IND vs BAN: বর্ষশেষে জমজমাট ক্রিকেট উপভোগ করতে পারলেন অনুরাগীরা। ভারত বনাম বাংলাদেশ মানেই তুঙ্গে টেনশন, নাটকীয়তা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভরা ম্যাচ। নিদাহাস ট্রফি হোক বা টি-২০ বিশ্বকাপ, একের পর এক থ্রিলার উপহার দিয়েছে উপমহাদেশীয় ক্রিকেটের দুই বড় শক্তি। ভারতের বাংলাদেশ সফরও এগোলো একই চিত্রনাট্য মেনে। শুরুতেই জোড়া একদিনের ম্যাচ জিতে ‘টিম ইন্ডিয়া’কে ধরাশায়ী করেছিলো বাংলাদেশ। একাই সিরিজ জিতিয়ে দিয়েছিলেন মেহদী হাসান মিরাজ। পাল্টা দেয় ‘মেন ইন ব্লু’ও। চট্টগ্রামে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে আয়োজক দেশকে ২২৭ রানে হারানোর পর প্রথম টেস্টও জিতে নেয় ১৮৮ রানের বিরাট ব্যবধানে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার হাতছানি রয়েছে ভারতের সামনে, তাই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট জিততেই হত ভারতকে। কিন্তু মীরপুরের মাঠে বাংলাদেশকে হারানো যে কঠিন তা পরিসংখ্যান দেখলেই দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যায়। সেই কঠিন কাজটা অবশ্য করে দেখালেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। পেন্ডুলামের দুলতে থাকা ম্যাচের ভাগ্য ‘টিম ইন্ডিয়া’র পক্ষে নিয়ে এলেন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) এবং শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। স্থায়ী অধিনায়ক রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) জায়গায় বাংলাদেশে নেতার ভূমিকায় ছিলেন কে এল রাহুল (KL Rahul)। টেস্ট সিরিজ জিতে তিনি কৃতিত্ব দিলেন গোটা দলকেই।
দলের ওপর অগাধ আস্থা অধিনায়ক রাহুলের-

দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে ফিল্ডিং-এর সময়ে আঙুলে চোট পেয়ে রোহিত শর্মা যখন ছিটকে গিয়েছিলেন, গেলো গেলো রব উঠেছিলো ভারতের ক্রিকেটমহলে। একে তো একদিনের সিরিজে হার জুটেছে কপালে। তার ওপর অধিনায়কই নেই বাকি সফরের জন্য, এই অবস্থায় ভারতকে নিয়ে বিশেষ আশা দেখছিলেন না অনেক ক্রিকেটবোদ্ধাই। তাঁদের ভুল প্রমাণ করে কে এল রাহুলের (KL Rahul) নেতৃত্বে বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করলো ভারত। অক্ষুণ্ণ রইলো টাইগারবাহিনীর বিপক্ষে লাল বলের ক্রিকেটে ভারতের অপরাজিত তকমা। অধিনায়ক হিসেবে সিরিজ জিতে নিজের অফ ফর্ম ভুলেছেন রাহুল (KL Rahul)। ম্যাচ শেষে প্রশংসায় ভরালেন গোটা দলকে। ভারত যখন ব্যাকফুটে ছিলো, তখন কি মনে হচ্ছিলো অধিনায়কের? জবাবে জানালেন, “ চাপের মুহূর্তগুলোয় যাঁরা বাইশ গজে রয়েছে তাদের ওপর ভরসা রাখতেই হয়। আমরা প্রচুর ক্রিকেট খেলেছি, জানতাম কেউ না কেউ কঠিন সময়ে ম্যাচ জিতিয়ে দেবেই। তবে মিথ্যে বলবো না সাজঘরে আমরা বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম আজ।” পিচ নিয়েও মন্তব্য করেছেন রাহুল (KL Rahul)। বলেন, “ব্যাটিং-এর জন্য কঠিন উইকেট ছিলো এটা। দুই ইনিংসেই ওরা(বাংলাদেশ) ব্যাটিং-এর সময় আমাদের অস্বস্তিতে ফেলেছিলো। বিশেষ করে নতুন বলের বিরুদ্ধে। বল খানিক পুরনো হয়ে গেলে রান করা সহজ হয়ে যায়। নতুন বল কে ভালো খেলবে, তার ওপরেই ম্যাচের ভাগ্য দাঁড়িয়ে ছিলো।” চতুর্থ ইনিংসে হঠাৎ কাঁপুনি ধরলো কেনো ব্যাটিং লাইন আপে? আত্মসমালোচনার সুর অধিনায়কের গলায়। বললেন, “আমরা যেভাবে উইকেট হারিয়েছি, তা কখনোই আদর্শ নয়। তবে শেষমেশ জয় এসেছে, তাতে খুশি।” বোলিং আক্রমণের তারিফ করেছেন তিনি। বলেন, “বিগত কয়েক বছর ধরেই আমাদের বোলিং ভালো পারফর্ম করছে। যখনই বিদেশে টেস্ট খেলেছি, জিতেই ফিরেছি।”