IPL 2025: সোয়াই মানসিংহ্ স্টেডিয়ামে আজ টসে জিতে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে প্রথম ব্যাটিং করার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লক্ষ্ণৌ (LSG) অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। বড় রানের বোঝা প্রতিপক্ষের উপর চাপাতে চেয়েছিলেন তিনি। একটা সময় বেশ চাপের মুখে পড়লেও শেষমেশ ২০ ওভারে ৫ উইকেট খুইয়ে ১৮০ রান স্কোরবোর্ডে তুললো সুপারজায়ান্টস শিবির। শুরুতেই মিচেল মার্শ আউট হন আজ। এরপর হতাশ করেন নিকোলাস পুরান। ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে পারেন নি অধিনায়ক ঋষভ’ও (Rishabh Pant)। আবার হতাশ করেছেন তিনি। কঠিন পরিস্থিতিতে ইনিংসের হাল ধরেছিলেন এইডেন মার্করাম। অর্ধশতক করেন প্রোটিয়া তারকা। পাঁচ নম্বরে নেমে হাফ সেঞ্চুরি বাদোনিরও। ‘ফিনিশার’ হিসেবে অবশ্য আরও একবার সফল কাশ্মীরের আব্দুল সামাদ। ত্রয়ীর চওড়া ব্যাট’ই আজকের ম্যাচে লড়াইতে টিকিয়ে রাখলো লক্ষ্ণৌ’কে।
Read More: “আজ গোয়েঙ্কার হাত থেকে রেহাই নেই…” রাজস্থানের সামনে ১৮১ রানের লক্ষমাত্রা রাখলো লখনৌ, সমাজ মাধ্যমে শুরু হলো চর্চা !!
লক্ষ্ণৌর ত্রাতা মার্করাম ও বাদোনি-

ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট খুইয়েছিলো লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস (LSG)। জোফ্রা আর্চারের বলে শিমরণ হেটমায়ারের হাতে ধরা পড়েন মিচেল মার্শ (Mitchell Marsh)। অজি অলরাউন্ডার ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাজঘরের পথ ধরেন নিকোলাস পুরান’ও। গুজরাত বনাম দিল্লী ম্যাচে ৩৬ করে কমলা টুপি কেড়ে নিয়েছিলেন সাই সুদর্শন। আজ ক্যারিবিয়ান তারকার কাছে সুযোগ ছিলো তা পুনরুদ্ধার করার। কিন্তু পারলেন না তিনি। ১১ রানেই থামতে হয় তাঁকে। লেগ বিফোর হন সন্দীপ শর্মা’র (Sandeep Sharma) বলে । সোয়াই মানসিংহ্ স্টেডিয়ামে মুখ পোড়ালেন ঋষভ পন্থ’ও। যত দিন যাচ্ছে ততই যেন অযৌক্তিক মনে হচ্ছে তাঁর ২৭ কোটির প্রাইস ট্যাগ। গত ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে মন্থর অর্ধশতক করেছিলেন অন্তত। আজ ৯ বল খেলে করলেন মাত্র ৩। স্টাম্পের পিছনে চমৎকার ক্যাচ ধরেন ধ্রুব জুরেল।
৫৪ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে বসা লক্ষ্ণৌর জন্য ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা গেলো এইডেন মার্করাম ও আয়ুষ বাদোনিকে। মরসুমের শুরুতে বেশ কয়েকটি ম্যাচে রান পান নি প্রোটিয়া তারকা। উঠেছিলো তাঁকে বাদ দেওয়ার দাবী। কিন্তু তার পরেও কেন মার্করামের (Aiden Markram) উপর আস্থা রেখেছিলেন কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার, তার প্রমাণ মিলছে এখন। এই মুহূর্তে লক্ষ্ণৌ শিবিরের অন্যতম ধারাবাহিক ব্যাটার তিনিই। ওপেন করতে নেমে ৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে তিনি করেন ৬৬ রান। মার্করামের পাশাপাশি নজর কাড়লেন আয়ুষ বাদোনিও (Ayush Badoni)। পাঁচ নম্বরে নেমে ৩৪ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন দিল্লীর তরুণ। ইনিংস সাজান ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কায়। মাঝের ওভারগুলোতে তাঁদের ৭৬ রানের ইনিংস খাদের কিনার থেকে ফিরিয়ে আনে লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসকে।
শেষ ওভারে খেলা ঘোরালেন সামাদ-

যে গতিতে এগোচ্ছিলো লক্ষ্ণৌ (LSG), তাতে মনে হয়েছিলো যে ২০ ওভারে হয়ত ১৬০-এ আটকে থাকতে হবে ঋষভ পন্থদের। কিন্তু ডেথ ওভারে বাজিমাত করতে দেখা গেলো আব্দুল সামাদকে (Abdul Badoni)। ডেভিড মিলারকে নড়বড়ে দেখাচ্ছিলো আজ, তাই স্কোরবোর্ডকে সচল রাখার দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নেন কাশ্মীরের তরুণ। সন্দীপ শর্মা’র ওভারে চারটি ছক্কা হাঁকান তিনি। ছিনিয়ে নেন মোট ২৭ রান। অপরাজিত রইলেন ১০ বলে ৩০ রান করে। ৩০০ স্ট্রাইক রেটে খেলা সামাদের ইনিংসটি নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে সুপারজায়ান্টস শিবিরের। রাজস্থানের হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। খরচ করেন ৩১ রান। ৩২ রানের বিনিময়ে ১টি সাফল্য মাহিশ তীক্ষণার। তুষার দেশপাণ্ডে, জোফ্রা আর্চার, সন্দীপ শর্মাদের ঝুলিতেও আজ জমা পড়েছে ১টি করে উইকেট।