IPL 2025: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হতে পারে আইপিএলের (IPL) আঠারোতম মরসুম। ক্যালেন্ডারের হিসেবে এখনও পাঁচ-ছয় মাস বাকি। কিন্তু এখন থেকেই বিসিসিআই আয়োজিত ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ টুর্নামেন্ট ঘিরে উত্তেজনা চরমে। নেপথ্যে মেগা অকশন। দলবদলের বাজারে কোন তারকা নাম লেখান কোন দলে তা জানতে এখন থেকেই কৌতূহলী ক্রিকেটজনতা। গত ৩১ জুলাই এই মেগা অকশন নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সাথে মুম্বইতে বৈঠকে বসেছিলো বিসিসিআই। আলোচনা হয় ক্রিকেটারদের রিটেনশন ও রিলিজ নিয়েও। বিভিন্ন দলের কর্মকর্তারা দাবীদাওয়া পেশ করেন বোর্ডের কাছে। সবকিছু পর্যালোচনা করে গত ২৯ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সামনে এনেছে দেশের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। নতুন বেশ কিছু নিয়ম যুক্ত হয়েছে আইপিএলে। ফেরানো হয়েছে কিছু পুরনো নিয়ম’ও।
Read More: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে T20 দল থেকে ছিটকে গেল শিবম দুবে, রোহিতের প্রধান অস্ত্র নিলেন এন্ট্রি !!
রিটেনশন সংক্রান্ত নিয়মবিধি প্রকাশ বোর্ডের-
কলকাতা নাইট রাইডার্স, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মত দলের তরফ থেকে ৭টি বা ৮টি রিটেনশন স্লট চেয়ে সওয়াল করা হয়েছিলো। কিন্তু তা মেনে নেন নিন জয় শাহ, রজার বিনি’রা। বদলে সর্বোচ্চ ৫ জন ক্রিকেটারকে ‘রিটেন’ করার সিদ্ধান্তে দেওয়া হয়েছে সিলমোহর। ২০২২-এর মেগা অকশনের আগে এই সংখ্যাটা ছিলো ৪। তখন নির্দিষ্ট পরিমাণ ভারতীয় ও বিদেশী খেলোয়াড়দের রিটেনশন ‘কোটা’ও রেখেছিলো বিসিসিআই। এবার সেসব আর নেই। ৩১ জুলাইয়ের বৈঠকে কথা হয়েছিলো রাইট টু ম্যাচ বা আরটিএম বিকল্প নিয়েও। এই পদ্ধতিতে ‘রিলিজ’ করে দেওয়া কোনো খেলোয়াড়’কে তাঁর নিলামে পাওয়া সর্বোচ্চ দামের সমমূল্য প্রদান করে দলে ফেরানো যায়। ২০২২-এ ছিলো না আরটিএম। ২০২৫-এ ফেরানো হয়েছে তা। রিটেনশন ও আরটিএম মিলিয়ে মোট ৬ জন’কে ধরে রাখা যাবে, জানিয়েছে বিসিসিআই।
রিটেনশন স্লটগুলির নির্দিষ্ট মূল্যমান’ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। প্রথম তিনটি রিটেনশনের জন্য খরচ করতে হবে ১৮।,১৪ ও ১১ কোটি টাকা। চতুর্থ ও পঞ্চম স্লটের দাম নির্ধারিত হয়েছে যথাক্রমে ১৮ ও ১৪ কোটি। সর্বোচ্চ পাঁচ জন ‘ক্যাপড’ বা আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ক্রিকেটার ও নূন্যতম একজন ‘আনক্যাপড’ ক্রিকেটারকে ধরে রাখার জন্য রিটেনশন স্লট বা আরটিএম ব্যবহার করতে পারে দলগুলো। ‘আনক্যাপড’ ক্রিকেটারদের জন্য অবশ্য ৪ কোটির বেশী খরচ করতে হবে না ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। ফেরানো হয়েছে ২০২১-এর আগের নিয়ম। কোনো খেলোয়াড় পাঁচ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা বিসিসিআই-এর কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে থাকলে তাঁকে আনক্যাপড হিসেবে ধরা হবে। মহেন্দ্র সিং ধোনি’র মত তারকাকে ‘রিটেন’ করার ক্ষেত্রে এই নিয়ম বড় ভূমিকা নিতে পারে।
বেঙ্গালুরুর রিটেনশন নীতি নিয়ে মুখ খুললেন আকাশ-
সতেরো বছরের চেষ্টাতেও আইপিএল (IPL) ট্রফি আর জেতা হয়ে ওঠে নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ২০২৫-এ ব্যর্থতার সেই ধারাবাহিক চিত্রটা পাল্টাতে চায় তারা। কেমন হতে পারে তাদের রিটেনশন তালিকা? নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তারই একটা আভাস দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রাক্তনী আকাশ চোপড়া (Aakash Chopra)। ১৮ কোটি টাকা মূল্যের প্রথম রিটেনশন যে মহাতারকা বিরাট কোহলির প্রাপ্য তা শুরুতেই স্পষ্ট করেন তিনি। বলেন, “কোনো সন্দেহ নেই যে ১৮ কোটি টাকার প্রথম রিটেনশন বিরাট কোহলির প্রাপ্য। যেমন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও চেন্নাই সুপার কিংস সমার্থক, তেমন কোহলি ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু’ও তাই।” দ্বিতীয় রিটেনশন নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অবশ্য চমকে দিয়েছেন আকাশ। ফাফ দু প্লেসি বা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মত তারকা নয়, তাঁর বাজি ক্যামেরন গ্রিন (Cameron Green)।
আকাশ (Aakash Chopra) জানান, “দ্বিতীয় রিটেনশনের জন্য আমার ভোট পাবে ক্যামেরন গ্রিন। যে মাঠ আপনাদের আছে আর যে দক্ষতা ওর (গ্রিন) রয়েছে, আমি ওকে দিয়ে ওপেন করাতাম এছাড়া ও বোলিং-ও করতে পারে। ওর সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে। ১৪ কোটিতে ‘রিটেন’ হওয়াটা ওর প্রাপ্য। ওকে রেখে দেওয়া উচিৎ। ওকে সব ম্যাচে খেলালে অন্তত ৩টে একাই জয় এনে দেবে।” অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডারের চোটপ্রবণতা রয়েছে। এই মুহূর্তেও পিঠের চোটে কাবু তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে মাঝপথে। পারথ্-এ স্ক্যান’ও হয়েছে তাঁর। সেই বিষয়টিও যে তাঁর নজরে রয়েছে তা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন আকাশ। প্রাক্তনীর সংযোজন “যদিও ওর চোট-আঘাত সমস্যা রয়েছে। পিঠে চোট রয়েছে, প্রশ্ন রয়েছে আগামী বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে খেলা নিয়েও।”