IPL 2025: ২০২৪-এ আইপিএল (IPL) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিপর্যয়ের সম্মুখীন তারা। খেতাব রক্ষার স্বপ্ন দেখারও সাহস এই মুহূর্তে পাচ্ছেন না সমর্থকেরা। চলতি মরসুমে এখনও অবধি ৮টি ম্যাচ খেলেছে বেগুনি-সোনালী শিবির। তার মধ্যে হারতে হয়েছে পাঁচটিতে। জয়ের সংখ্যা মাত্র ৩। ঘরের মাঠ ইডেনে চারটি ম্যাচ খেলে মাত্র একটি জিতেছে নাইটরা (KKR)। যা পরিস্থিতি, তাতে প্লে-অফে পৌঁছতে গেলে কার্যত মিরাক্ল ঘটাতে হবে অজিঙ্কা রাহানেদের। হোমগ্রাউন্ডে মুখ থুবড়ে পড়ার কারণ কি? বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় উঠে আসছে স্কোয়াডের দুর্বলতা, রাসেল-নারাইনদের মত তারকাদের অফ ফর্মের বিষয়গুলি। বেগুনি-সোনালী শিবিরের ব্যাখ্যা আবার বেশ আলাদা। ইডেনের কিউরেটরের কোর্টেই বল ঠেলেছে তারা। দুষেছে বাইশ গজকে।
Read More: “মেরে ফেলব…” গম্ভীরকে হুমকি ই-মেল, পহলগাঁও’র ঘটনার পরেই ISIS’এর নিশানায় ভারতীয় কোচ !!
পিচ নিয় অবস্থান বদল নাইটদের-

মরসুমের শুরু থেকেই ইডেনের পিচ নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে এসেছিলো কেকেআর (KKR) শিবির। উদ্বোধনী ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু’র বিরুদ্ধে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারের পর স্পিন সহায়ক বাইশ গজের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন অধিনায়ক রাহানে (Ajinkya Rahane)। পালটা দেন কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়। ফ্র্যাঞ্চাইজির পছন্দসই পিচ বানাতে তিনি যে বাধ্য নন তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। আগুনে ঘি যুগিয়েছিলো হর্ষ ভোগলে ও সাইমন ডুলের মন্তব্য। পছন্দসই পিচ না পেলে ইডেন ত্যাগ করুক নাইট রাইডার্স, পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের বিরুদ্ধে হারের পর ফের পিচ নিয়ে মুখ খুলতে শোনা গিয়েছিলো রাহানেকে। সুজন মুখোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “আমি কিছু বললেই ঝামেলা হবে। আমাদের কিউরেটর বেশ প্রচার পেয়েছেন ইতিমধ্যে। আমার মনে হয় বিষয়টি বেশ উপভোগই করেছেন তিনি।”
গত সোমবার ইডেনে গুজরাত টাইটান্সের (GT) মুখোমুখি হয়েছিলো নাইট রাইডার্স (KKR)। ফ্র্যাঞ্চাইজি বনাম কিউরেটর বিতর্ক কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন সকলে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবেই শান্ত থাকলো ইডেনের পরিবেশ। ৩৯ রানের বিরাট ব্যবধানে হারের পরেও সুজন মুখোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলতে দেখা যায় নি রাহানে বা কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে। হঠাৎ কেন ভোলবদল? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রিকেটমহলে। কলকাতার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর যে নাইটদের (KKR) অবস্থান বদলের নেপথ্যে রয়েছে একটি ফোনকল। বোর্ডের কোনো শীর্ষ কর্তার নির্দেশেই পিচ নিয়ে কোনোরকম দাবীদাওয়া জানায় নি তারা। এভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজির মতবাদকে প্রভাবিত করা যায় কিনা তা নিয়ে অবশ্য ধন্দ রয়েছে অনেকের মনে। ঘটনাকে ম্যাচ ফিক্সিং-এর সাথে তুলনা করছেন তাঁরা।
স্পিনের বিরুদ্ধে নাজেহাল কলকাতা-

বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে হারের পর স্পিন সহায়ক পিচের দাবী জানিয়েছিলেন নাইট রাইডার্স ক্যাপ্টেন রাহানে (Ajinkya Rahane)। গত সোমবার গুজরাত টাইটান্সের বিপক্ষে ঘূর্ণি উইকেটই দেওয়া হয়েছিলো তাঁর দলকে। কিন্তু ফায়দা তুলতে চূড়ান্ত ব্যর্থ কলকাতা। প্রথমে ব্যাটিং করে ১৯৮ রান তুলে নেয় গুজরাত। পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজির বিপক্ষে ৯০ করেন শুভমান গিল। অর্ধশতক সাই সুদর্শনের ব্যাটেও। ৪ ওভারে ৩৬ খরচ করেন সুনীল নারাইন, বরুণ চক্রবর্তী দেন ৪ ওভারে ৩৩ রান। উইকেটের কলাম শূন্য ছিলো তাঁরও। ৩ ওভারে ২৭ রানের বিনিময়ে কোনো উইকেট পান নি মঈন আলি। নাইটদের স্পিনাররা যখন চূড়ান্ত ব্যর্থ, তখন স্পিন দিয়েই বাজিমাত করে গেলো গুজরাত। ২৫ রান খরচ করে ২ উইকেট তুলে নেন রশিদ খান। ১টি করে সাফল্য পান সাই কিশোর ও ওয়াশিংটন সুন্দর’ও। ১৫৯তেই থামতে হয় নাইট রাইডার্সকে।
Also Read: IPL 2025: হিটম্যান হারিকেনে দিশাহারা হায়দ্রাবাদ, উপ্পলে দুই পয়েন্ট ছিনিয়ে নিলো মুম্বই ইন্ডিয়ান্স !!