ওমানকে হারিয়ে এ গ্রুপে শীর্ষে উঠে আসলো টিম ইন্ডিয়া। নিয়মরক্ষার ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। ব্যাট হাতে ভারত প্রথমে ৮ উইকেটে ১৮৮ রান বানায়। রান তাড়া করতে এসে ৪ উইকেটে ১৬৭ রান বানায়। ভারতীয় দল ২১ রানে ম্যাচ জিতে সুপার ফোরের আগে রাজত্ব দেখালো।
দ্রুত উইকেট হারায় ভারত

টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলকে বেশ সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছিল। প্রথম ওভারে চার মেরে খাতা খুলেছিলেন শুভমান গিল। তবে দ্বিতীয় ওভারে তৃতীয় বলে দুরন্ত একটি ইনসুইং বলে শুভমানকে প্যাভিলিয়নে ফেরান ওমানের বামহাতি পেসার শাহ ফাইজল।
Read More: সুপার ফোরে পাকিস্তানের চ্যালেঞ্জ সামলাতে তৈরি ভারত, একাদশে রদবদল কোচ গম্ভীরের !!
পাওয়ার প্লে ঝড় তোলেন সঞ্জু ও অভিষেক

প্রথম দুই ওভারে ভারতের খাতায় ছিল মাত্র ৬ রান। তবে, তৃতীয় ওভার থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করে দেয় ভারত। পাওয়ার প্লের ভিতর ১ উইকেটে ৬০ রান বানিয়ে ফেলে ভারত। অভিষেক পাওয়ার প্লেতে ১৪ বলে ৩৮ রান বানান এবং সঞ্জু ১৪ বলে ১৩ রান বানান। পরপর
দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত
অষ্টম ওভারে ওমানের অধিনায়ক জিতেন রামন্দিকে বোলিংয়ে ফিরিয়ে আনেন। প্রথম বলেই অভিষেক শর্মাকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরে বড় শট খেলতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন অভিষেক। ৩৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অভিষেক। দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ব্যাটিং করতে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ওই ওভারেই নন স্ট্রাইকার এন্ডে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রান আউট হয়ে আউট হয়ে যান হার্দিক।
পরপর উইকেট হারাতে থাকে ভারত

ভারত রান বানালেও লাগাতার উইকেট হারাতে থাকে দল। ৭৩ রানে ৩ উইয়েট হারানোর পর ব্যাটিং করতে আসেন অক্ষর প্যাটেল। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন অক্ষর। সঞ্জু স্যামসনের সাথে ২৩ বলে ৪৫ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল। অক্ষর ১৩ বলে ৩টি চার ১টি ছক্কায় ২৬ রান বানান। অক্ষর আউট হতে শিবম দুবে ব্যাটিং করতে আসেন এবং ৮ বলে মাত্র ৫ রান বানিয়ে উইকেট হারান শিবম দুবে।
প্রত্যাশা পূরণ হয়নি ভারতের
দুবে আউট হওয়ার পর ব্যাটিং করতে আসেন তিলক ভার্মা। স্যামসনের সাথে তিলকের ২৬ এ ৪১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল। ব্যাট হাতে সঞ্জু স্যামসন ৪৫ বলে ৩ টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৬ রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। শেষের দিকে তিলক ভার্মা আগ্রাসী হতে গিলের উইকেট হারিয়ে ফেলেন। ১৮ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৯ রান বানান তিলক।
ব্যাটিংয়ে আসলেন না স্কাই

ভারতীয় ইনিংসের ব্যাটিং ধ্বস দেখা গেলেও শেষের দিকে ব্যাটিংয়ে আসেননি সূর্যকুমার যাদব। শেষের দিকে, অর্ষদীপ ১ বলে ১ এবং ৩ বলে ১ রান বানান কুলদীপ যাদব। হার্ষিত রানা ৮ বলে ১৩ রান বানান এবং ভারতের ইনিংসকে ১৮৮ রানে পৌঁছে দেন।
পাওয়ার প্লে জিতে নেয় ওমান
ভারতের বানানো রান তাড়া করতে এসে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল ওমান। দুই ওপেনার পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৪৪ রানের জুটি গড়েছিলেন। ২৩ বলে ২৬ করেন যোতিন্দর এবং ১৪ বলে ১৫ করেন আমির কালিম। পাওয়ার প্লের ভিতর কোনো উইকেট হারায়নি ওমান।
প্রথম সফলতা আনেন কুলদীপ

ওমানের ব্যাটসম্যানরা রান বানালেও তাদের রান বানানোর গতি ছিল খুবই কম। ক্যাপ্টেন যোতিন্দর ৩৩ বলে ৩২ রান বানিয়ে কুলদীপ যাদবের বলে প্লে ডাউন হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ৫৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় ওমান।
কালিম ও মির্জার পার্টনারশিপে এগিয়ে যায় ওমান
ভারতের বানানো ১৮৮ রান ওমানের কাছে ছিল পাহাড় সমান। রান তাড়া করতে এসে অবশ্য একাধিক বল নষ্ট করেছেন ব্যাটসম্যানরা। দুজনের মধ্যে ৫৫ বলে ৯৩ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল। আমির কালিম ৪৬ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। শেষমেশ হার্ষিত রানার বলে উইকেট হারিয়ে ফেলেন তিনি।
দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিলো ভারত
শেষের দিকে চাপ আরও বাড়তে থাকে ওমানের ব্যাটসম্যানদের। শেষের দিকে হাম্মাদ মির্জা ৩৩ বলে ৫১ রান বনান। বিনায়ক শুক্লা ২ বলে ১ রান বানান। জিতেন রামন্দি ৫ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলেন। ৪ উইকেটে ১৬৭ রান বানায় ওমান। ২১ রানে ম্যাচ জিতলো টিম ইন্ডিয়া।