শনিবার আইপিএল ২০২৪-এর (IPL 2024) ২৭ তম ম্যাচটি রাজস্থান রয়্যালস এবং পাঞ্জাব কিংসের মধ্যে খেলা হয়। এ দিনের এই ম্যাচে পাঞ্জাবকে তিন উইকেটে হারিয়ে জয়ের পথে ফিরেছে রাজস্থান। চলতি টুর্নামেন্টের এই পাঁচ নম্বর জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে সঞ্জু স্যামসনের দল। অন্যদিকে, এই হারের ফলে তালিকায় আট নম্বরে রইলো পাঞ্জাব কিংস। এ দিনের এই ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শিখর ধাওয়ানহীন পাঞ্জাব কিংস ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করে। জয়ের জন্য রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান এক বল বাকি থাকতে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করে এবং ম্যাচটি তিন উইকেটে জিতে নেয়।
দেখে নেওয়া যাক এই ম্যাচের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত:
পাঞ্জাবের শুরুটা ভালো হয়নি
মুলানপুরে খেলা ম্যাচে রাজস্থানের বোলারদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখা গেছে পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানদের। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে আসা পাঞ্জাব দলের শুরুটা বিশেষ হয়নি। অথর্ব তাইডে ও জনি বেয়ারস্টোর মধ্যে প্রথম উইকেটে ২৭ রানের জুটি গড়ে ওঠে। চতুর্থ ওভারে অথর্বকে শিকার করেন আভেশ খান। এই ম্যাচে শিখর ধাওয়ানের জায়গায় খেলতে দেখা গেছে তাকে। ৪১ রানে দলকে দ্বিতীয় ধাক্কা দেন যুজবেন্দ্র চাহাল। প্রভসিমরান সিংকে (১০) আউট করেন তারকা স্পিনার। এর পর জনি বিকারস্টোকে নিশানা করেন কেশব মহারাজ। অষ্টম ওভারের শেষ বলে পাঞ্জাবকে তৃতীয় ধাক্কা দেন তিনি। ১৫ রান করে ফেরেন বেয়ারস্টো।
আশুতোষ শর্মা জন্য মানরক্ষা হয় পাঞ্জাবের
এই ম্যাচে স্যাম কুরান পাঁচ রান এবং শশাঙ্ক সিং নয় রান করেন। ভালো ফর্মে দেখা জিতেশ শর্মাকে দলীয় ১০৩ রানে প্যাভিলিয়নে পাঠান আভেশ খান। তিনি একটি চার ও দুটি ছক্কায় ২৯ রান করতে সক্ষম হন। এরপর ২১ রান করে ফেরেন লিয়াম লিভিংস্টোন। সঞ্জু স্যামসনের বলে রান আউট হন তিনি। আশুতোষ শর্মা পাঞ্জাবের জন্য ডেথ ওভারে রক্ষ্যকর্তা হিসেবে প্রমাণিত হন। মাত্র ১৬ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এই সময় তিনি ১৯৩.৭৫ স্ট্রাইক রেটে তার ব্যাট দিয়ে একটি চার এবং তিনটি ছক্কা মারেন। শেষ ওভারের শেষ বলে কেশব মহারাজের হাতে ক্যাচ আউট হন ট্রেন্ট বোল্ট। অন্যদিকে, হারপ্রীত ব্রার তিন রান করে অপরাজিত থাকেন।
জয়সওয়াল ও কোটিয়ানের মধ্যে হাফ সেঞ্চুরি জুটি
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল রাজস্থান। যশস্বী জয়সওয়াল (৩৯) এবং তনুশ কোটিয়ানের (২৪) মধ্যে প্রথম উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়ে ওঠে। দলকে তৃতীয় ধাক্কাটা আসে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন আউটে যিনি কাগিসো রাবাদার বলে এলবিডব্লিউ হন। একটি চার ও ছক্কার সাহায্যে ১৮ রান করে ফেরেন তিনি। এই ম্যাচে রায়ান পরাগ ২৩ রান, ধ্রুব জুরেল ৬ রান, রোভম্যান পাওয়েল ১১ রান এবং কেশব মহারাজ এক রান করেন।
রাজস্থানকে ম্যাচ জেতান হেটমায়ার
এ দিন ক্যারিবিয়ান তারকা শিমরন হেটমায়ার ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাকে সমর্থন করেন ট্রেন্ট বোল্ট যিনি অ্যাকাউন্ট না খুলেই অপরাজিত ছিলেন। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ম্যাচজয়ী ছক্কা হাঁকান হেটমায়ার। পাঞ্জাবের পক্ষে স্যাম কুরান ও কাগিসো রাবাদা ২টি করে উইকেট নেন এবং আরশদীপ সিং, লিয়াম লিভিংস্টোন ও হারশাল প্যাটেল একটি করে উইকেট নেন।
শেষ ওভারের রোমাঞ্চ
ইনিংসের ২০তম ওভারটি ছিল রোমাঞ্চে ভরপুর। হেটমায়ার আরশদীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে মারকুটে মেজাজে ব্যাট করেন। ওই ওভারে রাজস্থানের জয়ের জন্য ছয় বলে ১০ রান দরকার। প্রথম ও দ্বিতীয় বলে কোন রান হয়নি। তৃতীয় বলে বড় ছক্কা হাঁকান হেটমায়ার। এরপর জয়ের জন্য দলের প্রয়োজন তিন বলে চার রান। চতুর্থ বলে হেটমায়ার লং অনের দিকে মারেন এবং করেন দুই রান। পঞ্চম বলে বড় ছক্কা মেরে ম্যাচটা রাজস্থানের হাতে তুলে দেন হেটমায়ার। এই দুরন্ত পারফরমেন্সের জন্য তিনি ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ নির্বাচিত হন।