IPL 2025: দীর্ঘ এক দশকের অপেক্ষার পর অবশেষে আইপিএল (IPL) ট্রফি এসেছে কলকাতায়। চেন্নাইয়ের চেপক স্টেডিয়ামে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে (SRH) উড়িয়ে দিয়ে খেতাব হাতের মুঠোয় নিয়েছে নাইট রাইডার্স। এই সাফল্যে স্টার্ক, নারাইন, রাসেল বা শ্রেয়সদের মত তারকা খেলোয়াড়দের যতটা অবদান ঠিক ততটাই অবদান ছিলো ‘মেন্টর’ গম্ভীরের (Gautam Gambhir)। অধিনায়ক হিসেবে ২০১১ সালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন বেগুনি-সোনালী শিবিরে। বদলে দিয়েছিলেন দলের ভাগ্য। ২০১২ ও ২০১৪তে এনে দিয়েছিলেন জোড়া খেতাব। প্রশিক্ষক হিসেবেও সাফল্যের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন তিনি। প্রথম দিন শিবিরে যোগ দিয়েই ঘোষণা করেছিলেন যে ফাইনাল খেলাই প্রাথমিক লক্ষ্য। যে আস্থা তিনি রেখেছিলেন ক্রিকেটারদের উপর, ‘গৌতি ভাই’কে তার প্রতিদান দিতে ভোলেন নি তাঁরা।
আইপিএল (IPL) জয়ের পর নাইটদের সংসারে অবশ্য ঘটে গিয়েছে অনেক পরিবর্তন। দলমালিক শাহরুখ খান লম্বা সময়ের জন্য চেয়েছিলেন গম্ভীরকে (Gautam Gambhir)। দিয়েছিলেন ‘ব্ল্যাঙ্ক চেক’-এর প্রস্তাব’ও। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ টুর্নামেন্টে আটকে থাকতে চান নি তিনি। রাহুল দ্রাবিড় সরে দাঁড়ানোয় খালি হয়েছিলো ভারতীয় দলের কোচের আসন। সেই শূন্যস্থান পূরণে সচেষ্ট হন তিনি। গম্ভীরের মগজাস্ত্রের ধার মন ভরিয়েছিলো বোর্ড কর্তাদেরও। তাঁকে দায়িত্ব দিতে তাই দ্বিধা করেন নি জয় শাহ, রজার বিনি’রা। গত জুলাই মাস থেকে তিনি রয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) হটসিটে। শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ বা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর অধীনে মাঠেও নেমেছেন রোহিত, বিরাটরা। কিন্তু এর পরেও গম্ভীরের হৃদয়ের একটা বড় অংশ জুড়ে এখনও রয়েছে নাইট রাইডার্স। সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সিরিজে স্পষ্ট হলো তেমনটাই।
Read More: “লজ্জা লাগা উচিত…” ঘরের মাঠে কিউইদের বিরুদ্ধে কুপোকাত টিম ইন্ডিয়া, সমাজ মাধ্যমে শুরু হয়েছে চর্চা !!
নাইটদের সুবিধা করে দিলেন ‘গুরু’ গম্ভীর-
২৯ সেপ্টেম্বর আইপিএলের (IPL) রিটেনশন সংক্রান্ত নিয়মবিধি প্রকাশ করেছে বিসিসিআই। জানানো হয়েছে যে আগামী মরসুমের মেগা নিলামের আগে ৫ জন খেলোয়াড়কে ‘রিটেন’ করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। রিটেনশন স্লটের মূল্য’ও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে বোর্ডের তরফ থেকে। প্রথম তিনটি স্লটের জন্য খরচ যথাক্রমে ১৮, ১৪ ও ১১ কোটি টাকা। বাকি দুটি স্লটের জন্য আবারও ১৮ ও ১৪ কোটি খরচ করতে হবে দলগুলিকে। তবে এই অর্থের পরিমাণ কেবল ক্যাপড বা আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ক্রিকেটারদের জন্য। যদি কোনো আনক্যাপড বা আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাহীন ক্রিকেটারকে দলে ধরে রাখতে চায় কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি তাহলে রিটেনশনের সর্বোচ্চ মূল্য একধাক্কায় অনেকখানি কমে দাঁড়াতে পারে ৪ কোটি টাকায়।
সম্প্রতি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে টি-২০ স্কোয়াড ঘোষণা করেছিলো টিম ইন্ডিয়া সেখানে তিনজন আনক্যাপড ক্রিকেটার ছিলেন। তাঁরা মাঠে নামার সুযোগ পেলেই রিটেনশন মূল্য অনেকখানি বেড়ে ৪ কোটি থেকে দাঁড়াতো নূন্যতম ১১ কোটি টাকায়। লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের মায়াঙ্ক যাদব (Mayank Yadav) ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের নীতিশ কুমার রেড্ডি’কে শুরু থেকেই সুযোগ দিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। যার ফলে দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির অকশন পার্সে টান পড়েছিলো। কিন্তু নাইট রাইডার্সের হর্ষিত রাণা’কে (Harshit Rana) প্রথম দুই ম্যাচে রাখা হয় রিজার্ভ বেঞ্চে। এমনকি দিল্লীর ক্রিকেটারকে দিল্লীর মাঠে অভিষেকের সুযোগও দেন নি গম্ভীর। হায়দ্রাবাদে তৃতীয় ম্যাচে খেলানোর গুঞ্জন থাকলেও হঠাৎ’ই অসুস্থ হয়ে পড়ায় আর মাঠে নামা হয় নি তাঁর। ‘আনক্যাপড’ই থেমে যান হর্ষিত। তাঁকে ৪কোটিতে ধরে রাখতে বাধা নেই নাইটদের সামনে।