IPL 2025: পাক ড্রোন হামলার আশঙ্কায় গতকাল মাঝপথে বন্ধ করা হলো পাঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লী ক্যাপিটালসের ম্যাচ। প্রথমে মাঠের একটি বাতিস্তম্ভ নিভিয়ে দেওয়া হয়। পরে বন্ধ করা হয় আরও দু’টি। সম্প্রচারকারী সংস্থার তরফে প্রথমে যান্ত্রিক গোলযোগের কথা জানানো হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই সামনে আসে প্রকৃত তথ্য। আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধূমল ও পাঞ্জাব ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক প্রীতি জিন্টাকে দেখা যায় দর্শকদের মাঠ ছেড়ে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিতে। দ্রুত মাঠ থেকে সরানো হয় ক্রিকেটার ও দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির সাপোর্ট স্টাফদেরও। অপারেশন সিন্দুরের পর জম্মু, শ্রীনগর, অমৃতসরের মতই বন্ধ ধর্মশালা বিমানবন্দরও। ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও সম্প্রচারকারী সংস্থার কর্মীদের সরিয়ে আনতে প্রথমে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছিলো বোর্ড। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে তাদের।
Read More: ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বন্ধ পিএসএল, পাকিস্তান ছাড়ছেন বিদেশি তারকা ক্রিকেটাররা !!
পরিকল্পনা বাতিল করলো বোর্ড-

গতকালের ঘটনার পর সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা (Rajeev Shukla) জানিয়েছিলেন, “প্রত্যেককে নিরাপদে ঘরে ফেরাতে আমরা একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করছি। আপাতত ম্যাচ বাতিল হয়েছে। স্টেডিয়াম খালি করা হয়েছে। টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা আগামীকাল সিদ্ধান্ত নেব। এই মুহূর্তে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার ব্যাপারটিই প্রধান। আজ ম্যাচ কোনো ভাবেই চালিয়ে যাওয়া যেত না। সেটা নিরাপদ ছিলো না।” ঠিক ছিলো ধর্মশালা থেকে সড়কপথে পাঠানকোট যাবেন পাঞ্জাব (PBKS) ও দিল্লী (DC) দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফেরা। থাকবেন ব্রডকাস্টিং ক্রু’র সদস্যরাও। সেখান থেকে একটি বিশেষ বন্দেভারত ট্রেনে করে তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লী।
এই মুহূর্তে উত্তর-পশ্চিম ভারতের একাধিক বড় শহরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। পাক হামলার জবাব দিচ্ছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এমতাবস্থায় পাঠানকোট থেকে ট্রেন ব্যবহারের অনুমতি দেয় নি ভারতীয় সেনাবাহিনী। ফলে বন্দেভারতের পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে বিসিসিআই-কে। বোর্ডের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে সেদিকে তাকিয়ে সকলে। তবে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সূত্রে খবর যে শ্রেয়স আইয়ার, কে এল রাহুলদের পাঠানকোট নয় বরং সড়কপথে পাঞ্জাব পাঠানো হচ্ছে। সেখানে একটি বিশেষ স্টেশন থেকে বিশেষ ট্রেনে দিল্লী ফেরত পাঠানো হতে পারে তাঁদের। স্টেশন বা ট্রেনের নাম নিরাপত্তাজনিত কারণে গোপন রেখেছে সেনাবাহিনী। তবে আশা করা হচ্ছে যে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ সন্ধ্যের মধ্যেই দিল্লী ফিরতে পারবেন ধর্মশালায় আটকে পড়া ক্রিকেটার’রা।
স্থগিত IPL, নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার BCCI-এর-

পাঞ্জাব বনাম দিল্লী ম্যাচ বাতিলের পর এক বিবৃতিতে ভারতীয় বোর্ডের সচিব দেবজিৎ সইকিয়া (Devajit Saikia) জানিয়েছিলেন, “সবদিক মাথায় রেখেই ধর্মশালার ম্যাচ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন ভালো নয়। সেই কারণেই ম্যাচ বাতিল হয়েছে। ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, দর্শকদের নিরাপত্তার ব্যাপারটা সবার আগে। দেশের স্বার্থ মাথায় রেখে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নেওয়া হবে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।” গতকাল রাতেই বৈঠকে বসেছিলো আইপিএলের (IPL) গভর্ণিং কাউন্সিল। এখনও পর্যন্ত সরকারী কোনো ঘোষণা না এলেও একাধিক সংবাদমাধ্যম মারফত খবর মিলেছে যে আপাতত টুর্নামেন্ট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে কোভিড অতিমারির মাঝেও ঘটেছিলো একই ঘটনা। সেবার অক্টোবর-নভেম্বর মাসে আয়োজিত হয়েছিলো বাকি থাকা ম্যাচগুলি।