IND vs ENG: ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কিংসটনে টেস্ট অভিষেক হয়েছিলো বিরাট কোহলির (Virat Kohli)। এরপর এক দশকেরও বেশী সময় ধরে সাদা জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ২০১৩তে শচীন তেন্ডুলকরের অবসরের পর ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বরে উঠে এসেছিলেন দিল্লীর তারকা। ক্রমে জায়গাটিকে নিজের করে নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অসামান্য পারফর্ম্যান্স করেছিলেন বিদেশের মাঠে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডের মত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও একের পর এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তিনি। ২০২০ থেকে খানিক ধাক্কা খেয়েছিলো টেস্টে তাঁর ফর্মের গ্রাফ। পরবর্তী তিন মরসুমেও আর সেরা ছন্দে দেখা যায় নি তাঁকে। ২০২৪-২৫ মরসুমে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির ব্যর্থতার পর আর তাই টেস্ট কেরিয়ারকে দীর্ঘায়িত করতে চান নি কিংবদন্তি তারকা। গত ১২ মে অবসর নেন লাল বলের ক্রিকেট থেকে।
Read More: এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়লেন জসপ্রীত বুমরাহ, সামনে এলো বিস্ফোরক তথ্য !!
বিরাটের শূন্যস্থান পূরণ করেছেন শুভমান-

ইংল্যান্ড সফরের (IND vs ENG) স্কোয়াড ঘোষণার ঠিক আগে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। তাঁর অবসরের পর ব্যাটিং অর্ডারে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিলো তা পূরণ কে করবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছিলো চর্চা। ভাসছিলো সাই সুদর্শন, করুণ নায়ারদের নাম। শেষমেশ সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন নবনির্বাচিত অধিনায়ক শুভমান গিল। ২০২৫-এর সফরের আগে ইংল্যান্ডের মাঠে শুভমানের (Shubman Gill) গড় ছিলো ১৪.৬৬। তিন ম্যাচে মাত্র ৮৮ রান করতে পেরেছিলেন তিনি। নতুন দায়িত্ব, নতুন ব্যাটিং পজিশন সামলে নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন তিনি? সন্দিহান ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু দুর্দান্ত ভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন বছর ২৫-এর তরুণ তুর্কি। ২০১৩ বা ১৪তে বিরাট যেমন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ শচীনের উত্তরসূরি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তেমনই ‘কিং’ কোহলির মুকুট মাথায় চাপিয়েছেন শুভমানও।
লিডসে প্রথম টেস্টেই (IND vs ENG) শতরান করেছিলেন শুভমান (Shubman Gill)। প্রথম ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১৪৭ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য সাফল্য পান নি। ফেরেন ৮ করে। এরপর বার্মিংহ্যামের বাইশ গজে ঝড় তোলেন ভারত অধিনায়ক। প্রথম ইনিংসে করেন ২৬৯। গাওস্করকে টপকে ইংল্যান্ডের মাঠে কোনো ভারতীয়ের খেলা সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের মালিক হন। পরবর্তী ইনিংসে করেন ১৬১। মোট ৪৩০ রান করে একটি টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করার নজির গড়েন তিনি। লর্ডসে দুই ইনিংসে আসে যথাক্রমে ১৬ ও ৬ রান। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথম ইনিংসে ১২ করে ফিরলেও জ্বলে ওঠেন দ্বিতীয় ইনিংসে। তাঁর ১০৩ রানে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। ওভালে বিশেষ সাফল্য পান নি। দুই ইনিংসে করেছেন ২১ ও ১২। চলতি সিরিজের (IND vs ENG) ১০ ইনিংসে ৭৫৪ করে থেমেছেন তিনি।
চার নম্বরে সফল আকাশ দীপ’ও-

ওভালে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে এক নয়া চার নম্বর ব্যাটারের সন্ধানও পেলো টিম ইন্ডিয়া। তিনি-বাংলার আকাশ দীপ। পেসার হিসেবে প্রথম একাদশে জায়গা পেলেও ব্যাট হাতেও তাঁর দক্ষতা যে রয়েছে তা আজ অ্যাটকিনসন, টাং, ওভারটনদের বিরুদ্ধে প্রমাণ করে দিলেন তিনি। গতকাল তৃতীয় সেশনের শেষ পর্যায়ে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নামানো হয়েছিলো আকাশ’কে (Akash Deep)। ২ বলে ৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আজ সকালে যশস্বী জয়সওয়ালের সাথে জুটি বেঁধে ভারতকে যে তিনি শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাবেন তা আন্দাজ করতে পারেন নি কেউই। কিন্তু সেই অভাবনীয় কাণ্ডই করে দেখালেন আকাশ। ড্রাইভ, কাট এমনকি হুকের মত শট’ও মেরেছেন তিনি। ৬৬ করে শেষমেশ আউট হন। ‘একজন নয়, এই মুহূর্তে দু’জন চার নম্বর ব্যাটার রয়েছে ভারতের হাতে,’ আকাশ দীপের পারফর্ম্যান্সের পর মস্করা নেটিজেনদের।
Also Read: IND vs ENG 5th Test: “শেষটা ভালো হলো না…” সাজঘরে শুভমান, অধিনায়কের পারফর্ম্যান্সের হতাশ নেটদুনিয়া !!