ক্রিকেটের দুনিয়ায় যখন সবচেয়ে বড়ো টি-২০ লীগের কথা বলা হয় তো সবার আগে আইপিএলের নাম আসে। এই লীগে খেলোয়াড়রা প্রচুর টাকা পান। কিন্তু এবার বিসিসিআই আর আইপিএল গর্ভনিং কাউন্সিল মিলে বড়ো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন আইপিএল ২০২০ খেতাব জেতা দলকে পঞ্চাশ শতাংশ টাকা দেওয়া হবে।
আইপিএল ২০২০র বিজেতাকে দেওয়া হব ৫০ শতাংশ কম টাকা
দ্রুতই আইপিএল ২০২০র শুরু হতে চলেছে। তার আগে সমস্ত ফ্রেঞ্চাইজি একটা বড়ো ধাক্কা খেলো। এতদিন যে প্রাইজ মানি দেওয়া হত তা এবার থেকে কম করা হচ্ছে। জয়ী দল এখন মাত্র ১০ কোটি টাকা পাবে। এছাড়াও রানার্সআপ দলকে ৬.২৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে। অন্যদিকে টপ ৪ এ পৌঁছনো অন্য দুটি দলকে ৪.৩৭ কোটি টাকা দেওয়া হবে। গত বছর জয়ী দলকে ২০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে রানার্সআপ দলকে ১২.৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। টপ ৪ এ পৌঁছনো অন্য দুটি দলকে ৮.৭৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। বলা হচ্ছে যে অর্থনীতিতে যে সমস্যা চলছে সেই কারণে বিসিসিআই আর আইপিএল গর্ভনিং কাউন্সিল মিলে এই বড়ো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ৪টি ফ্রেঞ্চাইজি এই সিদ্ধান্তে একদমই খুশি নয়। অন্যদিকে দুটি ফ্রেঞ্চাইজির মতো এটা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।
খেলোয়াড়দের আইপিএল ২০২০র মাঝপথেই বদলাতে পারে ফ্রেঞ্চাইজি
নিলামে হওয়া ভুলকে শুধরোনোর জন্য এখন সমস্ত ফ্রেঞ্চাইজির কাছে সুযোগ থাকবে। আইপিএল ২০২০তে যতক্ষণ সমস্ত দলগুলি ৭টির বেশি ম্যাচ না খেলে ফেলে ততক্ষণ ফ্রেঞ্চাইজির কাছে সুযোগ থাকবে যে তারা অন্য দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে নিজেদের দলে খেলোয়াড়দের শামিল করতে পারে। তবে তারা যেনো ২টির বেশি ম্যাচ না খেলে থাকেন। খেলোয়াড়দের ট্রান্সফার উইন্ডো এবার আইপিএল ২০২০র শুরু হওয়ার একদিন আগেই খুলেছে। যা ২৮ মার্চ সকাল ৯টায় খোলা হবে। এখন রোমাঞ্চকর এটাই যে কোন দলগুলোর কোন খেলোয়াড়দের প্রয়োজন পড়বে। এবং এটা দেখার মতো হবে যে কোন খেলোয়াড় মরশুমের মাঝপথে অন্য দলের অংশ হন।
নো বলের সিদ্ধান্ত নেবেন তৃতীয় অ্যাম্পায়ার
গত মরশুমে যেভাবে অ্যাম্পায়ারিংয়ের উপর প্রশ্ন উঠেছিল তারপর এখন এই মরশুমে নো বলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তৃতীয় অ্যাম্পায়ারকে দেওয়া হয়েছে। এই ফর্মুলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো পর্যন্ত সফল থেকেছে। তবে আইপিএল ২০২০র এই পরীক্ষা দেখার মতো হতে চলেছে। এবার গর্ভনিং কাউন্সিল সফলভাবে আইপিএল আয়োজনের জন্য আরো বেশকিছু বড়ো প্রস্তুতিও নিয়েছে, যে কারণে এই আইপিএল রোমাঞ্চকর হতে চলেছে।