টি-২০ সিরিজ জয়ের পর এখন ওয়ানডে সিরিজে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও স্বাগতিক ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। গতকাল বৃহস্পতিবার নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রীজে প্রথম ওয়ানডের মাধ্যমে সিরিজ শুরু হয়েছে।
এই দশকে মোট পাঁচ বার ইংল্যান্ড এবং ভারত দ্বিপাক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে ২০১১ সালে ৩ ম্যাচের সিরিজের সব গুলো ম্যাচে জয় লাভ করে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। তবে বাকি চারটি সিরিজই ভারতের দখলে গিয়েছিল।
চলুন দেখে নিই বর্তমান দশকে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যকার সেরা ৩টি ওয়ানডেঃ
৩. ভারত বনাম ইংল্যান্ড, তৃতীয় ওয়ানডে, ইংল্যান্ডের ভারত সফর, ২০১৬-১৭
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের কিন্তু শেষ ম্যাচে দারুণ ভাবে ঘুরে দাড়িয়েছিল সফরকারী ইংল্যান্ড।
প্রথমে ব্যাট করে জেসন রয় ও বেন স্টোকসের জোড়া অর্ধ শতকে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রানের বড় এক টার্গেট দেয় ভারতের সামনে। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের দ্রুত আসা যাওয়ায় বিপাকে পড়ে ভারত। ১৭৩ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।
তবে এই সিরিজটি ছিল যেখানে কেদার যাদব নিজের জাত চিনিয়েছিলেন সকলকে। প্রথম ম্যাচে দলকে জেতানো সেঞ্চুরির পর এ ম্যাচেও ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন তিনি। পান্ডিয়াকে নিয়ে ১০৪ রানের এক গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ম্যাচে ফেরান কেদার যাদব।
শেষের দিকে ৪৬ তম ওভারে জাদেজা আর যাদব দলকে লক্ষ্যের আরো কাছে নিয়ে যান। শেষের তিন ওভারে ভারতের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। এরপর ৪৮তম ওভারে এসে মাত্র ৪ রান দিয়ে ইংল্যান্ডকে আবারো ম্যাচে ফেরান স্টোকস। পরের ওভারে ক্রিস ওয়াকস ৭ রান দিলে শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১৬ রান। শেষ ওভারে একটি ছয় ও একটি চার মেরে দলকে লক্ষ্যের অনেকটা কাছাকাছি নিয়ে গেলেও জেতানো সম্ভব হয় নি কেদার যাদবের পক্ষে। ভারত ম্যাচ হারে ৫ রানে।
২. ইংল্যান্ড বনাম ভারত, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল, ২০১৩
৬ ঘন্টা বৃষ্টি শেষে খেলা ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২০ ওভারে নামিয়ে করা হয়। প্রথমে ব্যাট করে পুরো ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড কারন উমেশ যাদবের বলে দ্রুতই প্যাভিলিয়নে ফেরেন কুক এবং পরে স্পিনারদের শিকার হন ট্রট ও বেল।
তবে হাক হাল ছেড়ে দেয় নি ইংল্যান্ড। রবি বোপারা ও ইয়ন মরগান ৬৪ রানের এক পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ম্যাচে ফেরান। তবে ইশান্ত শর্মার দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচ জেতা হয় নি ইংল্যান্ডের। একই ওভারে বোপারা ও মরগানকে ফেরান তিনি।
শেষ ওভারে ১৫ রানের দরকার হয় ইংল্যান্ডের। তবে স্পিনার অশ্বিনের করা ওভারে মাত্র ১০ রান নিয়েই থামতে হয়েছিল তাদেরকে।
১. ভারত বনাম ইংল্যান্ড, গ্রূপ পর্বের ম্যাচ, আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ, ২০১১
২০১১ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের সাথে জেতার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় স্বাগতিক ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ৩৩৯ রানের বড় টার্গেট দেয় ইংল্যান্ডের সামনে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার দারুণ শুরু এনে দেয় ইংল্যান্ডকে। কেভিন পিটারসেন ৬৮ করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও স্ট্রস অপর প্রান্ত থেকে সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১৫৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন স্ট্রস। তবে এরপরও দলকে জয়ের বন্দরে পৌছাতে পারেননি তিনি। ইংল্যান্ড জয়ের কাছাকাছি গেলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি টাই হয়।