Asia Cup 2025: দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বজায় থাকলো ভারতের বিজয় রথ। হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান। ব্যাট হাতে পাকিস্তান ৯ ওভারে মাত্র ১২৭ রান বানাতে সক্ষম হয়েছিল। জবাবে, টিম ইন্ডিয়া ১৫.৫ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে প্রয়োজনীয় জয় সুনিশ্চিত করে নেয়।
প্রথম বলেই উইকেট নেন হার্দিক

প্রথম বলে একটি অতিরিক্ত রান দেওয়ার পর ইনিংসের প্রথম বলেই হার্দিক পান্ডিয়া পাকিস্তানের ওপেনার ব্যাটসম্যান সাইম আয়ুবকে প্যাভিলিয়নে ফেরান। শুরুতে উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা।
ব্যাকফুটে চলে যায় পাকিস্তান

দ্বিতীয় ওভারে বোলিং করতে আসেন জসপ্রীত বুমরাহ। তিনি গত ম্যাচে পাকিস্তানের হিরো মোহম্মদ হ্যারিসকে প্যাভিলিয়নে ফেরান। বুমরাহকে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে যান তিনি। ৫ বলে ৩ রান বানাতেই সক্ষম হন তিনি এবং পাকিস্তান ৬ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে।
Read More: Asia Cup 2025 IND vs PAK: “বড় ম্যাচে ফের ডোবালো…” ব্যর্থ শুভমান গিল, সহ-অধিনায়কের ব্যাটিংয়ে রুষ্ট নেটজনতা !!
ফর্মে ফিরতে থাকে পাকিস্তান
২ উইকেট হারানোর পর ফর্মে ফিরতে থাকে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। ফখর জামান ও সাহেবজাদা ফারহান দলকে ফ্রন্টফুটে আনতে শুরু করেন। পাওয়ার প্লের মধ্যে দুর্দান্ত পাল্টা আক্রমন করে পাওয়ার প্লেতে ৪২ রান বানিয়ে ফেলে পাকিস্তান।
অক্ষরের ফিরকির জালে জড়িয়ে পড়লো পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা

পাওয়ার প্লে শেষে সূর্যকুমার তাঁর স্পিনারদের ব্যাবহার করতে থাকেন। অষ্টম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ১৫ বলে ১৭ রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফখর জামান। তৃতীয় উইকেট হারিয়ে বেশ সমস্যায় পড়ে পাকিস্তান। পরে আবার অক্ষর প্যাটেলের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে উইকেট হারিয়ে ফেলেন পাকিস্তানি ক্যাপ্টেন সালমান আলী আঘা। ১২ বলে ৩ রান বানিয়ে আউট হন তিনি।
হ্যাটট্রিকের মুখে কুলদীপ
১৩ তম ওভারে বোলিং করতে আসেন কুলদীপ যাদব এবং সেই ওভারেই পাকিস্তানের হাসান নওয়াজ ও মহম্মদ নওয়াজকে আউট করে দেন। ৬৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। ভারতীয় স্পিন আক্রমন সম্পূর্ণরুপে পাকিস্তান দলকে নাজেহাল করে রাখে।
ফাইট ব্যাক করে পাকিস্তান

ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর ফাহিম আশরাফ ও সাহেবজাদা ফারহানের মধ্যে ম্যাচের দ্বিতীয় সর্বাধিক ১৯ রানের একটি পার্টনারশিপ হয়েছিল। তবে, কুলদীপ যাদবের বলে আবার প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফারহান। সর্বাধিক ৪০ রান বানাতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। শেষের দিকে শাহীন আফ্রিদির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান সম্মানজনক স্কোর বানাতে সক্ষম হয়।
সম্মানজনক স্করে পৌঁছায় পাকিস্তান
শেষের দিকে পাকিস্তান দলের অলরাউন্ডার শাহীন আফ্রিদি ১৬ বলে ৩৩ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। পাশাপশি, ৬ বলে ১০ রানের একটি ইনিংস খেলেন সুফিয়ান মুকিম। নির্ধারিত ২০ ওভারে পাকিস্তান ১২৭ রান বানাতে সক্ষম হয়েছিল।
দুরন্ত সূচনা করে ভারত

প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালু করে দেন ভারতের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল। প্রথম বলেই চারের মাধ্যমে খাতা খোলেন অভিষেক এমনকি দ্বিতীয় বলেই এক্সটা কভারের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান তিনি। অন্যদিকে শুভমান গিলও তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান।
শুরুতেই উইকেট হারায় ভারত

স্পিন সহায়ক পিচে রিতিমতন সমস্যায় পড়েছিল পাকিস্তান। তেমনই দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলেই স্ট্যাম্প আউট হয়ে যান গিল। ৭ বলে ১০ রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শুভমান। ভারত ২২ রানে প্রথম উইকেট হারায়।
অভিষেকের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যায় ভারত
অভিষেক শর্মা তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিং বজায় রেখেছিলেন। কেবলমাত্র ১৩ বল খেলেই ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩১ রানের ইনিংস খেলেন। চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে উইকেট হারিয়ে ফেলেন অভিষেক। সেই সময়কালে ভারত ৪১ রানে পৌঁছে গিয়েছিল।
ব্যাটিং ভার সামলান তিলক ও স্কাইয়ের

দুই উইকেট হারানোর পর তিলক ভার্মা ও সূর্যকুমার যাদব দুজনেই বেশ ভালো ব্যাটিং জারি রেখেছিলেন। তিলক ৩১ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩১ রান বানান। অন্যদিকে ক্যাপ্টেন সূর্য তাঁর সাথে ২১ বলে ২৩ রান বানান। দুজনের মধ্যে ৫২ বলে ৫৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল।
স্কাই দুবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয় সুনিশ্চিত করলো ভারত
সূর্যকুমার যাদব ও শিবম দুবের মধ্যে শেষে ২১ বলে ৩৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল। ব্যাট হাতে শেষ পর্যন্ত সূর্যকুমার ৩৭ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৭ রান বানান এবং দুবে ৭ বলে ১০ রানে নট আউট থেকে ১৫.৫ ওভারের মধ্যে জয় সুনিশ্চিত করে।