রাহুল দ্রাবিড় ভারতীয় দলের হয়ে খুব বেশি অধিনায়কত্ব করতে পারেননি কিন্তু এর মধ্যেও তিনি নিজের নেতৃত্বে বেশকিছু কৃতিত্ব গড়ে দেখিয়েছেন। যার ফলে তিনি বহু খেলোয়াড়ের পছন্দের অধিনায়কও হয়ে গিয়েছেন। প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান রাহুল দ্রাবিড়ের দারুণ প্রশংসা করেছেন এছাড়াও তিনি রাহুলকে নিজের পছন্দের অধিনায়কও বলেছেন।
রাহুল দ্রাবিড়ের অধিনায়কত্বের জমিয়ে প্রশংসা করেছেন ইরফান পাঠান
দীর্ঘ সময় পর্যন্ত যতই রাহুল দ্রাবিড় ভারতীয় দলের হয়ে অধিনায়কত্ব না করুন কিন্তু তারপরও তার নেতৃত্বে খেলা বেশিরভাগ খেলোয়াড় তাকে অধিনায়ক হিসেবে অনেক বেশি পছন্দ করেন। সেই তালিকায় একটি নাম হলো ইরফান পাঠান। জোরে বোলিং অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান স্পোর্টস তককে দেওয়া একটি ইন্টারভিউতে রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বের জমিয়ে প্রশংসা করে বলেন,
“অনেক মানুষ জানেন যে দাদা আমার প্রথম অধিনায়ক ছিলেন। উনি আমাকে অনেক বেশি ব্যাকও করেছিলেন। অনিল কুম্বলে খুব বেশি সময় পর্যন্ত দলের অধিনায়কত্ব করতে পারেননি। নিজের অধিনায়কত্বে মহেন্দ্র সিং ধোনি সবকিছু হাসিল করে ফেলেছেন। কিন্তু আমার রাহুল দ্রাবিড়ের অধিনায়কত্বে খেলা অনেক বেশি পছন্দের ছিল। কারণ ওই সময় তার অধিনায়কত্বে সম্পূর্ণভাবে কথাবার্তা হতে থাকত”।
রাহুল দ্রাবিড় নিয়ে গিয়েছিলেন ইরফানকে ফিল্ম দেখাতে
তারকা রাহুল দ্রাবিড়ের অধিনায়কত্বেই ভারতীয় দল ২০০৭ বিশ্বকাপে লজ্জাজনক হারের মুখে পড়তে হয়েছিল। ভারতীয় দলের ওই খারাপ সময়কেও ইরফান পাঠান স্মরণ করেছেন। সেই সময় রাহুল দ্রাবিড় তাকে ফিল্ম দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। যে ব্যাপারে বলতে গিয়ে ইরফান বলেন যে,
“অনেক মানুষ এই ব্যাপারে কথা বলেন না, কিন্তু রাহুল দ্রাবিড়ের অধিনায়কত্বেই আমরা সবচেয়ে বড়ো লক্ষ্য তাড়া করার রেকর্ড গড়েছিলাম। ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার তিনদিন পরে। আমরা সকলে একটা ঘরে বসেছিলাম, সকলেই খুব বেশি হতাশ ছিলেন যখন রাহুল দ্রাবিড় আমাদের ডাকেন আর আমরা ‘৩০০’ ফিল্মটি দেখতে যাই”।
ধোনি আর ইরফানের ব্যাপারেও বলেছিলেন দ্রাবিড়
মহেন্দ্র সিং ধোনি আর ইরফান পাঠানের ব্যাপারে রাহুল দ্রাবিড় বড়ো বয়ান দিয়েছিলেন। যে ব্যাপারে ইরফান বলেন যে,
“কিছুক্ষণ পরে তিনি আমাকে বলেছিলেন যে ইরফান এটা পৃথিবীর শেষ হয়। তুমি অনেক ক্রিকেট খেলেছো আর ভবিষ্যতেও অনেক খেলবে। এটা খারাপ ছিল যে আমরা হেরে গিয়েছি, তুমি আর ধোনি ভারতের হয়ে অনেক ক্রিকেট খেলবে। ওনার কথাগুলো আমাদের অনুভব করিয়েছিল যেনো আমরা মরিনি বরং এখনো বেঁচে আছি”।