এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের পরিসমাপ্তি ঘটলো কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং লখনৌ সুপার জাযান্টস দলের মধ্যে। আজকের ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে ৩ উইকেটে ২৩৮ রান বানায় লখনৌ এবং তাড়া করতে এসে ৭ উইকেটে ২৩৪ রান বানাতে সক্ষম হয়েছিল নাইট রাইডার্স।
দুরন্ত সূচনা দেন মার্স-মার্করাম
পাওয়ার প্লের ভিতর দুর্দান্ত সূচনা দেয় লখনৌ সুপার জায়ান্টস দলের দুই ওপেনার ব্যাটসম্যান। ব্যাট হাতে মিচেল মার্স এবং এইডেন মার্করাম দুর্দান্ত একটি সূচনা করেন। পাওয়ার প্লের ভিতরেই তারা কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৯ রান বানিয়ে ফেলেছিল। নাইট রাইডার্স দলের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করতে দেখা গিয়েছিল দুই ওপেনারকে।
৯৯ রানের পার্টনারশিপ করেন মার্করাম-মার্স

গত ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে বেশ দারুন ব্যাটিং করেছিল মার্করাম ও মিচেল মার্স দুজনেই। আজ কলকাতার বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্বের সঙ্গে ব্যাটিং করতে দেখা গেল এইডেন মার্করাম এবং মিচেল মার্সকে। দুজনের মধ্যে কেবলমাত্র ১০ ওভারের মধ্যেই ৯৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল। যদিও হার্ষিত রানার দুরন্ত একটি বলে উইকেট হারিয়ে ফেলেন মার্করাম।
থেমে থাকেননি মার্স-পুরান
চলতি মৌসুমে লখনৌ দলের দুই ব্যাটসম্যানকে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে লড়াই চালাতে দেখা যাচ্ছে। আজকের ম্যাচে আবার একটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেললেন মিচেল মার্স। ৪৮ বলে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৮১ রান বানান তিনি। মার্সের সঙ্গে দুরন্ত একটি পার্টনারশিপের পর পুরানের সাথে ৩০ বলে ৭১ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল।
ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যান পুরান

লড়াই থামেনি পুরানের। ব্যাট হাতে ৩৬ বলে ৭টি চার এবং ৮টি ছক্কায় ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন পুরান। নারিন থেকে শুরু করে রাসেল, হার্ষিতদের ইকোনমি রেট বাড়াতে বিশাল ভাবে সাহায্য করেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান খেলোয়াড়। প্রথমে ব্যাটিং করে লখনৌ দল ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রান বানায়।
শুরুতেই ডি কককে হারায় নাইট রাইডার্স
২৩৯ রানের পাহাড়ী লক্ষ্য অর্জনের জন্য মাঠে নামা কলকাতা নাইট রাইডার্স ইনিংসের শুরুটা ভালো করতে পারেনি। আকাশ দীপের করা তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই ওপেনার কুইন্টন ডি কক এলবিডব্লিউর শিকার হন। তিনি ৯ বলে ১৫ রান করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
পাওয়ার প্লেতে ৯০ রান বানিয়েছিল নাইট রাইডার্স

ডি কক আউট হলেও সুনীল নারিন ও ক্যাপ্টেন অজিঙ্কা রাহানে নাইট রাইডার্স দলের ইনিংস আগ্রাসনের সঙ্গে বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পাওয়ার প্লের ভরপুর ফায়দা তোলেন তারা। পাওয়ার প্লে শেষে নাইট রাইডার্স ৯০ রান বানিয়ে ফেলেছিল।
গুরুকে আউট করেন চ্যালা
কয়েক ওভার পর, সুনীল নারিনও ৩০ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তবে, এই সময়ে তিনি তার অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানের সাথে ৫৪ রানের একটি বড় জুটিও গড়ে ছিলেন তিনি। ৬.২ ওভারে দিগ্বেশ সিং রাঠির বলে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। রাঠির গুরু হলেন নারিন।
ক্যাপ্টেন-ভাইস ক্যাপ্টেন দলকে সামাল দেন
সুনীল নারিনের পর ভেঙ্কটেশ আইয়ারের সাথে অজিঙ্কা রাহানে অর্ধশতরানের জুটি গড়েন। তারা দুজনে তৃতীয় উইকেটে ৭১ রানের পার্টনারশিপ করেন। কিন্তু ৬১ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে রাহানেকে আউট করে শার্দুল ঠাকুর এই জুটি ভেঙে দেন এবং কলকাতাকে আরও ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়।
নিয়মিত ব্যাবধানে উইকেট হারায় KKR

রাহানে আউট হওয়ার পর নিয়মিত ব্যাবধানে উইকেট হারাতে শুরু করেন। পাঁচে ব্যাটিং করতে এসে রমনদীপ ২ বলে ১, অঙ্গকৃষ রঘুবংশী ৪ বলে ৫, ভেঙ্কটেশ আইয়ার ২৯ বলে ৪৫ এবং অন্দ্রে রাসেল ৪ বলে ৭ রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ২০ বলের মধ্যেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে নাইট দল।
রিংকুর ব্যার্থ প্রচেষ্টা

শেষ ২৪ বলে নাইট রাইডার্সকে জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ৫৪ রানের। একটা সময়ে নাইট দলের ব্যাটসম্যানরা যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন তা দেখে মনে হচ্ছিল সহজেই হয়তো KKR এই ম্যাচে জয় সুনিশ্চিত করবে। তবে, তা হলো না শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালান রিনকু, তবে ২০২৩ সালের সেই অস্বাভাবিক কাজটি করতে ব্যার্থ হয়েছিলেন রিংকু। ১৫ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৮ রান বানান রিংকু এবং হার্ষিত রানা ৯ বলে ১০ রান বানান। KKR দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৩৪ রান বানাতে সক্ষম হয়েছিল। চার রানে জয় সুনিশ্চিত করে নেয় লখনৌ।