অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তণ তারকা স্পিন বোলার শেন ওয়ার্ন বিশ্বের সবচেয়ে মহান ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন। শেন ওয়ার্নের মহানতা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। চলতি বছরের গত মার্চ মাসের ৪ তারিখে থাইল্যান্ডে হার্টঅ্যাটাকের কারণে শেন ওয়ার্নের মৃত্যু হয়। নিজের সম্পূর্ণ কেরিয়ারে ওয়ার্ন শুধু ক্রিকেট নিয়েই নয় বরং নানান বিতর্ক আর নিজের রঙিন জীবনের কারণেও আলোচিত হয়েছেন।
শেন ওয়ার্ন থেকেছেন সবচেয়ে বিতর্কিত ক্রিকেটার
ক্রিকেট জগতে শেন ওয়ার্ন একজন কিংবদন্তী ক্রিকেটার ছিলেন। তবে ক্রিকেটের চেয়েও যে কারণে তিনি সবচেয়ে বেশি বিতর্কে থেকেছেন তা হল সেক্স স্ক্যান্ডাল। বারবার নিজের মহিলা ঘটিত সম্পর্কের কারণেই ওয়ার্নকে সবসময়ই একজন খারাপ মানুষ হিসেবে বেশি পরিচিতি দিয়েছে। সারা বিশ্বের বেশ কিছু মহিলা ওয়ার্নের উপর ভীষণই গুরুতর অভিযোগ করেছেন। ওয়ার্নের নামের সঙ্গে সবচেয়ে বিতর্কিত যে ঘটনাটি যুক্ত হয়েছিল তা হল ২০০৬ এ কাউন্টি ক্রিকেট খেলাকালীন ইস্টার্ন লন্ডনের দুই মডেলের সঙ্গে সম্পর্ক জড়িয়ে তার ছবির ভাইরাল হওয়া।
নিজের বইয়ে করেছিলেন ২০০৬ এর সেক্স স্ক্যান্ডালের খোলসা
শেন ওয়ার্ন নিজের আত্মজীবনী ‘নো স্পিন’ এর রিলিজ হয়েছিল ২০১৮ সালে। এই বইয়ে শেন ওয়ার্ন নিজের জীবনের সঙ্গে জড়িতে এবং তার ক্রিকেট কেরিয়ারে ঘটনা সমস্ত কিছুই খোলসা করে লিখেছেন। এর মধ্যে তিনি ২০০৬ এ এই চর্চিত সেক্স স্ক্যান্ডালেরও খোলসা করেছেন।এই সেক্স স্ক্যান্ডালে শেন ওয়ার্নকে দুই ২৫ বছর বয়েসি নিউজিল্যান্ডের মডেলের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল, এবং তাঁকে ভীষণই সন্ধিগ্ধ এবং আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গিয়েছিল।
শেন ওয়ার্নের এই সেক্স স্ক্যান্ডালের খোলসা
শেন ওয়ার্ন তাঁর আত্মজীবন্তে খোলসা করে লিখেছিলেন, ‘ আমাকে নিউজিল্যান্ডে জন্মানো ২৫ বছর বয়সী মডেল কোরালি ইচিহোল্ডজ একটি ম্যাসেজ লেখেন যে আপনার আমার সঙ্গে এখানে উপস্থিত থাকা উচিত। এই ম্যাসেজ পড়ার পর আমি আমার প্রেমিকার সঙ্গে চুম্বনের একটি ছবি পাঠাই। ও লন্ডনে ছিল আর আমি সাউথহ্যাম্পটনে ছিলাম। কিন্তু ফের আমি বলি আমি এক ঘন্টায় আপনার কাছে উপস্থিত হব। আমি আমার এক সঙ্গী ২৫ বছর বয়েসী মডেল এম্মা কিয়রণীর সঙ্গে ছিলাম। আমি ভদকা আর শ্যাম্পেনের বোতল নিয়ে এম্মার ফ্ল্যাটে পৌঁছাই। তারপর সেখানে কোরালিও উপস্থিত হয়, ও উঠে যায় আর আমরা ডান্স করি। একে অপরকে চুম্বন করি আর ফের সেক্সের উত্তেজনা হতে থাকে।
ফের আমি বলি আমাকে খারাপ ভেবো না খালি লেগে থাকো। আমি ওখানে বসে খুশি ছিলাম। আমি ওখানে বসে স্মোক আর ড্রিংক করতে থাকি। আর ওই দুজন নিজের কাপড় খুলতে থাকে। ওরা দুজন এখন খালি ব্রা আর প্যান্টিতে চলে আসে। ওরা একটি সেক্স টয় বার করে। আমরা আবারও ড্রিংক করি আর একে অপরকে চুম্বন করতে থাকি। আমি ওদের পুরো কাপড় খুলে দিই। আর দেওয়ালের দিকে বিছানায় টেনে নিই।
এই দিনের পর উইকের একজন নিউজ ট্যাবলেটের সম্পাদক আমাকে কল করেন আর বলেন যে তার কাছে আমার এই ঘটনার ছবি রয়েছে। আমি তারপর ভীষণই নিরাশা প্রকাশ করি। আপনারা বিশ্বাস করবেন না যে ওই ছবি আমার এক বন্ধু ওই সম্পাদককে বেচে ছিলেন। আমার বন্ধু অন্য কামরায় লুকিয়ে ক্যামেরায় ছবি তুলেছিল। আমি এই ঘটনাকে মেটানোর জন্য কড়া সংঘর্ষ করেছিলাম।