ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএলের অন্যতম সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ইতোমধ্যে তিনবার টুর্নামেন্টের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। শুধু তাই নয় ২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন লিগ টি-২০ শিরোপাও ঘরে তোলার সুখস্মৃতি রয়েছে দলটির।
বিশ্বের অন্যতম সেরা ঘরোয়া টি-২০ এই আসরে প্রতি বছর অংশ নিয়ে থাকেন দেশি বিদেশি মহা তারকারা। পাশাপাশি লোকাল ক্রিকেটাররাও নিজেদের প্রমাণ করার মঞ্চ হিসেবে বেছে নেয় এই আসরটিকেই। নিলাম থেকে নিজেদের পছন্দসই ক্রিকেটারদের কিনে নিয়ে রণকৌশল সাজিয়ে থাকে প্রতিটি দল। ভিন্ন চিত্র নেই মুম্বাই শিবিরেও। ক্রিকেটার বাছাই প্রক্রিয়ায় মুম্বাই সর্বদাই এগিয়ে থাকে এক কদম সামনে।
পূর্ববর্তী আসরগুলোর মত গত আসরটিতে মোটেও সফলতার দেখা পায়নি রোহিত শর্মার দল। পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে থাকা দলটি এবার দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কককে দলে ভেড়ালেও তাঁদের তাঁবু থেকে ছেড়ে দিয়েছে মুস্তাফিজুর রহমান ও আকিলা ধনঞ্জয়ার মত ক্রিকেটারদের। অন্যদিকে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি চুক্তির মেয়াদ বাড়ায়নি সৌরভ তিওয়ারি, প্রদীপ সাংওয়ান, মুহসিন খান, নিধেশ, শারদ লুম্বা, তাজিন্দার সিং ডিলন, প্যাট কামিন্সদের সাথে।
নিলাম চলাকালে মুম্বাইয়ের বাড়তি নজর ছিল অভিজ্ঞদের দিকে। যা আন্দাজ করা যায় ২ কোটি রুপির বিনিময়ে লাসিথ মালিঙ্গা এবং ১ কোটি রুপির বিনিময়ে যুবরাজ সিংকে দলে ভেড়ানো দেখলেই। অন্যদিকে তরুণদের দলে টানার ক্ষেত্রেও সচেতন ছিল মুম্বাই যার দরুন ফ্র্যাঞ্চাইজিটি খরিদ করেছে বরিন্দর স্রান (৩.৪০ কোটি রুপি), আনমলপ্রীত সিং (৮০ লাখ রুপি), পঙ্কজ জয়সওয়াল (২০ লাখ রুপি), সালাম দার (২০ লাখ রুপি) এর মত ক্রিকেটারদের। তাছাড়া নিলামের পরক্ষণেই অফ স্পিনার জয়ন্ত যাদবকে নিজেদের তাবুতে ভিড়িয়ে স্কোয়াড পূর্ণ করে মুম্বাই।
অভিজ্ঞদের পাশাপাশি তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে যদি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাঁদের সেরা একাদশ মাঠে নামাতে পারে তাহলে শিরোপার দুই জোড়া হয়তো পূর্ণ করতে পারবে ফেভারিটের তকমা গায়ে মেখে ২০১৯ আইপিএল শুরু করতে যাওয়া দলটি।
এবার দেখে নেওয়া যাক অভিজ্ঞ এবং তরুণদের মিশ্রণে কেমন হতে পারে মুম্বাইয়ের সেরা একাদশ।
ওপেনিং জুটি: রোহিত শর্মা এবং কুইন্টন ডি কক
মিডল অর্ডার: সূর্যকুমার যাদব এবং ঈশান কিষান
অলরাউন্ডার: হার্দিক পান্ডিয়া, ক্রুনাল পান্ডিয়া, বেন কাটিং
স্পিনার: জয়ন্ত যাদব ও মায়াঙ্ক মারাকন্দে
পেসার: জেসন বেহারেনড্রফ, জাসপ্রিত বুমরাহ