IPL 2025: অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আজ মুখোমুখি দিল্লী ক্যাপিটালস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স (DC vs KKR)। টসে জিতে প্রথম বোলিং-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো স্বাগতিক দল। গুরবাজ, রাহানে, নারাইনদের ক্যামিও শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করায় নাইটদের। ভালো খেলেন অঙ্গকৃষ রঘুবংশী বা রিঙ্কু সিং-রাও (Rinku Singh)। ২০ ওভারে গত বারের চ্যাম্পিয়নরা তোলে ২০৪ রান। রান তাড়া করতে নামা দিল্লীর বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে চালকের আসনে বেগুনি-সোনালী শিবিরই। দ্রুত প্রথম উইকেট হারিয়েছিলো ক্যাপিটালস (DC) শিবির। আজ রান পান নি কে এল রাহুল’ও। একটা সময় লড়াই জারি রেখেছিলেন ফাফ দু প্লেসি ও অক্ষর প্যাটেল। কিন্তু ফিরেছেন তাঁরাও। ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে হয়ত জয়ের দিকেই এগোচ্ছে কলকাতা। কিন্তু সাফল্যের মাঝেও তাদের চিন্তা বাড়িয়েছে অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানের আঙুলের চোট।
Read More: “খান সাহেব একটা অনুরোধ ছিলো…” শাহরুখের মহানুভবতা নিয়ে মুখ খুললেন ওয়াসিম আক্রম !!
দিল্লী ইনিংসের ১২তম ওভারে বোলিং করছিলেন আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell)। অফ স্টাম্পের বাইরে তাঁর হাফভলিতে সজোরে ড্রাইভ মারেন ফাফ দু প্লেসি। এক্সট্রা-কভার অঞ্চল দিয়ে বল যাচ্ছিলো বাউন্ডারির দিকে। মরিয়া হয়ে শরীর ছুঁড়ে তা রুখতে চেষ্টা করেন নাইট রাইডার্স অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। সম্পূর্ণ সফল হন নি তিনি। বল বাউন্ডারি অবধি না গেলেও রাহানের (Ajinkya Rahane) আঙুলে লেগে ছিটকে যায়। এক রান পান দিল্লী ক্যাপিটালসের দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার। তবে ফিল্ডিং-এর সময় আঙুলে চোট লাগে নাইট অধিনায়কের। সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। ডাগ-আউটে চলে শুশ্রূষা। সহ-অধিনায়ক ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে আগেই বাইরে পাঠিয়ে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামানো হয়েছে বৈভব আরোরাকে। ফলে রাহানের অবর্তমানে কার্যনির্বাহী অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গিয়েছে সুনীল নারাইনকে।
অজিঙ্কা রাহানের (Ajinkya Rahane) ঐ মরিয়া প্রয়াস যদিও বিশেষ কাজে আসে নি দলের। ১২তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিটি করার সময় রাসেলের পা ক্রিজের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ায় নো-বল ঘোষণা করেন আম্পায়ার। ফলে ফের ঐ ডেলিভারিটি করতেই হয় ক্যারিবিয়ান তারকাকে। ফের হাফ-ভলিই দিয়েছিলেন রাসেল। দ্বিতীয় সুযোগে আর কোনো ভুল করে নি দিল্লী। তাদের অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল (Axar Patel) দুরন্ত ড্রাইভে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দেন বল। ফ্রি-হিটে বাড়তি চার রান ছিনিয়ে নেন দলের জন্য। আজ ফিল্ডিং করার সময় চোট পেয়েছিলেন অক্ষর নিজেও। তাঁকেও ফিজিও’র সাহায্য নিতে হয়েছিলো। কিন্তু ব্যাটিং-এর সময় কোনোরকম জড়তা দেখা গেলো না তাঁর খেলায়। পাঁচ নম্বরে নেমে ২৩ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান বাম হাতি অলরাউন্ডার। শেষমেশ সুনীল নারাইনের শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে।