২০০৮ এ ভারতী ক্রিকেটে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের মাধ্যমে একটা বড়ো বিপ্লব ঘটে গিয়েছি। যার দলে দেশে ক্রিকেটের গতি আর টি-২০ ক্রিকেট নিয়ে এই খেলার সমর্থকদের দৃষ্টিভঙ্গী একদম বদলে দিয়েছিল। সময়ের সঙ্গে এই লীগ বিশ্বের এক প্রতিষ্ঠিত লীগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যেমন যেমন আইপিএল মরশুমের পর মরশুম এগিয়ে গিয়েছে তেমন তেমন এই লীগের ভাবমূর্তিতে বিতর্কের কালিও পড়তে শুরু করে। ২০১৩র স্পট ফিক্সিংকে কে ভুলতে পারে। এমনই ঘটনা আইপিএলের সঙ্গে আরও একবার যোগ হয়েছে। প্রায় ৭-৮ বছর পর আবারও ফিক্সিংয়ের ভুত বোতল থেকে বাইরে এসেছে।
আবারও বাইরে এলো ফিক্সিংয়ের ভুত
আসলে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের সামনে আইপিএল ২০২০তে একজন ভারতীয় খেলোয়াড়ের সঙ্গে অবৈধভাবে যোগাযোগ করার বিষয় সামনে এসেছে। দিল্লিতে কার্যরত একজন নার্সের বিরুদ্ধে ক্রিকেটারের কাছ থেকে দলের ভেতরের গোপনীয় তথ্য চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে যে এই নার্স সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই ভারতীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সূত্রের মতে এই নার্স আইপিএলের ম্যাচে সাট্টা লাগাতে চেয়েছিলেন। এই ব্যাপারে তিনি এই ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। বলা হচ্ছে যে ওই নার্স ৩০ সেপ্টেম্বর ওই খেলোয়াড়ের সঙ্গে আইপিএল চলাকালীন যোগাযোগ করেছিলেন।
ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল অভিযুক্ত নার্সের
নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পেশ করা এই নার্স এই সময় দক্ষিণ দিল্লির একটি হাসপাতালে কার্যরত রয়েছেন। কিছু বছর আগে ভারতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ভারতীয় ক্রিকেটার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের অপরাধ দমন ইউনিটকে এই পুরো বিষয়টি অবগত করান। সূত্রের মারফতে জানানো হয়েছে যে এই ক্রিকেটারের সঙ্গে ৩ বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ হয়েছিল ওই নার্সের। ফ্যান হওয়ার দাবী করা এই নার্স নিজেকে দিল্লির একটি প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তার বলে জানিয়েছিলেন। খবরে এই ব্যাপারটিও সামনে এসেছে যে এই ক্রিকেটার নার্সের সঙ্গে সম্প্রতিই যোগাযোগও করেছিলেন আর করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য পরামর্শও নিয়েছিলেন।
তদন্তের পর বন্ধ হয়ে গিয়ে সম্পূর্ণ মামলাটি – বিসিসিআই এসিইউ চিফ
বিসিসিআইয়ের অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের চিফ অজিত সিং এই কেসের প্রগতির ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু পরে তিনি এটাও বলেন যে এখন এই মামলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ক্রিকেটার আমাদের আইপিএল চলাকালীনই এই পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা এই পুরো বিষয়টির তদন্ত করেছি আর এখন এই পুরো বিষয়টি শেষ হয়ে গিয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত বিস্তারিতভাবে হয়েছে। অভিযুক্ত নার্স ওই খেলোয়াড়কে চিনতেন। ক্রিকেটার যে সময় এই কথা জানিয়েছিলেন তখনই আমরা পুরো ডিটেলস জেনে নিয়েছিলাম। এখন এই পুরো ব্যাপারে আর কিছু বাকি নেই।