ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের ত্রয়োদশ মরশুমে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে ১৬ রানে হারের মুখে পড়তে হয়। এই ম্যাচে সিএসকের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অ্যাম্পায়ারদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এটা দ্বিতীয়বার যখন রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ধোনি নিজের মেজাজ হারালেন। এর আগে ২০১৯ এও এই দলের বিরুদ্ধে একবার ধোনি নিজের রাগ প্রকাশ করেছেন। ম্যাচ চলাকালীন অ্যাম্পায়ার রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটসম্যান টম ক্যুরেনকে প্রথমে আউট দেন আর তারপর নিজের সিদ্ধান্ত বদলে তৃতীয় অ্যাম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময় রাজস্থান রয়্যালসের কাছে তাদের কোনো রিভিউ বাকি ছিল না। ধোনির স্ত্রী সাক্ষী ধোনিও অ্যাম্পায়ারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে টুইট করেন, তবে পরে তিনি সেই টুইটটি ডিলিট করে দেন।
রাজিস্থান রয়্যালসের ইনিংসের ১৮তম ওভারে টম ক্যুরেনকে আউট দেওয়া সত্ত্বেও অ্যাম্পায়ারের রিভিউ নেওয়ার সিদ্ধান্তে ধোনিকে অখুশি দেখায়। দীপক চাহারের বলে উইকেটকিপার ধোনি দ্বারা বল ক্যাচ করার পর মাঠের অ্যাম্পায়ার সি শামসুদ্ধিন টম ক্যুরেনকে আউট দেন। রাজস্থানের কাছে রিভিউ বাকি ছিল না, আর ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটতে শুরু করেন। তবে এরপর লেগ অ্যাম্পায়ার বিনীত কুলকর্ণীর সঙ্গে কথা বলার পর শামসউদ্দিন নিজের ভুল বুঝতে পারেন আর তিনি তৃতীয় অ্যাম্পায়ারের সাহায্য চান। এরপর ধোনি নিরাশ হয়ে অ্যাম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে যে বল ধোনির গ্লাভসে যাওয়ার আগে মাটিতে ড্রপ খেয়েছে। তৃতীয় অ্যাম্পায়ার মাঠের অ্যাম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে দেন, যার ফলে ধোনিকে অখুশি দেখায়। এটা নিয়ে ধোনির স্ত্রী সাক্ষী টুইটারে লেখেন, “যদি আপনি টেকনোলজি ব্যবহার করেন তো এর সঠিক ব্যবহার করুন… আউট তো আউটই, যতই এটা ক্যাচ হোক বা এলবিডব্লিউ”। আসলে রিপ্লেতে দেখা গিয়েছিল যে বল ধোনির দস্তানায় জমা হওয়ার আগে মাটিতে ড্রপ হয়, কিন্তু অন্য রিপ্লেতে এটাও দেখা যায় যে টম ক্যুরেন যতই ক্যাচ আউট না হন কিন্তু বল ব্যাটে নয় প্যাডে লেগে যায় আর তিনি এলবিডব্লিউ আউট ছিলেন।