Suryakumar Yadav: এশিয়া কাপে এখনও পর্যন্ত গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোর মিলিয়ে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। দুইবারই সহজ জয় পেয়েছে ‘মেন ইন ব্লু।’ উপমহাদশের দুই বৃহৎ ক্রিকেটীয় শক্তির বাইশ গজের দ্বৈরথ বিশেষ চিত্তাকর্ষক না হলেও মাঠের বাইরের লড়াইতে কিন্তু দেখা গিয়েছে নাটকের পর নাটক। ‘হ্যান্ডশেক’ বিতর্ক, সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) ব্যাখ্যা, সাহিবজাদা ফারহানের সেলিব্রেশন বা হারিস রউফের (Haris Rauf) অঙ্গভঙ্গি-সব কিছুর সাথেই জুড়ে গিয়েছে গত এপ্রিলের পহলগাম হামলা ও মে’র অপারেশন সিঁদুর। ক্রিকেটের সাথে রাজনীতির এই সহাবস্থানের ফলে খেলার দুনিয়ায় যে এক অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা বলাই যায়। সীমা লঙ্ঘন করেছে ভারত, আইসিসি’র কাছে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছে পাকিস্তান। পিছিয়ে নেই বিসিসিআই’ও। পাক শিবিরের দিকে আঙুল তুলেছে তারাও।
Read More: Asia Cup 2025 IND vs SL: নিয়মরক্ষার ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, বোলিং বিভাগে রদবদল করছে আসালঙ্কার দল !!
সূর্যকুমারের বিরুদ্ধে তদন্তে আইসিসি-

গত ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিলো ভারত। টসের সময় প্রথা মেনে পাক অধিনায়ক সলমন আলি আঘা’র (Salaman Ali Agha) সাথে হাত মেলান নি ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করার পর পাকিস্তানের অন্যান্য ক্রিকেটারের সাথেও করমর্দন করেন নি তিনি। সঙ্গী শিবম দুবে’কে সাথে নিয়ে দ্রুত মাঠ ছাড়েন। সেদিন হাত মেলাতে এগিয়ে আসেন নি ভারতের কেউই। বরং ড্রেসিংরুমের দরজা বন্ধ করে দেন তাঁরা। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সূর্য (Suryakumar Yadav) জানিয়েছিলেন, “পহলগাম জঙ্গী হামলায় নিহতদের পরিবারের পাশে আছি আমরা। ওনাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই। এই জয় আমাদের সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করছি।” পরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “দেশের সরকার, বোর্ড ও আমরা একই অবস্থানে রয়েছি। কিছু কিছু বিষয় স্পোর্টসম্যান স্পিরিটেরও উর্দ্ধে।”
সূর্যের (Suryakumar Yadav) মন্তব্যে অসন্তুষ্ট হয়েছিলো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ভারত অধিনায়কের বিরুদ্ধে ‘অখেলোয়াড়োচিত’ আচরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলো তারা। খেলার সাথে রাজনীতি মেশানোর জন্যও কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিলো তাঁকে। টুর্নামেন্টের মাঝেই সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে চায় কেন্দ্রীয় ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। পিসিবি’র দায়ের করা দু’টি অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত যে শুনানি শুরু হতে চলেছে তা ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে গতকাল ই-মেল করে জানিয়েছিলেন ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন। হিন্দি সংবাদমাধ্যম দৈনিক জাগরণ সূত্রে খবর যে সেই শুনানি নাকি সম্পন্ন হয়েছে আজই। এখনও পর্যন্ত রায় ঘোষণা করে নি আইসিসি। তবে মনে করা হচ্ছে এবারের মত সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হবে ভারতীয় অধিনায়ককে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শুক্রবারের ম্যাচ বা রবিবারের ফাইনাল খেলতে অসুবিধা হবে না তাঁর।
অভিযোগ দায়ের করেছে ভারত’ও-

গত ২১ তারিখ সুপার ফোরের ম্যাচে অর্ধশতক করার পর বন্দুক চালানোর ভঙ্গিতে সেলিব্রেশন করতে দেখা গিয়েছিলো ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান’কে (Sahibzada Farhan)। খেলার মাঠে এহেন উদ্যাপন ভুল বার্তা দিতে পারে বলে মনে হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা’র। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক, আইসিসি’কে অনুরোধ করেছে বিসিসিআই। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে হারিস রউফের (Haris Rauf) বিরুদ্ধেও। গত রবিবার বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে ভারতীয় দর্শকদের দিকে হাতের ভঙ্গিতে ‘৬-০’ দেখিয়েছিলেন তিনি। অপারেশন সিঁদুরে পাক ভূখণ্ড ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গীঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা। প্রত্যাঘাতে ব্যর্থ পাক সেনাবাহিনী কোনো প্রমাণ ছাড়াই দাবী করতে থাকে যে তারাও নাকি ভারতের ৬টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। এই অসমর্থিত দাবীই সেদিন মাঠে তুলে ধরেছিলেন হারিস। আগামীকাল শুনানি হতে পারে ফারহান ও হারিসের।
Also Read: “কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা…” বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নড়বড়ে ব্যাটিং পাকিস্তানের, নেটদুনিয়ায় পড়তে হলো তোপের মুখে !!