ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে আজ পুণেতে চলতি দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিনের খেলা হয়েছে। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার দল নিজেদের দিনের শুরু ৩৬/৩ স্কোর দিয়ে করে।
প্রথম টেস্টের ম্যাচের মতই এবারও অতিথি দলের ব্যাটসম্যানদের ভারতীয় দলের বোলারদের সামনে আত্মসমর্পণ করতে দেখা যায়। উপর দিকের খেলোয়াড়দের মধ্যে অধিনায়ক ফাফ দু’প্লেসিকে (৬৪) ছেড়ে দেওয়া হলে প্রত্যেক দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদের রানের জন্য সংঘর্ষ করতে দেখা গেছে। যদিও নবম উইকেটের হয়ে কেশব মহারাজ আর ভার্নন ফিলান্ডার সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ করে টিম ইন্ডিয়াকে অবশ্যই কিছু সমস্যায় ফেলে দিয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার দল নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৭৫ রানের স্কোরে অলআউট হয়ে গিয়েছে আর টিম ইন্ডিয়া প্রথম ইনিংসের আধারে ৩২৬ রানের লীড পেয়েছে। আফ্রিকার দলের অলআউট হওয়ার সঙ্গেই তৃতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত হয়ে গিয়েছে।
আসুন এক নজর দেখে নেওয়া যাক তৃতীয়দিন হওয়া কিছু রেকর্ডসের দিকে:
১. ফাফ দু’প্লেসি (৪৫৮) টেস্ট ক্রিকেটে নিজের ৪৫০টি বাউন্ডারি পূর্ণ করেছেন।
২. ফাফ দু’প্লেসি (২০৫৮) টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে দু হাজার রান পূর্ণ করেছেন। ফাফ দু’প্লেসির আগে গ্রীম স্মিথ (৮৬৫৯) আর হ্যান্সি ক্রোনিয়ে (২৮৩৩) এই ঐতিহাসিক কৃতিত্ব করে দেখিয়েছেন।
৩. কেশব মহারাজের টেস্ট আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি প্রথম হাফসেঞ্চুরি। এর আগে টেস্টে তার সর্বোচ্চ প্রদর্শন ৪৫ রান অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ছিল।
৪. ভার্নন ফিলাণ্ডার আর কেশব মহারাজ নবম উইকেটের জন্য সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ করেছেন। এটা প্রথমবার যখন এই জুটির মধ্যে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ হয়েছে। এই দুজনে ১০৯ রান যোগ করেছেন।
৫. কেশব মহারাজের (৭২) এটি টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ স্কোর।
৬. কেশব মহারাজ নিজের ৭২ রানের ইনিংসে ১৩২টি বলের মুখোমুখি হয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে তার দ্বারা খেলা এটি সর্বোচ্চ বলের সংখ্যা। গত রেকর্ড ৫৪টি বল যা ভারতের বিরুদ্ধে ২০১৮য় সেঞ্চুরিয়ানে ছিল।
৭. ভার্নন ফিলাণ্ডার ৪৪ রানে অপরাজিত থেকেছেন আর তিনি ১৯২ বলের মুখোমুখি হয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে তার দ্বারা খেলা এটি সর্বোচ্চ বল সংখ্যা। তার আগের রেকর্ড ছিল ২০১৬য় পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৪৩টি বল।
৮. আর অশ্বিন (৫০) দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের ৫০টি উইকেট পূর্ণ করেছেন। দুই দেশের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এই রেকর্ড গড়া তিনি অষ্টম বোলার হলেন।