IND vs BAN; উপমহাদেশীয় ক্রিকেটের দুই বড় শক্তি ভারত এবং বাংলাদেশ। দুই দল বাইশ গজে মুখোমুখি হলেই হাড্ডাহাড্ডি হয় লড়াই। পড়শি দুই দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেন বিশ্বের ক্রিকেটজনতাও। টি-২০ বিশ্বকাপ হোক বা নিদাহাস ট্রফি, দুই দলের লড়াই মানেই উত্তেজনার সীমা পৌঁছায় চরমে। ঢাকার মীরপুরে শের-ই-বাংলা ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও উপহার দিলো এমনই এক থ্রিলার। প্রতি সেশনেই রঙ বদলালো টেস্ট ম্যাচের। কখনও ভারত এগিয়ে গেলো আবার কখনও চালকের আসনে বসলো বাংলাদেশ। চতুর্থ ইনিংসে মেহদী হাসান মিরাজের বোলিং-এর ধাক্কায় ভারত প্রায় বেসামাল হয়ে গেলেও তাঁদের ম্যাচে ফেরান রবিচন্দ্রণ অশ্বিন এবং শ্রেয়স আইয়ারের জুটি। চোয়ালচাপা লড়াই করে ম্যাচ শেষমেশ পকেটে পুরে নেয় ‘টিম ইন্ডিয়া।’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্টে নিজেদের অপরাজিত তকমা ধরে রেখে ২-০ ফলে সিরিজ জিতলো ‘মেন ইন ব্লু।’ চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে চমৎকার ব্যাটিং করার সুবাদে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হলেন চেতেশ্বর পূজারা (Cheteshwar Pujara)। বেশ কিছুদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন তিনি। প্রত্যাবর্তনেই সাফল্য পেয়ে তৃপ্ত ভারতীয় দলের মিডল অর্ডার ব্যাটার।
কাজে এসেছে বিরতি, স্বীকারোক্তি সিরিজ সেরা পূজারার –

টানা খারাপ ফর্মের জন্য ভারতীয় দল থেকে একসময় বাদ পড়েছিলেন চেতেশ্বর পূজারা (Cheteshwar Pujara)। ক্রিকেটবোদ্ধাদের অনেকে জানিয়েছিলেন বুটজোড়া তুলে রাখার সময় হয়ে গিয়েছে তাঁর। চিরতরে তাঁর জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে জাতীয় দলের দরজা। তবে সকলকে মিথ্যা প্রমাণ করতে নিজেকে কঠিন অনুশীলনে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন পূজারা (Cheteshwar Pujara)। ভারতে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন। খেলেছেন ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট। মাথা নীচু করে লড়ে যাওয়ার ফল পেলেন তিনি। বাংলাদেশ সফরে শুধু খেললেন না, হলেন সিরিজ সেরাও। চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে লড়াকু ৯০ এর পর দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ৫১ ইনিংস পর শতরান করলেন তিনি। সিরিজ সেরা বাছা হয়েছে তাঁকেই। পুরষ্কার পেয়ে তৃপ্ত পূজারা (Cheteshwar Pujara) ধন্যবাদ দিচ্ছেন অনুশীলনকেই। জানিয়েছেন, “ খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ একটা সিরিজ দেখলাম আমরা। আমি নিজের খেলার উন্নতির পেছনে সময় দিয়েছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক সময় কাটিয়েছি। যা এই সিরিজে রান করতে সাহায্য করেছে আমায়। মাঝেমাঝে দুই টেস্ট ম্যাচের মধ্যে সময়ের লম্বা ব্যবধান থাকে, এই সময়টাকে প্রস্তুতির কাজে লাগালে সাফল্য পাওয়া যায়। ক্রিকেটের উন্নতির জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক ভাবে দৃঢ় হওয়া প্রয়োজন। যদি কেউ মানসিকভাবে কঠিন হয়,নিজেকে কঠোর অনুশীলনে নিমগ্ন রাখে, তবে তার সাফল্য নিশ্চিত।”