ইংল্যান্ড এবং ভারতের মধ্যে ৫ টেস্ট ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট আগামি ১ আগষ্ট থেকে এজবাস্টন বার্মিংহ্যামে খেলা হবে। এই সিরিজের প্রথম তিন টেস্টের জন্য দল ঘোষণা আগেই করে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় দল এই সিরিজ জিতে গত দুটি সিরিজের বদলা অবশ্যই নিতে চাইবে। যদি কোহলিকে এই টেস্ট জিততে হয় তাহলে তাকে তাকে এই দল নিয়ে মাঠে নামতে হবে।
ওপেনিং ব্যাটসম্যান
শিখর ধবন মুরলী বিজয়
ভারতীয় দলের সবচেয়ে বড় মাথা ব্যাথা ওপেনিং জুটিকে নিয়েই। দলের কাছে কেএল রাহুল, শিখর ধবন এবং মুরলী বিজয় এই তিনটি বিকল্প রয়েছে। এই তিনজনের মধ্যে যে কোনও দুজনই সুযোগ পেতে পারেন। এই অবস্থায় ধবন এবং বিজয়ের জুটিই সেরা হবে। কারণ আফগানিস্থানের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক টেস্টে এই দুজনেই শতকীয় ইনিংস খেলেছিলেন।
মিডল অর্ডার
চেতেশ্বর পুজারা
ভারতীয় টেস্ট দলে রাহুল দ্রাবিড়ের জায়গা নেওয়া চেতেশ্বর পুজারার ব্যাট ভারতে তো যথেষ্ট চলেছে, কিন্তু ভারতের বাইরে এখনও পর্যন্ত তিনি কোনও স্মরণীয় প্রদর্শন করেন নি। পুজারা এবছর কাউন্টিতেও খুব একটা কিছু প্রদর্শন করে দেখাতে পারেন নি। তা সত্ত্বেও তার কাছে ইংল্যান্ডে খেলা যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই কারণেই তিনি এই ম্যাচে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ একজন প্লেয়ার।
বিরাট কোহলি
ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি দলের প্রধান ব্যাটসম্যান, আর ভারতীয় দলের ব্যাটিং তার চারপাশেই ঘোরাফেরা করে। ২০১১৪য় কোহলি ব্যাট সম্পূর্ণ শান্ত ছিল। ২০১৪য় পাঁচটি টেস্টে তার ব্যাট থেকে মাত্র ১৩৪ রানই বেরিয়েছিল। এবার কোহলি নিজেই অধিনায়ক এবং এবং দলের সম্পূর্ণ দায়ভার এবার তার কাঁধেই রয়েছে।
অজিঙ্ক রাহানে
রাহানে গত কিছু বছরে বিদেশে সবচেয়ে সফল ভারতীয় ব্যাটসম্যান থেকেছেন। গত সফরে ভারতীয় দল লর্ডসের টেস্ট জিতেছিল, আর সেই টেস্টে রাহানে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এবারও দলের সহ অধিনায়কের উপর দলের সংকটমোচন হওয়ার দায়িত্ব থাকবে।
উইকেটকীপার
ঋষভ পন্থ
টেস্ট দলে ঋষভ পন্থকে দ্বিতীয় উইকেটকীপার হিসেবে রাখা হয়েছে। কিন্তু তাকে প্রথম ম্যাচে সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ তিনি গত প্রায় ১ মাস ধরে লাগাতার ভারতীয় এ দলের হয়ে ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলে চলেছেন। অন্যদিকে কার্তিক এই সিরিজের মাত্র একটি ম্যাচই খেলেছেন। সম্প্রতি ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে হওয়া ম্যাচে যেখানে দলের বাকি সব ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছেন সেখানে পন্থ দুই ইনিংসেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।
অলরাউন্ডার
হার্দিক পান্ডিয়া
হার্দিক পাণ্ডিয়া সেই খেলোয়াড়, যিনি ইংল্যান্ডের দলের হার বা জয়ে বড় ব্যবধান তৈরি করে দিতে পারেন। পান্ডিয়া যদি এই সিরিজের ভাল প্রদর্শন করে দেন তাহলে এটা স্পষ্ট হয়ে যাবে যে তিনি ক্রিকেটের তিনটি ফর্ম্যাটেই একই রকমভাবে খেলতে পারেন। পান্ডিয়া এখনও পর্যন্ত তো ব্যাট হাতে দলের হয়ে ঠিক ঠাক পারফর্মেন্স দেখিয়েছে, কিন্তু বল হাতে তেমন বিশেষ কিছুই করে উঠতে পারেন নি।
স্পিনার
রবিচন্দ্রন অশ্বিন
কুলদীপ যাদব টি২০ এবং ওয়ানডেতে অবশ্যই দুর্দান্ত পারফর্মেন্স দেখিয়েছেন, কিন্তু প্রথম টেস্ট ম্যাচে ভারতের অশ্বিনকেই খেলানো উচিত। তিনি বলের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দলের হয়ে প্রভাব ফেলতে পারেন। যদি প্রথম টেস্টে তার পারফর্মেন্স আশানুরূপ না হয় তাহলে সেক্ষেত্রে কুলদীপকে পরের ম্যাচ গুলোতে সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
জোরে বোলার
মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব, ঈশান্ত শর্মা
চোটের কারণে যেখানে ভুবনেশ্বর কুমার প্রথম তিনটি টেস্টে দলে জায়গা পান নি, সেখানে বুমরাহও প্রথম টেস্ট খেলতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে দলের জোরে বোলিংয়ের দায়িত্ব উমেশ, শামি এবং ঈশান্তের কাঁধে থাকবে। এছাড়াও দলের হাতে শার্দূল ঠাকুরও বিকল্প হিসেবে রয়েছেন। কিন্তু প্রথম টেস্টে জন্য অভিজ্ঞদের খেলানোই উচিত।