IND vs BAN: টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল এখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি রবিবার, অর্থাৎ ১৬ জুলাই খেলা হয়। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ দল ডিএলএস পদ্ধতির কারণে ভারতকে ৪০ রানে পরাজিত করে। হরমনপ্রীত কৌরের দল লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করে। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। এবার এই সিরিজ জিততে হলে পরের দুই ম্যাচ জিততেই হবে ভারতকে।
ভারতকে প্রথমবার ওয়ানডেতে হারাল বাংলাদেশ মহিলা দল
মহিলা ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম ওয়ানডে ফর্ম্যাটে ভারতীয় দলকে হারাল বাংলাদেশ। এর আগে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কাছে কখনও হারেনি। কোথাও না কোথাও এটা টিম ইন্ডিয়ার জন্য লজ্জাজনক ব্যাপার। যদিও এর আগে দুই দলের মধ্যে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল ভারত। হরমনপ্রীত কৌরের দল টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিততে সফল হয়।
এক নজরে ম্যাচের চালচিত্র
এ দিন, বৃষ্টির কারণে ৫০ ওভারের ম্যাচটি কমিয়ে ৪৪ ওভার করা হয়। রবিবার, টস জিতেছিলেন হরমনপ্রীত কৌর এবং তিনি প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন। টিম ইন্ডিয়ার বোলাররা ভেজা পরিবেশে দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্স দেখিয়ে ৪৩ ওভারে ১৫২ রানের মধ্যে অলআউট করে বাংলাদেশকে। বল হাতে ভারতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আমানজত কৌর। দেবিকা বৈদ্যও পেয়েছেন ২টি সাফল্য। একই সঙ্গে দীপ্তি শর্মাও একটি উইকেট পেয়েছেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের চেয়েও ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ব্যাটিং ছিল বেশি হতাশাজনক। মাত্র ৩৫.৫ ওভারে ১১৩ রানে অলআউট হয়ে যায় গোটা টিম ইন্ডিয়া ব্রিগেড। লড়াকু ব্যাটিং করে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ২০ রান করেন দীপ্তি শর্মা। অন্যদিকে, বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন মারুফা আক্তার। এছাড়া, রাবিয়া খাতুন নেন ৩ উইকেট। আর নাহিদা আক্তার ও সুলতানা খাতুনও পেয়েছেন ১টি করে সাফল্য। শেষ পর্যন্ত ডিএলএস পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ৪০ রানে ম্যাচ জিতে নেয়।