বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও (IND vs BAN) জয় পেল ভারত (India)। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের (Bangladesh) দেওয়া ১৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রবিবার ৭৪ রানেই ৭ উইকেট হারিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে অবিচ্ছিন্ন ৭১ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় এনে দেন শ্রেয়াস আইয়ার ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ব্যাট হাতে শ্রেয়াসের চেয়েও বেশি নজর কাড়লেন অশ্বিন। তবে দু’জনের জুটিতেই এই ম্যাচে জয় আসে।
লড়াই করে ম্যাচ জেতান অশ্বিন-শ্রেয়াস
৬২ বলে ৪২ রানের হার না-মানা ইনিংস খেলেন তিনি। আইয়ার অপরাজিত থাকেন ২৯ রানে। এর আগে, টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে ৪ উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। শুরুতেই বল হাতে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগের দিনের অপরাজিত থাকা ‘নাইটওয়াচ ম্যান’ জয়দেব উনাদকাটকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ভারতের দলীয় সংগ্রহ তখন ৫৬।
উনাদকাটের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন ঋষভ পন্থ। এই মারকুটে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৯ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডাব্লিউয়ের শিকার হন তিনি। এরপর ৩৪ রান করা অক্ষর প্যাটেলকে বোল্ড করে দিয়ে টেস্টে নবমবারের মতো পাঁচ উইকেট শিকার করেন মিরাজ। উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে দুই দলের মধ্যে প্রথম টেস্টে ১৮৮ রানে জয় পেয়েছিল ভারত। এই জয়ের ফলে বাংলাদেশকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করল টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচসেরা হয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
ম্যাচের সেরা হয়ে কী বললেন অশ্বিন ?
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর খেলার সেরা হওয়া অশ্বিন বলেন, “আমাদের বেশি ব্যাটিং বাকি ছিল না। এটি সেই ম্যাচগুলির মধ্যে একটি যেখানে আমরা যখনই ম্যাচটিকে শেষ করে দিতে পারতাম এবং তখনই ম্যাচটির একটি ফলাফল পাওয়া যেত। শ্রেয়াস সুন্দর ব্যাটিং করেছে। কখনও কখনও এই পরিস্থিতিতে আপনার মনে হয় যে আপনাকে জিনিসগুলিকে এগিয়ে নিতে হবে। তারা ভাল লাইনে বোলিং করেছে এবং আমি অনুভব করেছি যে আমরা আমাদের রক্ষণভাগের উপর যথেষ্ট বিশ্বাস করি না। শ্রেয়াস যেভাবে ব্যাটিং করেছে তা ভালো লেগেছে। এখানকার পিচগুলো বেশ ভালো। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম বল সত্যিই দ্রুত নরম হয়ে গেছে। বাংলাদেশকে কৃতিত্ব, তারা নির্দিষ্ট মুহূর্তে আমাদেরকে চাপের মধ্যে ফেলেছে। তবে শেষ পর্যন্ত জিততে পেরে আমাদের বেশ ভালো লাগছে।”