IPL 2025: গত বছর নাইট রাইডার্সের সাফল্যের অন্যতম কারণ ছিলেন তাদের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ফিল সল্ট (Phil Salt()। মাত্র ১১ ম্যাচে প্রায় ৪০ গড়ে তিনি করেছিলেন ৪৩৫ রান। স্ট্রাইক রেট ছিলো ১৮২। সুনীল নারাইনের সাথে তাঁর ওপেনিং জুটি ত্রাস হয়ে দেখা দিয়েছিলো প্রতিপক্ষের জন্য। দুই বিদেশী মিলে প্রায় ৪৯ গড় ও ২০৬ স্ট্রাইক রেটে মোট ৪৯২ রান যোগ করেছিলেন নাইট রাইডার্স স্কোরবোর্ডে। এবার নারাইন (Sunil Narine) থাকলেও কলকাতার স্কোয়াডে নেই সল্ট। তিনি মেগা নিলামের পর যোগ দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে। ইংল্যান্ডের তারকার অভাব প্রতিনিয়তই বোধ করছে শাহরুখ খানের দল। সল্টের বদলি হিসেবে যাঁদের নেওয়া হয়েছে সেই ক্যুইন্টন ডি কক ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ, দুজনেই চরম হতাশ করেছেন এখনও অবধি। বাধ্য হয়েই তাই ভারতীয় বিকল্পের দিকে তাকাচ্ছেন কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত।
Read More: অদিতি নয় বরং, এই পরম সুন্দরীর প্রেমে পাগল ঈশান কিষান, শীঘ্রই ঘুরবেন সাতপাক !!
ব্যর্থ হয়েছেন ডি কক-গুরবাজ-

জেড্ডায় আয়োজিত আইপিএল (IPL) মেগা নিলামে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করে ক্যুইন্টন ডি কক’কে দলে সামিল করেছিলো কলকাতা নাইট রাইডার্স। মরসুমের শুরু থেকে দক্ষিণ আফ্রিকান তারকাকেই প্রথম একাদশে সুযোগ দিয়েছিলেন কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত ও মেন্টর ডোয়েন ব্র্যাভো। গুয়াহাটির মাঠে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে করা অপরাজিত ৯৭ রান ছাড়া কোনো উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলতে পারেন নি বাম হাতি ক্রিকেটার। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে আইপিএলের (IPL) উদ্বোধনী ম্যাচে আউট হয়েছিলেন ৪ করে। এরপর মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়েতে করেন ১ রান। ইডেনে সানরাইজার্সের বিপক্ষেও তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১ রান। লক্ষ্ণৌ ও চেন্নাই ম্যাচে ডি কক আউট হন যথাক্রমে ১৫ ও ২৩ রান করে। এরপর মুল্লানপুরে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধেও সাজঘরে ফেরেন ২ করেই।
সাত ম্যাচে ২৩.৮৩ গড়ে ডি ককের সংগ্রহ মাত্র ১৪৩ রান। এর মধ্যে থেকে রাজস্থানের বিরুদ্ধে খেলা ইনিংসটি বাদ দিলে রান সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ ইনিংসে ৪৬। গড় কমে দাঁড়ায় ৭.৬৭-এ। হতশ্রী পারফর্ম্যান্সের জন্য গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে বাদ দেওয়া হয়েছিলো তাঁকে। একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ (Rahmanullah Gurbaz)। ২০২২ থেকে কলকাতা শিবিরে রয়েছেন আফগানিস্তানের ক্রিকেটার। চেনেন ইডেনের বাইশ গজ’কে। কিন্তু মাঠে নেমে বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারেন নি তিনিও। মহম্মদ সিরাজের বলে ইনিংসের শুরুতেই লেগ বিফোর উইকেট হন। ৪ বল খেলে মাত্র ১ রান করেই ফেরেন সাজঘরে। ডি কক’কে সরিয়ে সেই শূন্যস্থান গুরবাজকে দিয়ে পূরণের আশায় ছিলো নাইট থিঙ্কট্যাঙ্ক, কিন্তু তাঁর ব্যর্থতায় ভেস্তে গিয়েছে যাবতীয় পরিকল্পনা।
বাজি ধরতে হবে লভনীতের উপর-

হতাশ করেছেন দুই বিদেশী উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। এমতাবস্থায় ভারতীয় তরুণ লভনীত সিসোদিয়ার উপরেই আগামী ম্যাচগুলিতে আস্থা রাখতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০২২ সালে প্রথমবার আইপিএলের ডাক পেয়েছিলেন কর্ণাটকের ক্রিকেটার। কিন্তু চোট পেয়ে ছিটকে যান। তাঁর বদলি হিসেবেই রজত পাটিদারকে সেই সময় সই করিয়েছিলেন আরসিবি। ২০২৩ ও ২০২৪-এ আইপিএলের (IPL) বৃত্তে প্রবেশের ছাড়পত্রই পান নি তিনি। অবশেষে ২০২৫-এ শিকে ছিঁড়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফর্ম্যান্সের জোরে। বড় মঞ্চের জন্য তিনি যে প্রস্তুত তা মরসুম শুরুর আগে নাইটদের প্রস্তুতি ম্যাচে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন লভনীত (Luvnith Sisodia)। টিম গোল্ড বনাম টিম পার্পল ম্যাচে মাত্র ২৩ বলে করেন ৪৬ রান। আগামীকাল পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে নাইটদের। শ্রেয়স আইয়ার, যুজবেন্দ্র চাহালদের বিপক্ষেই অভিষেক হতে পারে লভনীতের।