IPL 2025: ২০২৪ সালে আইপিএল (IPL) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। বেগুনি-সোনালী শিবির ছেড়েছেন মেন্টর গৌতম গম্ভীর। দল ছেড়েছেন ফিল সল্ট, শ্রেয়স আইয়ার, মিচেল স্টার্করা। তাঁদের অভাব রীতিমত অনুভব করতে পারছে শাহরুখ খানের দল। উদ্বোধনী ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে হেরে যাত্রা শুরু করেছিলো কলকাতা (KKR)। এরপর দুর্বল রাজস্থান ও সানরাইজার্সের বিপক্ষে জিতলেও লক্ষ্ণৌ, মুম্বই, পাঞ্জাব, গুজরাত টাইটান্সের মত দলের বিরুদ্ধে রীতিমত নাজেহাল হতে হয়েছে অজিঙ্কা রাহানে, অঙ্গকৃষ রঘুবংশীদের। নাইটদের এই ব্যর্থতার পিছনে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলকে (Andre Russell) দায়ী করছেন অনেকে। বর্তমান মেন্টর ডোয়েন ব্র্যাভো’ও আঙুল তুলেছেন তাঁর দিকেই। তবে পরিসংখ্যান বলছে যে বিপর্যয়ের দায় এড়াতে পারেন না রিঙ্কু সিং-ও (Rinku Singh)।
Read More: LSG vs DC: বাদ শার্দুল ঠাকুর ও মোহিত শর্মা, দুই দলের একাদশে এন্ট্রি নিচ্ছেন এই দুই অভিজ্ঞ তারকা !!
রাসেলকে নিয়ে চলছে সমালোচনা-

আইপিএলে (IPL) কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) পরীক্ষিত যোদ্ধা ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell)। ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লীগে যাত্রা শুরু করেছিলেন দিল্লী ডেয়ারডেভিলসের হয়ে। ২০১৪ সাল থেকে বেগুনি-সোনালী শিবিরে রয়েছেন তিনি। ব্যাটিং ও বোলিং-দুই বিভাগেই সময়ের সাথে সাথে হয়ে উঠেছেন দলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ। ২০১৯ সালে ট্রফি জেতে নি কলকাতা। কিন্তু গোটা আইপিএল (IPL) জুড়ে অনবদ্য পারফর্ম্যান্সের জন্য সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার ঝুলিতে ভরেছিলেন রাসেল (Andre Russell)। ২০২৪-এও কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় ট্রফি জয়ের নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন রাসেল। ১৫ ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিলো ২২২ রান। ‘ফিনিশার’ হিসেবে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন তিনি। এছাড়া নিয়েছিলেন ১৯ উইকেট’ও।
গত মরসুমের পারফর্ম্যান্সের ভিত্তিতে এবার ১২ কোটি টাকা খরচ করে রাসেল’কে (Andre Russell) ‘রিটেন’ করেছে নাইট রাইডার্স। যে আস্থা তাঁর প্রতি শাহরুখ খান বা ভেঙ্কি মাইশোররা দেখিয়েছেন তার প্রতিদান অবশ্য এখনও দিতে পারেন নি রাসেল। মরসুমে আট ম্যাচ খেলে ফেলেছে কলকাতা। এর মধ্যে ছয়টিতে ব্যাট করতে নেমেছেন রাসেল। চারটিতে দশের গণ্ডিও পেরোতে পারেন নি। পাঞ্জাব কিংস (PBKS) ও গুজরাত টাইটান্সের (GT) বিরুদ্ধে পরপর দু’টি ম্যাচে রাসেলের সামনে সুযোগ ছিলো ঝোড়ো ইনিংস খেলে ‘ফিনিশার’ হিসেবে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করার। কিন্তু পারেন নি তিনি। তাঁর ব্যাটিং দেখে অনেকেরই মনে হয়েছে যে ‘ফুরিয়ে’ গিয়েছেন ক্যারিবিয়ান তারকা। বল হাতেও বিশেষ সফল নন তিনি এই বছর। এখনও অবধি নিয়েছেন কেবল ৬টি উইকেট।
হতাশ করেছেন রিঙ্কু সিং’ও-

২০২৩ সালে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে পরপর পাঁচ ছক্কা মেরে নাইট রাইডার্সকে এক অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছিলেন রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। এরপর রাতারাতি বদলে গিয়েছিলো তাঁর দুনিয়া। সুপারস্টার হয়ে উঠেছিলেন উত্তরপ্রদেশের বাম হাতি। ডাক এসেছিলো জাতীয় দলের। ২০২৩ মরসুমের পর নাইট (KKR) শিবিরেও কদর বেড়েছিলো রিঙ্কু’র। ২০২৪-এ প্রত্যেকটি ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ২০২৫-এও ১৩ কোটি টাকা খরচ করে ‘রিটেন’ করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু খ্যাতি বাড়ার সাথে সাথে পারফর্ম্যান্সের গ্রাফ যেন ক্রমেই নীচের দিকে যাচ্ছে তাঁর। চলতি মরসুমে এখনও অবধি হতাশই করেছেন তিনি। লক্ষ্ণৌ ও সানরাইজার্সের বিপক্ষে যথাক্রমে ৩২ ও ৩৮* ছাড়া কোনো উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলতে পারেন নি। গতকাল সুযোগ ছিলো ম্যাচ জিতিয়ে নায়ক হওয়ার। কিন্তু ১৭ করেই ফিরেছেন সাজঘরে।