আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা তারপরেই শুরু হতে চলেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ২০২৬ এর নিলাম (IPL 2026)। এবছর প্রথমে ৩৫০ জন ক্রিকেটারকে নিলামের জন্য বাছাই করা হলেও, শেষ মুহূর্তে তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও ১৯ জন। ফলে মোট ৩৬৯ জন ক্রিকেটারকে নিয়েই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবারের মিনি নিলাম। ১০টি আইপিএল দলের হাতে সব মিলিয়ে সর্বাধিক ২৩৭.৫৫ কোটি টাকা খরচ করার সুযোগ থাকছে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো, এবারের নিলামে ৭৭ জন ক্রিকেটার প্রথমবার আইপিএলের মঞ্চে নাম লেখাতে পারেন।
আইপিএল নিলাম মানেই কোটি টাকার দর হাঁকাহাঁকি। অতীতে মিনি নিলামের মঞ্চে এমন দৃশ্য বহুবার দেখা গেছে, যেখানে বিদেশি তারকারা অপ্রত্যাশিতভাবে আকাশছোঁয়া দাম পেয়েছেন। ২০২৪’এর আইপিএল নিলামে মিচেল স্টার্ককে (Mitchell Starc) ২৪.৭৫ কোটিতে এবং সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে প্যাট কামিন্সও (Pat Cummins) ২২ কোটির বেশি দাম পেয়েছিলেন। তবে, এবার চর্চায় রয়েছেন ক্যামেরন গ্রীন (Cameron Green)। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে গ্রীন এবারের আইপিএলে সবথেকে বেশি দর পেতে পারেন। তবে, আকাশ সমান দাম পেলেও তিনি ১৮ কোটির বেশি হাতে পাবেন না। এর পিছনে রয়েছে বিসিসিআইয়ের (BCCI) নতুন নিয়ম।
নতুন নিয়ম চালু করলো BCCI

গত বছর থেকেই আইপিএল নিলাম ব্যবস্থায় বেশ কিছু কড়াকড়ি এনেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। প্রথমত, কোনও বিদেশি ক্রিকেটার আইপিএলে খেলতে চাইলে তাঁকে বাধ্যতামূলকভাবে মেগা অকশনেই নাম নথিভুক্ত করতে হয়। মেগা অকশনে নাম না দিলে তিনি পরের বছরের মিনি নিলামে সরাসরি অংশ নিতে পারবেন না। তবে যদি মেগা অকশনে অবিক্রীত থাকেন, সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে মিনি নিলামে ফের সুযোগ পাবেন। এবছর সেই নিয়ম আরও এক ধাপ এগিয়েছে। বিসিসিআই স্পষ্ট জানিয়েছে, মিনি নিলামে কোনও বিদেশি ক্রিকেটার সর্বোচ্চ ১৮ কোটি টাকা পর্যন্তই পারিশ্রমিক পাবেন। তবে মজার বিষয় হল, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি চাইলে ওই ক্রিকেটারের জন্য ১৮ কোটির বেশি দর হাঁকাতে পারে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড়ের হাতে যাবে শুধুমাত্র ১৮ কোটি টাকা। অতিরিক্ত যে অর্থ উঠবে, তা সরাসরি চলে যাবে বিসিসিআইয়ের ওয়েলফেয়ার ফান্ডে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোনও বিদেশি ক্রিকেটারের জন্য যদি ২০ কোটি টাকার দর ওঠে, তাহলেও তিনি পাবেন ১৮ কোটি। বাকি ২ কোটি জমা পড়বে বোর্ডের তহবিলে। মিনি নিলামে সাধারণত একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির হাতে বড় অঙ্কের টাকা পড়ে থাকে। ফলে নির্দিষ্ট কিছু বিদেশি ক্রিকেটারের জন্য অস্বাভাবিক দর হাঁকার প্রবণতা তৈরি হয়। বিসিসিআই চায় এই ‘মাত্রাছাড়া মূল্যবৃদ্ধি’ বন্ধ করতে। সেই কারণেই বিদেশি ক্রিকেটারদের উপর স্যালারি ক্যাপ বসানো হয়েছে। আইপিএলের আর্থিক ভারসাম্য বজায় রাখতেই এই নতুন নীতি গ্রহণ করেছে বিসিসিআই।