IND vs AUS: অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কনফার্ম করলো টিম ইন্ডিয়া। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে ২৬৪ রান বানাতে সক্ষম হয়েছিল। যে রান তাড়া করতে এসে, ১১ বল বাঁকি থাকতেই পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে জয় সুনিশ্চিত করলো টিম ইন্ডিয়া।
শুরুতেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া
প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ট্রেভিস হেডের ক্যাচ ফেলে দেন মোহাম্মদ শামি। ট্রেভিস হেডের মতন বড় খেলোয়াড়ের ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন শামি, যা ভারতকে রিতিমতন সমস্যায় ফেলে দেয়। তবে নিজের স্পেলের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার ব্যাটসম্যান কোপার কনোলিকে শূন্য রানের ফেরান শামি।
Read More: CT 2025 IND vs AUS: বিরাট বিক্রমে অস্ট্রেলিয়া কাঁটা উপড়ে ফেললো টিম ইন্ডিয়া, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ‘মেন ইন ব্লু’ !!
পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট তুলে নেয় ভারত

আজকের ম্যাচেও ভারতের মাথা ব্যথা হয়ে উঠেছিলেন ট্রেভিস হেড। প্রথমে মোহম্মদ শামি তার ক্যাচ ফেলে দেওয়াতে হেড আক্রমণাত্মক হাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ভারতীয় পেশারদের বিরুদ্ধে দারুণ ব্যাটিং করছিলেন তিনি। তবে পাওয়ারপ্লের মধ্যেই বরুণ চক্রবর্তীকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। ওভারের দ্বিতীয় বলেই ট্রাভিস হেডকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান বরুণ। ৩৩ বল খেলে পাঁচটি চার এবং দুটি ছক্কার সাহায্যে ৩৯ রানের একটি আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরতে হয়েছিল হেডকে।
স্মিথ ও লাবুশেনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে
পাওয়ার প্লের ভিতরেই ২ উইকেট হারানোর পর অস্ট্রেলিয়া দলকে বেশ দেখে শুনে খেলতে দেখা গিয়েছে। ক্যাপ্টেন স্টিভেন স্মিথ দলকে আজ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাকে দুর্দান্ত সহযোগিতা করেছেন মারনাস লাবুশেন। দুজনের মধ্যে ৮৫ বলে ৫৬ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল।
মধ্য ওভারে জাদেজার বলে কুপোকাত হয় দুই অজি

আজ দুর্দান্ত বোলিং প্রদর্শন দেখিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। ২৩ তম ওভারে মারনাস লাবুশেন ২৯ রানের মাথায় এল বিডব্লিউ বোল্ড করেন। এর পরেই ইনফর্ম ব্যাটসম্যান জোস ইংলিশকে ১১ রানের মাথায় প্যাভেলিয়ানে ফিরিয়ে দেন। মধ্য ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া।
ক্যাপ্টেনস নক খেলেন স্টিভেন স্মিথ

আজ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কঠিন সময়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন স্টিভেন স্মিথ। ভারতের বিরুদ্ধে তাকে ভালো ফর্মে দেখতে পাওয়া যায়। এবারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুটা ভালো না করলেও আজ মেগা সেমিফাইনাল ম্যাচে ৯৬ বল খেলে চারটি চার এবং একটি ছক্কায় ৭৩ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন স্টিভ স্মিথ। তবে মোহম্মদ শামির একটি লো ফুল্টাস বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে যান তিনি।
আলেক্স ক্যারির ব্যাটিংয়ে ভরসা রেখেছিল অজিরা
স্টিভ স্মিথ আউট হয়ে গেলেও অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের দায়িত্ব সামলান এলেক্স ক্যারি। বর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতেও ভারতের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত প্রদর্শন দেখিয়েছিলেন তিনি। আজকের ম্যাচেও তিনি তার ছন্দ বজায় রাখলেন, প্রথমে স্মিথের সঙ্গে তিনি ৫৪ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন। তারপরে ধীরে ধীরে অস্ট্রেলিয়ার ট্যালেন্ডারদের নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সম্মানযোগ্য স্থানে পৌঁছে দিয়েছিলেন।
২৬৪ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং
অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক ৬১ রান এসেছিল আলেক্স ক্যারির ব্যাট থেকে। তিনি ৫৭ বলে ৮ টি ৪ এবং একটি ছক্কায় এই দুর্দান্ত ইনিংসটি খেলেছিলেন। বেন ডওরিসের ব্যাট থেকেও ২৯ বলে ১৯ রানের একটি ইনিংস দেখা যায় এবং শেষের দিকে নাথান এলিস এর ৭ বলে ১০ রানের ইনিংস অস্ট্রেলিয়াকে ২৬৪ রানে পৌঁছে দেয়।
শুরুতেই উইকেট হারান শুভমান-রোহিত দুজনেই

রান তাড়া করতে এসে আবার একবার রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিলকে আক্রমণাত্মক ছন্দ দেখাতে দেখা গিয়েছিল। দ্বিতীয় বলেই চার এর মাধ্যমে ইনিংসের সূচনা করেন রোহিত। প্রথম দিকে দুটি সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি তবে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। মাত্র ৩০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারতীয় দল। শুভমান গিল ১১ বলে মাত্র আট রান বানিয়ে প্যাভেলিয়নের রাস্তা দেখেছিলেন। রোহিত শর্মাকে ফর্মে দেখে অভিষেককারী কনোলিকে বোলিং দেন ক্যাপ্টেন স্মিথ এবং ২৯ বলে ২৮ রান বানিয়ে রোহিত শর্মাকে আউট করেন কোনোলি।
বিরাট শ্রেয়াসের মধ্যে গড়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ

মাত্র ৪৩ রানের মাথায় ভারতীয় দল দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে। যার পর প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং শ্রেয়াস আইয়ার এর মধ্যে একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় দলের মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ভালো ফর্মে দেখা গিয়েছে। তার পাশাপাশি বিরাট কোহলিও এবারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন। মধ্য ওভার গুলির মধ্যে শ্রেয়াস এবং বিরাট কোহলির মধ্যে ১১১ বলে ৯১ রানের একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল।
৪৪ রানের মধ্যেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত

জাম্পার বলে ৬২ বলে ৪৫ রান বানিয়ে পেভিলিয়নে ফিরতে হয় শ্রেয়াসকে। শ্রেয়াস আউট হতে ব্যাটিং করতে আসে অক্ষর প্যাটেল। ৩০ বল খেলে একটি চার এবং একটি ছক্কায় ২৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যদিও নাথান এলিসের বলে বোল্ড আউট হয়ে প্যাভিলিনে ফিরতে হয় অক্ষরকে।
রাহুল-কোহলির জুটি অজিদের দিলো চমক
১৭৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারতীয় দল। তবে এরপর আবার একটি ইনিংস গড়তে শুরু করেন বিরাট কোহলি এবং কেএল রাহুল। দুজনের মধ্যে ৪৬ বলে ৪৭ রানের একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল। ৯৮ বলে ৫ টি চারের সহযোগে ৮৪ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বিরাট কোহলি।
হার্দিক-রাহুলের ব্যাটিংয়ে পরাজয় শিকার অস্ট্রেলিয়া

বিরাট আউট হয়ে গেলে ব্যাটিং করতে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)। ২৪ বলে একটি চার এবং তিনটি ছক্কায় ২৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। পাশাপশি, কেএল রাহুল ৩৪ বলে দুটি চার এবং দুটি ছক্কায় ৪২ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ জয় এনে দেন।