দীর্ঘ সময় ধরে ভারতীয় দলের বাইরে থাকা ঋদ্ধিমান সাহাকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকরা দক্ষিণ আফ্রিমার বিরুদ্ধে হতে চলা টেস্ট ম্যাচে সুযোগ দিয়েছেন। ভারতীয় দলের তরফে পাওয়া এই সুযোগের ব্যাপারে নিজের প্রসন্নতা ব্যক্ত করে ঋদ্ধিমান সাজা বলছেন যে আমাকে দলের তরফে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমি তাতে সফল হতে চাই যাতে আমি দলের জন্য সেরা প্রদর্শন করতে পারি, ম্যাচে ঋষভ পন্থকে সাহায্য করতে পারি।
উইকেটকিপিংয়ের রূপে নির্বাচকদের প্রথম পছন্দ সাহা
ধোনির উইকেটকিপিংয়ের পরে যদি অন্য কারো উইকেটকিপিংকে ভাল মনে করা হয় তো সেটা ঋদ্ধিমান সাহা। তিনি আঙুলে চোট পেয়েছিলেন তারপর আইপিএল চলাকালীন তাকে কাঁধের অপারেশনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। যার জন্য তাকে অনেকদিন পর্যন্ত ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হয়। যারপর এখন তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দলে সুযোগ পেয়েছেন।
দীর্ঘসময় ধরে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা নিয়ে সাহা বলেন,
“আমি যখন ছোটো ছিলাম নিজের জায়গা নিয়ে কখনো অসুরক্ষিত ছিলাম না। বা তো আমার এমন মনে হয়েছিল যে যদি আমার জায়গা আমি হারিয়ে ফেলি তো আমি এই দলে ফিরে আসতে পারব না। যখনই আমি সুযোগ পেয়েছি আমি ভাল করার চেষ্টা করেছি। যখন মাহী ভাই চলে যান তো তারপর আমি নিজের খেলায় ভাল প্রদর্শন করেছি যতক্ষণ না আমি আহত হই”।
সাহা বলেছেন যে যেকোনো খেলা খেলার একটা বয়েস হয়
ডানহাতি ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান নিজের কথা বলতে গিয়ে বলেন,
“সেই সময় আমার কোচ আর আমার পরিবার যথেষ্ট নিরাশ ছিল, যে আমাকে বাইরে বসতে হবে যতক্ষম সব কিছু ঠিক না হয়ে যায়। খেলায় চোট পাওয়া সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু বয়েসের গুরুত্ব রয়েছে। ২০ বছর বয়েসে একজন খেলোয়াড় দ্রুত ঠিক হয়ে যায় কিন্তু আমার মত কোনো ব্যাক্তি জন্য যে ৩০ বছরের বেশী বয়েসী, শরীরের প্রতিক্রিয়া দিতে বেশি সময় লাগে। কিন্তু আমি কোনো দলে নিজের জায়গা হারানোর ব্যাপারে খারাপ অনুভব করে আমার সময় নষ্ট করতে চাইনা। ছেলেবেলা থেকেই আমি পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গী আপন করে নিয়েছিলাম, আর আমি পুনর্বাসন চলাকালনীন পজিটিভ থাকা শুরু করে দিয়েছিলাম। চোটের সার্জারি হওয়া আবশ্যক। নইলে আমি জানতাম না কি হয়েছে”।