IND vs AUS: নাগপুরে মুখ থুবড়ে পড়ার পর হৃত সন্মান পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়ে দিল্লীর অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আজ নেমেছে অস্ট্রেলিয়া। যেখানে টিকে থাকতেই বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে অজিদের, সেখানে ভারতের সামনে চ্যালেঞ্জ আরও একটা জয় তুলে নিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া। অন্তত দুই ম্যাচের ব্যবধানে অজিদের হারাতে হবে ওভালে টেস্ট ক্রিকেটের মেগা ইভেন্টে স্থান পাকা করার জন্য। নাগপুরে ১-০ ব্যবধানে আগেই এগিয়ে গিয়েছে ‘টিম ইন্ডিয়া।’ দিল্লীতে সেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে চান রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পূজারারা। প্রথম ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে গিয়ে ডুবেছিলো অস্ট্রেলিয়া। আজও টসে জিতে সেই ব্যাটিং’ই বেছে নিলেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। নাগপুরে যেভাবে শামি-সিরাজের পেসে বিপন্ন লাগছিলো অজিদের ওপেনিং জুটিকে আজ অবশ্য তেমন অসহায় লাগে নি তাঁদের। কিছুটা সামলে নিয়েছিলেন ভারতের বোলিং আক্রমণ। রান’ও আসছিলো। ওয়ার্নার ফিরলেও ছন্দে থাকা খোয়াজা (Usman Khawaja) এবং লাবুশেন (Marnus Labushchagne) টানছিলেন অস্ট্রেলিয়াকে। কিন্তু বাধ সাধলেন রবিচন্দ্রণ অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। ফের একবার অশ্বিনাতঙ্কে ভুগে পরপর উইকেট খুইয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে চাপে পড়লো ক্যাঙারুবাহিনী।
অস্ট্রেলীয় ইনিংসের গতিরোধ করলেন অশ্বিন-

নাগপুরের পিচ নিয়ে খেলা শুরুর আগেই বিতর্ক হয়েছিলো বিস্তর। বাস্তবে অবশ্য যত গর্জন হয়েছিলো তার কিছুই তেমন দেখা যায় নি বাইশ গজে। উপমহাদেশের উইকেটে যেমন টার্ন আশা করা যায়, তার থেকে বেশী কঠিন কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে নি জামথা স্টেডিয়ামের পিচ। খেলা শুরুর আগে ভারতের বিরুদ্ধে পিচে কারুকুরীর অভিযোগ তোলা অজি মিডিয়াও ম্যাচের শেষে হারের জন্য অস্ট্রেলীয় ব্যাটারদের স্পিন খেলার দুর্বলতাকেই দায়ী করেন। দিল্লীর পিচ নিয়ে অবশ্য নাগপুরের মত জোরালো বিতর্ক হয় নি। প্রথম দিনের শুরুতে স্পিন নয় বরং স্যুইং এবং বাউন্স দেখলো অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম। স্যুইং ও বাউন্সকে ব্যবহার করতেও দেখা গেলো শামি-সিরাজ জুটিকে। সিরাজের (Mohammed Siraj) একটি শর্ট বলে কিঞ্চিৎ আহত হলেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner)। নাগপুরে যেভাবে বলের লাইন লেন্থ বুঝতে না পেরে উইকেট খুইয়েছিলেন দুই ওপেনার ওয়ার্নার এবং খোয়াজা (Usman Khawaja), দিল্লীতে তা থেকে খানিকটা বেরিয়ে আসতে দেখা গেলো এই জুটিকে। বরং শুরুতে বলের স্যুইং হওয়া আটকাতে এগিয়ে এসে শামি-সিরাজের মোকাবিলা করতে দেখা গেলো দু’জনকে। ৫০ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপের পর ওয়ার্নারকে (১৫) ফেরান শামি (Mohammed Shami)। তিন নম্বরে নেমে মার্নাস লাবুশেন (Marnus Labuschagne) দ্রুত রান তোলায় মন দিয়েছিলেন। ৪টি চারের সাহায্যে ১৮ রানে পৌঁছেছিলেন তিনি। কিন্তু টেস্ট ক্রমতালিকার পয়লা নম্বর ব্যাটারকে থামালেন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। ভারতীয় অফস্পিনারের বলে এলবিডব্লু হলেন তিনি। একই ওভারে অজি ব্যাটিং-এর সবচেয়ে বড় ভরসা স্টিভ স্মিথকেও (Steve Smith) তুলে নেন তিনি। ২ বলে ০ করে আউট হলেন স্মিথ। খোয়াজা ও ওয়ার্নারের হাত ধরে শুরুটা মন্দ না হলেও অশ্বিনের (Ravichandran Ashwin) প্রত্যাঘাতে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে খানিক চাপের মুখে অস্ট্রেলিয়া। ২৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান করেছে তারা। ক্রিজে জমাট দেখাচ্ছে উসমান খোয়াজা’কে (Usman Khawaja)। পাক বংশোদ্ভুত ওপেনার ৭৪ বলে ৫০ করে ক্রিজে রয়েছেন। ৬ বলে ১ রান করে অপরাজিত রয়েছেন ট্র্যাভিস হেড (Travis Head)।