টেস্ট ক্রিকেটকে নতুন প্রজন্মের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য আইসিসি (ICC) একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC) জন্য টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিযোগিতামূলক লড়াই আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এই টুর্নামেন্টে প্রথম দুই বছর ভারত ফাইনালে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু তারা ট্রফি জয় করতে পারেনি। ২০২৩-২৫ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্রে ফাইনালে সম্প্রতি মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমবারের মতো প্রোটিয়ারা এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস তৈরি করেছে। এবার আইসিসি (ICC) দ্বি-বিভাগীয় টেস্ট ক্রিকেট চালু করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে।
Read More: অর্জুন-বৈভবের অভিষেক, আফগানিস্তানের বিপক্ষে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ODI দল প্রকাশ করলো BCCI !!
চালু হবে দ্বি-বিভাগীয় টেস্ট ক্রিকেট-

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) প্রথমবারের মতো দ্বি-স্তরীয় টেস্ট ক্রিকেট চালু করার জন্য চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করার জন্য একটি ৮ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। তারা বছরের শেষ নাগাদ আইসিসিকে (ICC) রিপোর্ট দেবে। এই ওয়ার্কিং গ্রুপের সভাপতিত্ব করছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী সঞ্জোগ গুপ্তা (Sanjog Gupta)। এছাড়াও এই গ্ৰুপে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ECB) প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (CA) প্রধান নিবার্হী টড গ্ৰিনবার্গও রয়েছেন।
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্ব ক্রিকেট সংস্থা টেস্ট ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করতে তুলতে চাইছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে লাল বলের ক্রিকেটের পরিধিও বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে আইসিসির (ICC) পূর্ণ সদস্য দেশ হিসাবে মোট ১২ টি দল টেস্ট খেলতে পারে। তাদের মধ্যে শীর্ষ ৯ টি দেশকে নিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করা হয়। তবে নিচের দিকে থাকা দলগুলির ম্যাচে খুব বেশি ক্রিকেটীয় লড়াই দেখতে পাওয়া যায় না। ফলে এই ম্যাচগুলি আর্থিকভাবে খুব একটি লাভজনক নয়।
দ্বিতীয় বিভাগে থাকবে পাকিস্তান-

দ্বি-স্তরীয় টেস্ট ক্রিকেট খেলা হলে অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং ইংল্যান্ড একে অপরের বিপক্ষে তিন বছরে দুটি করে টেস্ট সিরিজ খেলার সুযোগ পাবে। বর্তমানে এই দলগুলি একে অপরের বিপক্ষে চার বছরে দুবার টেস্ট সিরিজ খেলার সুযোগ পায়। দ্বি-স্তরীয় টেস্ট ক্রিকেটে ৬ টি করে দলকে দুটি বিভাগে বিভক্ত করে দেওয়া হবে। এর ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সহ টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে নিচের দিকে থাকা দলগুলি প্রাথমিকভাবে দ্বিতীয় বিভাগে থাকবে এবং ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলগুলির বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে পারবে না।
২০২৭ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC) আসন্ন চক্রে এই নিয়ম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে আইসিসির (ICC)। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে নতুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC) চক্রে যাত্রা শুরু করেছে ভারতীয় দল। বর্তমানে এই সিরিজে ব্লু ব্রিগেডরা ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ ২৩ জুলাই থেকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া শুভমান গিলের (Shubman Gill) দল।