IPL 2025: রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের পরিসমাপ্তি ঘটলো গুজরাত টাইটান্স ও পাঞ্জাব কিংসের। প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ২৪৩ রান বানায় পাঞ্জাব, যার জবাবে ৫ উইকেটে ২৩২ রান বানাতে সক্ষম হয়েছে গুজরাত টাইটান্স। ১১ রানে প্রথম ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিলো পাঞ্জাব।
শুরুতেই উইকেট হারায় পাঞ্জাব

দলের হয়ে ওপেনিং করতে দেখা গিয়েছিল প্রভশিমরন সিং এবং প্রিয়ান্স আর্যকে। শুরুতেই আগ্রাসী মেজাজ দেখানোর কথা চিন্তা করে নেন দুই তারকা খেলোয়াড়। সিরাজের প্রথম ওভারেই ২টি বাউন্ডারি হাঁকান প্রিয়ান্স। এরপর কাগিসো রাবাদার ওভারে অর্যর সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন আরশাদ খান। কিন্তু পরের ওভারে বোলিং করতে এসে প্রভশিমরনকে প্যাভিলিয়নে ফেরান রাবাদা। ৮ বলে ৫ রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
Read More: IPL 2025 GT vs PBKS Stats Review: গুজরাতের বিরুদ্ধে বাজিমাত পাঞ্জাবের, ধুন্ধুমার ম্যাচে তৈরি হলো ৮ নয়া রেকর্ড !!
পাওয়ার প্লেতে ৭৩ রান জুড়ে দেয় পাঞ্জাব

পাওয়ার প্লের ভিতরে প্রথম উইকেট হারানোর পর ব্যাটিং করতে আসেন ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইনিংসের সূচনা করেন তিনি। অন্যদিকে তরুণ তুর্কি প্রিয়ান্স ২০ বলে ৪২ রান বানিয়ে ফেলেন এবং শ্রেয়সের সঙ্গে জুটি বেঁধে পাওয়ার প্লেতেই ৭৩ রান জুড়ে দেয় পাঞ্জাব দল। যার মধ্যে আরশাদ খানের একটি ওভার থেকে ২০ রান তুলে নেন তরুণ প্রিয়ান্স।
স্পিন ঝড়ে বিধ্বস্ত পাঞ্জাব

পাওয়ার প্লে শেষেই ক্যাপ্টেন শুভমান গিল তার তুরুপের তাস রশিদ খানকে বল তুলে দেন। প্রথম ওভারেই তিনি প্রিয়ান্সকে প্যাভিলিয়নে ফেরান। আহমেদাবাদে স্পিন শক্তি আবার কার্যকর প্রমান হয়। মধ্যে ওভারে বামহাতি স্পিন অলরাউন্ডার সাই কিশোরকে বল তুলে দেন গুজরাট দলের অধিনায়ক শুভমান দ্বিতীয় ওভারেই তিনি আফগানিস্তানের আজমতউল্লাহ ওমারজাই। প্যাভিলিয়নে ফেরান ১৫ বলের মাত্র ১৬ রান বানিয়ে আউট হয়ে যান অমর যাই। এরপরেই অবশ্য ব্যাটিং করতে এসেছিলেন পাঞ্জাবের গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আবার একবার পুরানো ফ্রাঞ্চাইজের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি তবে প্রথম ম্যাচেই নিতান্তই ব্যর্থ হয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। প্রথম বলে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে।
শ্রেয়সের সঙ্গে ছোট্ট পার্টনারশিপ করেন স্টয়নিস
দ্রুত দুটি উইকেট হারানোর পর ব্যাটিং করতে আসেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। ২৮ বলে ৫৭ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। তবে এবার একবার সাই কিশোরের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিলের উইকেট হারান স্টয়নিস। ১৫ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
দুরন্ত ফিনিশ করেন শ্রেয়স-শশাঙ্ক

আজকের ম্যাচে দুরন্ত ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখালেন পাঞ্জাব দলের ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) এবং লোয়ার মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যান শশাঙ্ক সিং। শেষ ২৮ বলে ৮১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। ব্যাট হাতে ১৬ বলে ৬টি চার এবং ২টি ছক্কায় ৪৪ রান বানান এবং ক্যাপ্টেন শ্রেয়স ৫টি চার এবং ৯টি ছক্কায় ৪২ বলে ৯৭ রান বানান এবং ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৩ রান বানায়।
দুরন্ত শুরু করে গুজরাত
বড় রান তাড়া করতে এসে, সাই সুদর্শন এবং ক্যাপ্টেন শুভমান গিল। ব্যাট হাতে পাওয়ার প্লেতেই ৬১ রান জুড়ে দেন দুজনে। তবে, পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিং করতে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ম্যাক্সওয়েলের ওভারে রান বানানোর চেষ্টা বিফলে যায় শুভমানের। ১৪ বলে দুটি চার এবং তিনটি ছক্কায় ৩৩ রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
বাটলার-সুদর্শনের মধ্যে গড়ে ওঠে ৮৪ রানের পার্টনারশিপ
তিনে ব্যাটিং করতে আসেন জস বাটলার। দুরন্ত ব্যাটিং প্রদর্শন দেখান সাই সুদর্শন। একবার জীবনদান পেয়ে নিজেকে বেশ গুছিয়ে নেন সাই। ব্যাট হাতে ৪১ বলে ৫টি চার এবং ৬টি ছক্কায় ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অর্ষদীপ সিংয়ের শিকার হন। তবে, জস বাটলারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ৪০ বলে ৮৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন।
অর্ধশতরান হাঁকান বাটলার

ব্যাট হাতে প্রথম ম্যাচেই ছন্দ দেখালেন জস বাটলার। তিনে ব্যাটিং করতে এসে ৩৩ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৫৪ রান বনান। শেষের দিকে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে গিয়ে প্রোটিয়া পেসার মার্কো জেনিসেনের বলে নিজের উইকেট হারিয়ে ফেলেন বাটলার।
রাদারফোর্ডের প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয়
ব্যাট হাতে জস বাটলারের সঙ্গে বেশ ভালো অংশীদারিত্ব পালন করেছেন শেরফেন রাদারফোর্ড। বাটলারের সাথে ৩৩ বলে ৫৪ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল রাদারফোর্ডের। বাটলার আউট হওয়ার পর দলের ভরসা ছিল রাদারফোর্ডের হাতেই। তবে, শেষ ওভারে তিনি দলকে জেতাতে ব্যার্থ হয়েছেন। ২৮ বলে চারটি চার এবং ৩টি ছক্কায় ৪৬ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। শেষ ওভারে ২৭ রান ডিফেন্ড করতে এসে দলকে ১১ রানে জেতাতে সক্ষম হন অর্ষদীপ সিং।