দেশের ২৭ বছর বয়সী এক মহিলা কবাডি খেলোয়াড় দিল্লির বাবা হরিদাস নগরে তার কোচের দ্বারা ধর্ষণ এবং ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ করেছেন। ২০১২ সালে মুন্ডকার কাছে হিরনকুদনায় একটি কবাডি প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় এটা ঘটে। তারপর ২০১৫ সালে তার কোচ তার সম্মতি ছাড়াই তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সব মিলিয়ে গোটা বিষয়টা নিয়ে দেশের ক্রীড়া মহলে যথেষ্ট জলঘোলা শুরু হয়ে গিয়েছে।
শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করা হয়
এই বিষয়টা নিয়ে সেই মহিলা কবাডি খেলোয়াড় তার কোচ সম্পর্কে বলেছিলেন যে ২০১৫ সালে তার সম্মতি ছাড়াই তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছিলেন এবং তারপর ২০১৮ সালে জেতার পর প্রাপ্য অর্থের একটি বড় অংশ তাকে নিতে বাধ্য করেছিলেন। মহিলা খেলোয়াড় জানিয়েছেন যে এই সময়ে কোচ জোগিন্দর জোর করে তার অ্যাকাউন্টে ৪৩.৫ লক্ষ টাকা স্থানান্তর করেছিলেন। ২০২১ সালে তার বিয়ে হয় এবং অভিযুক্তরা আবার তাকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে। অভিযুক্ত কোচ ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস করার হুমকি দিয়ে মহিলাকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন।
ভুক্তভোগীকে আদালতে হাজির করা হয়
বর্তমানে পুলিশ মামলা দায়ের করে তদন্ত করছে। ভুক্তভোগীকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল যেখানে CRPC-র ১৬৪ ধারার অধীনে তার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে, মামলার তদন্তকারী ডিসিপি দ্বারকা এম হর্ষবর্ধনের মতে, আইপিসির ৩৭৬ এবং ৫০৬ ধারায় কোচের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, মহিলা কবাডি খেলোয়াড়রা এশিয়ান গেমসে রুপোর পদক জিতেছিল। পাশাপাশি ওই মহিলা খেলোয়াড় তার কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে, কোচ তাকে দীর্ঘ সাত বছর ধরে শারীরিকভাবে হেনস্থা করছিলেন।