IPL 2025: জমে উঠেছে গুজরাত টাইটান্স বনাম পাঞ্জাব কিংসের (GT vs PBKS) আইপিএলের পঞ্চম ম্যাচ। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজকের ম্যাচে টস জেতেন গুজরাতের শুভমান গিল (Shubman Gill)। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নিয়ম মেনেই প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন গিল। একদিকে গিল যেমন গুজরাত দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তো অন্যদিকে পাঞ্জাব দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। ২০২৪ সালের আইপিএল বিজেতা অধিনায়ক এবার নতুন দলের সাথে তাঁর অভিযান শুরু করেছেন।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে শুরুতেই ওপেনার ব্যাটসম্যান প্রভশিমরন সিংকে হারাতে হয়েছিল দলকে। ৮ বল খেলে ৫ রান বানিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তবে, দ্বিতীয় ওভারে তরুণ তুর্কি প্রিয়ান্স আর্যর (Priyans Arya) সহজ ক্যাচ ফেলে দেন আরশাদ খান। ক্যাচ ফসকানোর মাশুল গুনতে হয়েছে গুজরাত দলকে। পাওয়ার প্লের ভিতরেই ৭৩ রান বানিয়ে ফেলে পাঞ্জাব কিংস। তবে, পাওয়ার প্লে শেষ হতেই উইকেট হারিয়ে ফেলেন প্রিয়ান্স।
Read More: IPL 2025: “অন্ধ নাকি ?…” ভুল আম্পায়ারিং-এর শিকার পাঞ্জাব, DRS না চেয়ে তোপের মুখে ম্যাক্সওয়েল’ও !!
২৪৩ রান বানালো পাঞ্জাব

৭৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাঞ্জাব। ২৩ বলে ৭টি চার এবং ২টি ছক্কায় ৪৭ রান বানান প্রিয়ান্স। চারে ব্যাটিং করতে নেমে ১৫ বলে ১৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আফগান অলরাউন্ডার আজমাতুল্লাহ ওমারযাই (Azmatullah Omarzai)। দলে ফিরে এসে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (Glenn Maxwell) খাতা খুলতে ব্যার্থ হন। প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ম্যাক্সওয়েল আউট হলে ব্যাটিং করতে আসেন তার দেশের আর এক অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস (Marcus Stoinis)।
ব্যাট হাতে ১৫ বলে ১টি চার এবং ২টি ছক্কায় ২০ রান বানান তিনি। পাঞ্জাব দলের হয়ে দুরন্ত ব্যাটিং করেছেন ক্যাপ্টেন শ্রেয়াস আইয়ার (Shreyas Iyer)। পাঞ্জাব দলের হয়ে অভিষেক ম্যাচে ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার ৪২ বলে ৯৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। শ্রেয়স তাঁর ইনিংসটি৫টি চার এবং ৯টি ছক্কায় সাজিয়েছেন। সেঞ্চুরি করার সুযোগ থাকলেও শ্রেয়স তার ব্যাটিং পার্টনার শশাঙ্ক সিংকে (Shashank Singh) আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যেতে বলেন। ১৬ বল খেলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঞ্জাব দল ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৩ রান বানাতে সক্ষম হয়েছে। গুজরাতের হয়ে সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন সাই সুদর্শন এবং একটি করে উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান (Rashid Khan) ও কাগিসো রাবাদা (Khagiso Rabada)।