IPL 2025: দিল্লী ও রাজস্থানের বিরুদ্ধে জোড়া জয় বাড়তি অক্সিজেন যুগিয়েছিলো কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (KKR)। পক্ষে গিয়েছিলো হায়দ্রাবাদ বনাম দিল্লী ও মুম্বই বনাম গুজরাত ম্যাচের ফলাফল’ও। তবে এরপরও শেষরক্ষা করতে পারলো না গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। পয়েন্ট তালিকার ‘লাস্ট বয়’ চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) বিরুদ্ধে ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে হেরে আইপিএল থেকে কার্যত ছিটকেই গেলেন অজিঙ্কা রাহানেরা। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলো কলকাতা। ডোবালো সেই সিদ্ধান্তই। নূর আহমেদের ঘূর্ণিতে ১৭৯-এ আটকে গিয়েছিলো নাইট শিবির। রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় পিছিয়ে পড়লেও ডিওয়াল্ড ব্রেভিসের ঝোড়ো অর্ধশতক ম্যাচে ফেরায় চেন্নাইকে। সঙ্গ দেন শিবম দুবেও। শেষলগ্নে মহেন্দ্র সিং ধোনি’র ফিনিশিং টাচে ইডেন থেকে দুই পয়েন্ট নিয়েই ফিরছে পাঁচ বারের ট্রফিজয়ীরা।
Read More: IPL 2025: ‘অপারেশন সিন্দুরের’ পরেই এলো হুমকি চিঠি, কলকাতা-চেন্নাই ম্যাচের মাঝে বোমাতঙ্ক ইডেনে !!
বৈভবের এক ওভারেই ঘুরলো ম্যাচ-

ইডেনে রান তাড়া করে জয়ের সংখ্যাই বেশী। কিন্তু তারপরেও প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কলকাতার অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে (Ajinkya Rahane)। তাঁর সেই সাহসী সিদ্ধান্তই শেষমেশ ফিরলো ব্যুমেরাং হয়ে। ১৮০ তাড়া করতে নামা চেন্নাইয়ের শুরুটা বিশেষ ভালো হয় নি। দুই ওপেনার আয়ুষ মাথরে ও ডেভন কনওয়েই ফিরেছিলেন খাতা খুলতে না পেরে। অভিষেককারী উর্ভিল প্যাটেল অপর প্রান্ত থেকে ঝড় তুললেও তিনি ক্রিজে স্থায়ী হন মাত্র ১১ বল। ৩১ করে এরপর তাঁকেও ফিরতে হয় সাজঘরেই। চেন্নাই (CSK) মিডল অর্ডারকে এরপর বেঁধে ফেলেছিলো কলকাতা। রবিচন্দ্রণ অশ্বিন ৭ বলে ৮ রান করে আউট হন। ১০ বলে ১৯-এর বেশী এগোতে পারেন নি জাদেজা। রান করতে কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছিলো ডিওয়াল্ড ব্রেভিসকেও। কিন্তু বৈভব আরোরার একটা ওভারই পালটে দিলো ম্যাচের মোড়।
১১তম ওভারে বৈভবকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করতে দেখা গেলো বেবি এবি’কে। ছয় বলের মধ্যে তিনটি উড়ে যায় মাঠের বাইরে। আর বাকি তিন ডেলিভারিতে বাউন্ডারি হাঁকান দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা। ছয় বলে ৩০ রান ছিনিয়ে নিয়ে ম্যাচের রাশ চেন্নাইয়ের হাতে তুলে দেন তিনি। সম্পূর্ণ করেন অর্ধশতক’ও। ১৩ তম ওভারে ব্রেভিসকে (Dewald Brevis) ফিরিয়ে কলকাতাকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন বরুণ চক্রবর্তী। কিন্তু এরপর রুখে দাঁড়ান শিবম দুবে। অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হওয়ার বদলে রক্ষণেই জোর দিতে দেখা গেলো আজ বাম হাতি ব্যাটারকে। ১৯তম ওভারে যখন আউট হন তখন তাঁর নামের পাশে ৪০ বলে ৪৫ রান। শেষ ছয় বলে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিলো ৮ রান। ওভারের শুরুতেই দুরন্ত ছক্কায় ম্যাচের ভবিতব্য নিশ্চিত করে দেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দুই পয়েন্ট নিশ্চিত করেন অংশুল কম্বোজ।
বিদায় কার্যত নিশ্চিত নাইটদের-

বল হাতে নাইট জার্সিতে আজ একমাত্র উজ্জ্বল মুখ বরুণ চক্রবর্তী। ৪ ওভারে ৪.৫০ ইকোনমি রেটে ১৮ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন তিনি। সুনীল নারাইন উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৮ রান। হতাশ করেছেন বাকিরা। মঈন আলি ২ ওভারে ১ উইকেট নিয়েছেন ২৩ রানের বিনিময়ে। তথৈবচ অবস্থা দুই ফ্রন্টলাইন পেসারের। ৪ ওভারে ৪৩ রান বিলিয়েছেন হর্ষিত রাণা, নিয়েছেন ২ উইকেট। বৈভব আরোরা ৩ উইকেট নিলেও খরচ করেছেন ৪৮ রান। ইকোনমি রেট ১৬.০০। আজকের হার বড়সড় ধাক্কা দিলো গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। ১২ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) ঝুলিতে এই মুহূর্তে ১১ পয়েন্ট । সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতলেও তারা পৌঁছবে ১৫ পয়েন্টে। অঙ্কের হিসেবে সম্ভাবনা থাকলেও বাস্তবে কলকাতাকে আর আইপিএলের (IPL) প্লে-অফে দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।