আসামের বর্ষাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa Test Series) বিপক্ষে লজ্জাজনক হারের পর ভারতীয় দল এই মাঠের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে মাঠে নেমেছিল। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই পিছিয়ে পড়েছে ঋষভ পান্থরা (Rishabh Pant)। প্রথমে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের দাপটে চাপে পড়ে যায় ব্লু ব্রিগেডরা।
সেনুরান মুতুসামির (Senuran Muthusamy) দুরন্ত শতরানে প্রথম ইনিংসের দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৮৯ রান সংগ্রহ করে। এই পিচে কেএল রাহুলরাও (KL Rahul) বড়ো ইনিংসে গড়বে বলে ভক্তরা মনে করেছিলেন। কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারের দুর্ভাগ্যজনক পারফর্মেন্স রীতিমতো হতাশ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলের মুখে পড়েছেন সাই সুদর্শন (Sai Sudarshan), ধ্রুব জুরেলরা (Dhruv Jurel)।
Read More: ঘোর আনন্দে নেমে এলো কালো মেঘ, হৃদরোগে আক্রান্ত স্মৃতি মান্ধানার বাবা !!
ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়-

দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া বিপুল রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ওপেনিং করতে আছেন কেএল রাহুল এবং যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। দু’জনে মিলে ১২৯ বলে ৬৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। রাহুল ২২ রানে আউট হয়ে গেলেও যশস্বী স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান। ৯৭ বলে ৫৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি। কিন্তু এরপর টপ অর্ডারে আর কেউ সেইভাবে ছন্দে ছিলেন না। সাই সুদর্শন (Sai Sudarshan) মাত্র ১৫ রান করে মাঠের বাইরে চলে যান।
ধ্রুব জুরেল প্রথম ইনিংসে খাতাই খুলতে পারেননি। এইরকম পরিস্থিতিতে অধিনায়ক ঋষভ পান্থ (Rishabh Pant) দলের হাল ধরবেন বলে ভক্তরা মনে করেছিলেন। কিন্তু তিনি মাত্র সাত রানের ইনিংস খেলে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja) ৬ রান এবং নীতিশ কুমার রেড্ডি ১০ রানের ইনিংস খেলেন। এর ফলে ভারতীয় দল মাত্র ১২২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে যায়। যেই পিচে দক্ষিণ আফ্রিকা সহজে রান সংগ্রহ করেছিল সেই পিচেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের রান তুলতে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে।
এর ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এক ক্রিকেটপ্রেমী লিখেছেন, “এই সিরিজে ৫ টি টেস্ট খেলা হলেও ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫-০ ব্যবধানে হারবে। কারণ তারা বর্তমানে টেস্টে সবচেয়ে খারাপ দল। ইংল্যান্ডের সমতল পিচে ফলাফল দেখে আমরা বোকা হয়েছিলাম। দল নির্বাচনে সম্পূর্ণ রাজনীতি হয়েছে।” “ভারতীয় দলকে শেষ করে দেওয়ার আগে গৌতম গম্ভীরকে প্রধান কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক।” বলেও আওয়াজ তুলছেন সমর্থকরা। “রোহিত শর্মা নেই, বিরাট কোহলি নেই, শুভমান গিল নেই। এবার গম্ভীর ঋষভ পান্থের ওপর দোষ চাপাতে চলেছেন গম্ভীর।” বলে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিচ্ছেন নেটিজেনরা।”