IND vs BAN: তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ২৭২ রান। রোহিত শর্মার দল ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৬৬ রান করতে সক্ষম হয়। এ দিন, দ্বিতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান করে বাংলাদেশ। ঘরের দলের হয়ে অপরাজিত সেঞ্চুরি খেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার পাশাপাশি মাহমুদউল্লাহ ৭৭ রানের অবদান রাখেন। অন্যদিকে ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। সিরাজ ও উমরান দুটি করে উইকেট নেন। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন শ্রেয়াস আইয়ার।
দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় বাংলাদেশের
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬৯ রানের মাথায় ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে তাকে বাংলাদেশ। আট নম্বরে নেমে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়ে মিরাজ গড়েন ১৪৮ রানের রেকর্ড জুটি। পরে নাসুম আহমেদের সঙ্গে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যান। সিরিজের প্রথম ওয়ানডের মতো মিরাজ এদিনও ছিলেন দুর্দান্ত। ৮ চারের সঙ্গে ৪টি ছয়ে ৮৩ বলে ১০০ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। ওয়ানডে কেরিয়ারের এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি এটি। দরকারী সময়েই শতরান করে দেখালেন তিনি।
কী বললেন মিরাজ?
শুধু ব্যাট নয়, বল হাতেও সমান কার্যকর ছিলেন মিরাজ। দলের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে উইকেট এনে দেন। ফেরান কেএল রাহুল ও শ্রেয়াস আইয়ারকে। এমন অনবদ্য পারফরমেন্সের পর অন্য কাউকে ম্যাচসেরার পুরস্কার দেওয়ার প্রশ্নই ছিল না। ম্যাচসেরা হয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় মিরাজ বলেন, “গত কয়েক বছরে কঠোর পরিশ্রম করে গেছি। বিশেষ কয়েকটি জায়গায় জোর দিয়েছি। এক্ষেত্রে কোচের সহায়তাও পেয়েছি। ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে এমন একটা পারফরমেন্স করতে পেরে সত্যি খুব বালো লাগছে। আশা করছি পরের ম্যাচেও
এছাড়া মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি গড়া নিয়ে তিনি বলেন, “মাহমুদউল্লাহ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। আমরা চেয়েছিলাম জুটিটা বড় করতে। সবশেষে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারার জন্য খুবই ভালো লাগছে।”