর বয়সে বিশ্ব রেকর্ড থেকে কিছুটা দূরে ছিলেন কিলিয়ান, বিশ্বকাপ জুড়ে তিনিও ফ্রান্সের পোস্টার বয় ছিলেন, তবে ফাইনালে শেষ হাসিটা হাসলেন ম্যাজিশিয়ান লিওনেল মেসি।