IPL 2025: ২০২৪-এর আইপিএল (IPL) শেষ হয়েছে গত ২৬ মে। ক্যালেন্ডারের হিসেবে আগামী মরসুম শুরু হতে বাকি এখনও প্রায় ৯ মাস। কিন্তু এখন থেকেই ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ টুর্নামেন্ট নিয়ে চড়ছে উত্তাপ। নেপথ্যে মেগা নিলাম। নতুন করে দল সাজানোর লড়াইতে নামতে হবে দশ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। আপাতত ড্রয়িংবোর্ডে চলছে তারই ছক কষা। নিলামের টেবিলে বসার আগে কোচিং স্টাফেও রদবদল করে নিতে চাইছে কোনো কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। ইতিমধ্যেই কোচের পদ থেকে রিকি পন্টিং-কে সরিয়েছে দিল্লী ক্যাপিটালস (DC)। শোনা যাচ্ছে কোচ বদল হতে পারে গুজরাত টাইটান্সেরও (GT)। ট্রফির লড়াইতে এগিয়ে থাকতে মেপে পদক্ষেপ ফেলার কথাও ভাবছে কোনো কোনো দল। পুরনো দলেই থাকছেন কারা, দল বদলে চমকে দেবেন কোন তারকা, সে নিয়ে ক্রিকেটমহলে শুরু হয়েছে চর্চা’ও।
Read More: নেতৃত্বের দৌড়ে নেই কেএল রাহুল, আরও একবার অধিনায়ক করা হচ্ছে হার্দিককে !!
মেগা অকশনেই সায় দিচ্ছে বিসিসিআই-
গত ৩১ জুলাই আইপিএলের (IPL) নিলাম সংক্রান্ত নিয়মবিধি স্থির করার জন্য মুম্বইতে বিসিসিআই-এর সদর দপ্তরে যে বৈঠক ডাকা হয়েছিলো। সেখানে দশ ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্মকর্তারা নিজেদের দাবীদাওয়া বোর্ডের কাছে পেশ করেন। নিলামপদ্ধতি কি হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়। সানরাইজার্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স, চেন্নাই সুপার কিংস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, গুজরাত টাইটান্সের মত ফ্র্যাঞ্চাইজি মেগা অকশন বাতিল করে মিনি অকশন আয়োজনের জন্য সওয়াল করেন। সানরাইজার্স মালিক কাব্য মারান জানান, “দল তৈরি করতে অনেক সময় লাগে।” দুই মেগা অকশনের মাঝে সময়ের ব্যবধান তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করার কথাও বলেন কেউ কেউ। তবে উল্টোমত শোনা গিয়েছিলো বাকি দলগুলির কর্মকর্তাদের তরফে। আজ সংবাদসংস্থা ক্রিকবাজে প্রকাশিত এক রিপোর্ট মারফৎ জানা গিয়েছে যে মিনি অকশনের প্রস্তাবে সাড়া দেয় নি বোর্ড। মেগা অকশনই চাইছে তারা।
রিটেনশন নিয়ে নয়া নীতি নিলো বোর্ড-
৩১ তারিখের বৈঠকে অন্যতম ইস্যু হিসেবে উঠে এসেছিলো রিলিজ এবং রিটেনশন। সাম্প্রতিক মরসুমগুলিতে যে দলগুলি সাফল্য পেয়েছে স্বাভাবিক কারণেই তাঁরা বেশী সংখ্যক রিটেনশনের দাবী করেছিলো। নিজেদের দলের নিউক্লিয়াস ভাঙতে রাজী ছিলো না তারা। আর পিছিয়ে থাকা দলগুলি রিটেনশনের সংখ্যা কমানোর দাবী করে। এই নিয়ে নাইট রাইডার্সের (KKR) শাহরুখ খান ও পাঞ্জাব কিংসের (PBKS) নেস ওয়াদিয়ার মধ্যে তর্কাতর্কি বেঁধে গিয়েছিলো বলেও খবর মিলেছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে। রিলিজ-রিটেনশনের পাশাপাশি আলোচনায় উঠে আসে রাইট টু ম্যাচ কার্ডের প্রসঙ্গও। অর্থাৎ নিলামে যে পরিমাণ দাম কোনো ক্রিকেটার পাচ্ছেন, তাঁর পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজি সেই দামের সমমূল্য দিয়ে দলে ফেরাতে পারে তাঁকে। ২০২২-এর মেগা নিলামে ছিলো না এই সুযোগ। আরটিএম ফেরানোর দাবী করা হয়।
২০২২-এর মেগা নিলামের আগে মাত্র ৪ জন ক্রিকেটারকে রিটেন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো আইপিএল (IPL) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে। ২০২৪-এর ক্ষেত্রে নিয়মে বদল চেয়ে সওয়াল করেন অনেকেই। সানরাইজার্সের পক্ষে কাব্য মারান (Kavya Maran) রিটেনশনের ব্যপারে বেশ কিছু বিকল্প পন্থা পেশ করেছিলেন বোর্ডের সামনে। অন্তত ৬ জন’কে ধরে রাখার সুযোগ দলগুলির পাওয়া উচিৎ বলে জানিয়েছিলেন তিনি। যদি একান্তই দেওয়া সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে চারটি রিটেনশন ও দুটি আরটিএম বিকল্প অথবা দুটি রিটেনশন, চারটি আরটিএম বিকল্প অথবার ছ’টি আরটিএম বিকল্পের প্রস্তাব’ও পেশ করেন তিনি। সম্মত হয় অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজিও। পর্যালোচনার শেষে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পেরেছেন জয় শাহ, রজার বিনিরা। ক্রিকবাজ সূত্রে খবর ছ’টি রিটেনশনের দাবী মেনে নেওয়া হচ্ছে। হয়ত রিটেনশন ও আরটিএম বিকল্প মিলিয়ে ছ’জনকে ধরে রাখতে পারবে দলগুলি।