দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শতরান হাঁকিয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন এবং তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শতরান হাঁকিয়েছিলেন তিলক ভার্মা। আজকে চতুর্থ ম্যাচে দুজনের ব্যাট থেকেই দেখা গেল শতরান। আজকের ম্যাচের কথা বলতে গেলে অবশেষে চতুর্থ ম্যাচে টস জিতলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) এবং টসে জিতে বিনা কোনো সংকোচেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
টস জিতে এই সিরিজে চতুর্থ বারের জন্য প্রথমে ব্যাটিং করতে আসলো টিম ইন্ডিয়া। প্রথম থেকেই মারমূখী ভূমিকা গ্রহণ করে টিম ইন্ডিয়া। যদিও প্রথম ওভারে অভিষেক শর্মার (Abhishek Sharma) সহজ একটি ক্যাচ ফেলে দেন রিজা হেন্ড্রিক্স। তারপর থেকে রণমূর্তি ধারণ করেন ভারতীয় দলের এই তরুণ তুর্কি। ব্যাট হাতে অভিষেক ১৮ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। অভিষেক আউট হতে ব্যাটিং করতে আসেন তিলক ভার্মা।
গত ম্যাচের ফর্মটি বজন করে আসছেন তিলক, প্রথম থেকে তিনিও মারমূখী ভূমিকা গ্রহণ করেন। আজকের ম্যাচে তার ভাগ্য ছিল সুপ্রসন্ন। তিলকের তিনটি ক্যাচ ফসকে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডাররা। গত ম্যাচে তিলক দলের হয়র ১০৭ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলেছিলেন। তবে আজকের ম্যাচে তিনি তার সেই সর্বাধিক রানের রেকর্ডটিও ভেঙে ফেললেন। সঞ্জুকে দর্শক আসনে রেখে তিনি একেরপর এক বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছিলেন।
যদিও অন্যদিকে শান্ত ছিলেন না সঞ্জু। গত ৫ ম্যাচে এই নিয়ে সঞ্জু তৃতীয় বার শতরানের মুখ দেখলেন এবং এই সিরিজে এটিও তার দ্বিতীয় শতরান। সিরিজের প্রথম ম্যাচে শতরান হাঁকানো সঞ্জু দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে খাতা খুলতেই ব্যার্থ হয়। তবে তৃতীয় ম্যাচে তিনি তার হারিয়ে যাওয়া ফর্ম খুঁজে পেলেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারতীয় দল ১ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রান বানাতে সক্ষম হয়েছে। ৫৬ বলে ৬টি চার এবং ৯টি ছক্কার বিনিময়ে ১০৯ রান বানিয়েছেন সঞ্জু স্যামসন এবং ৪৭ বলে ৯টি চার ও ১০টি ছক্কার বিনিময়ে ১২০ রান বানিয়েছেন তিলক ভার্মা। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের হয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন লুথো সিপামলা।