শনিবার ছিল মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুনের জন্মদিন। এই সময় যোগরাজ সিং অর্জুনকে কেক খাওয়ান এবং ভাংড়া নাচ করেন। বর্তমানে সিটি বিউটিফুলে এবং জেপি আত্রে মেমোরিয়াল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছেন। অর্জুন, গোয়া দলের হয়ে খেলছেন, ডিএভি কলেজ সেক্টর-১০-এ বোলিং প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, যুবরাজ সিংয়ের বাবা যোগরাজ সিং তাকে সেক্টর-৯-এর জিমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
কথোপকথনের সময় যোগরাজ সিং বলেছিলেন, “যুবরাজ সিং এবং শচীন তেন্ডুলকারের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তেন্ডুলকারের ছেলের প্রতি আমার অনেক স্নেহ। শনিবার ছিল অর্জুনের জন্মদিন। যখন আমি জানতে পারলাম, আমি এই মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জিমে তার নামে একটি কেক কাটা হয়। আমি অর্জুনকে কেক খাওয়ালাম এবং অর্জুনের হাত ধরে ভাংড়া নাচ করলাম। এই উপলক্ষে গোয়া দলের সদস্যরাও উপস্থিত ছিল।”
অর্জুন মনোযোগ দিয়ে বাবার লেখা বইটা দেখেন
প্রশিক্ষক রাজিন্দর কুমার ঠাকরল, যিনি মাস্টার ব্লাস্টারের উপর ‘শুন সে মহা শতক’ বই লিখেছেন, প্রশিক্ষণের সময় অর্জুনের সাথে দেখা করেন এবং তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। এই সময় তিনি অর্জুনকে শচীনের ওপর লেখা একটি বই উপহার দেন। বাবার লেখা বইটা হাতে নিয়ে পাতা উল্টাতে লাগলেন। এতে তার বাবার সমস্ত নথি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দেখে তিনি খুব খুশি হলেন। একই সময়ে, তিনি এই বইটিতে বাবা শচীনের স্বাক্ষরও যত্ন সহকারে দেখেছিলেন এবং অর্জুন নিজেও বইটিতে তাঁর স্বাক্ষর রেখেছিলেন।
শচীনের বড় ভক্ত
রাজিন্দর কুমার ঠাকরল শচীন তেন্ডুলকারের বড় ভক্তদের একজন। ছেলের নামও রেখেছেন অর্জুন। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে শচীনকে নিয়ে লেখা একটি বই কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল। এর পরে শচীন বইটিতে একটি অটোগ্রাফ দিয়ে তা ঠকরালের কাছে ফেরত পাঠান। এই অর্জনে ঠাকরাল ও তার পরিবার খুবই খুশি। বিশেষ বিষয় হল অর্জুন তার আইপিএল অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছেন। গত বছর মেগা নিলামে তাকে ৩০ লাখ টাকাতে কিনেছিল মুম্বাই দল। কিন্তু অভিষেকের কোন সুযোগই পাননি তিনি। যদিও মুশতাক আলী টফিতে অর্জুন তার আগের দল মুম্বাইয়ের হয়ে ২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তবে এবার আইপিএল তথা জাতীয় দলেও সুজোগ পাওয়ার জন্য মুকিয়ে রয়েছেন তিনি।