IPL 2025: আগামী বছরের আইপিএল (IPL) নিয়ে এখন থেকেই চড়তে শুরু করেছে উত্তেজনার পারদ। নেপথ্যে মেগা অকশন। সব ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নিলাম যুদ্ধে মুখোমুখি হতে চলেছে টুর্নামেন্টের দশ ফ্র্যাঞ্চাইজি। নতুন করে দলগঠনের কথা ভাবতে হচ্ছে তাদের। আইপিএলের (IPL) রিটেনশন-রিলিজ-অকশন নিয়ে আলোচনার জন্য গত ৩১ জুলাই মুম্বইতে একটি বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিলো। সেখানে নিজেদের দাবীদাওয়া রেখেছে দলগুলি। সেগুলির মধ্যে কোনগুলি মানা হবে আর কোনগুলিকে খারিজ করা হবে তা জানা যাবে বিসিসিআই-এর তরফ থেকে গোটা বিষয়টির সুস্পষ্ট গাইডলাইন সামনে এলে। আভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার জন্য তা প্রকাশ করতে দেরী হবে বলে ফ্র্যঞ্চাইজিদের জানিয়েছে বোর্ড। তবে সংবাদমাধ্যম মারফত নানান তথ্য ধীরে ধিরে আসতে শুরু করেছে সামনে। তার উপর ভিত্তি করেই চর্চায় মেতেছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা।
Read More: CT 2025: ফাঁস হলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চার সেমিফাইনালিস্টের নাম, ঠাঁই হলো না আয়োজক পাকিস্তানের !!
রিটেনশনের নয়া নিয়ম আনতে চলেছে বোর্ড-
২০২২-এ শেষ যখন মেগা নিলাম আয়োজিত হয়েছিলো তখন রিটেনশন স্লট দেওয়া হয়েছিলো চারটি। অর্থাৎ চারজনকে ধরে রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে। ৩১ জুলাইয়ের বৈঠকে এই সংখ্যাটা বাড়িয়ে ৬ করার দাবী ওঠে। সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস স্পোর্টস সূত্রে খবর ছয় নয়, বরং পাঁচটি রিটেনশনের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিতে চলেছেন জয় শাহ (Jay Shah), রজার বিনি’রা। একইসাথে আলোচনা হয়েছিলো আরটিএম বা রাইট টু ম্যাচ বিকল্প নিয়ে। এই পদ্ধতিতে কোনো ক্রিকেটার নিলামে যে সর্বোচ্চ দাম পেয়েছেন, নিলাম শেষে তার সমসংখ্যক অর্থ খরচ করে তাঁকে ফেরত পেতে পারে তাঁর পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। চারটি রিটেনশনের সাথে দুটি আরটিএম বিকল্প দেওয়ার প্রস্তাব বিসিসিআই-এর কাছে রেখেছিলেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ (SRH) কর্ণধার কাব্য মারান। ইএসপিএন ক্রিকইনফো সূত্রে খবর যে ১টি আরটিএম বিকল্প দেওয়া হতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের।
৩১ জুলাইয়ের বৈঠকে আলোচনা হয়েছিলো আনক্যাপড ক্রিকেটারদের বিশেষ একটি নিয়ম নিয়েও। ২০২১-এর আইপিএলের (IPL) আগে অবধি অন্তত পাঁচ বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়া খেলোয়াড়দের আনক্যাপড ধরা হত। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি এই বিকল্প তেমন ব্যবহার না করায় তা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এবারের নিলামের আগে ফের এই নিয়ম ফেরানোর দাবী উঠেছে। সূত্রের খবর নিয়ম ফেরাতে উৎসাহী বিসিসিআই-ও। ২০১৭তে আনক্যাপড খেলোয়াড় রিটেনশনের মূল্য ৩ কোটি বেঁধে দিয়েছিলো বোর্ড। ২০২১ তা বেরে দাঁড়িয়েছিলো ৪ কোটি। এবার খানিক বাড়তে পারে তা। তবে এই নিয়ম ফিরে এলে মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) বা সুনীল নারাইনে’র মত তারকাকে সহজেই যে ধরে রাখতে পারে চেন্নাই সুপার কিংস বা কলকাতা নাইট রাইডার্স তা বলাই বাহুল্য।
বাড়ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ‘অকশন পার্স’-
আইপিএল (IPL) মানেই অর্থের ঝনঝনানি। মুহূর্তে কোটিপতি হওয়ার গল্প বাস্তবে রূপ নেয় ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ টুর্নামেন্টে। ক্রিকেট ও বিনোদনের ককটেল এবার পা দিতে চলেছে আঠারো বছরে। টুর্নামেন্টের মানোন্নয়নের স্বার্থে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আরও বেশী টাকা খরচের অনুমতি এবার দিচ্ছে ভারতের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। ২০১৭ সালের মেগা অকশনে দলগুলির হাতে মোট পার্স ছিলো ৮০ কোটি। অর্থাৎ এই পরিমাণ অর্থের মধ্যে সম্পূর্ণ স্কোয়াড নির্মাণ করতে হত তাদের। ২০২২-এর মেগা অকশনের আগে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিলো ৯০ কোটি। আর ২০২৫-এর নিলামের আগে আরও বাড়তে চলেছে টাকার অঙ্কটা। ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানাচ্ছে যে এবার ১১৫ থেকে ১২০ কোটি টাকা প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজিকে খরচ করার স্বাধীনতা দেওয়া হতে পারে। গতবার ২৪.৭৫ কোটি টাকা পেয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন মিচেল স্টার্ক। এবার সেই রেকর্ড ভাঙতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।