আগামী মাসের ১৯ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (CT 2025)। প্রধান আয়োজক হিসেবে রয়েছে পাকিস্তান। কেবলমাত্র ভারতের ম্যাচগুলি আয়োজিত হচ্ছে দুবাইতে। এখনও পর্যন্ত লাহোর, করাচী ও রাওয়ালপিন্ডির পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ সম্পূর্ণ করতে পারে নি পিসিবি। যত সময় কমে আসছে ততই চাপ বাড়ছে তাদের উপর। চিন্তার ভাঁজ আইসিসি কর্তাদের কপালেও। তবে ইতিমধ্যে টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রায় তিন দশক পর পাকিস্তানে বসছে বড় মাপের কোনো প্রতিযোগিতার আসর। আয়োজনে যাতে কোনো ত্রুটি না থাকে তা নিশ্চিত করাই এখন মাথাব্যথার কারণ আয়োজকদের। এই আবহেই বড়সড় রদবদলের পথে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। চার বছর পদ সামলানোর পর আচমকাই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জেফ অ্যালারডাইস (Geoff Allardice)।
Read More: ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন নীতিশ রেড্ডি, পছন্দের KKR তারকাকে সুযোগ দিলেন গম্ভীর !!
ইস্তফা দিলেন আইসিসি’র সিইও-
ক্রিকেট প্রশাসনে নতুন নয় জেফ অ্যালারডাইস (Geoff Allardice)। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০১২ থেকে রয়েছেন আইসিসি’তে। জেনেরাল ম্যানেজার অফ ক্রিকেট পদে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। ২০২০তে মনু সাহনি সরে যাওয়ার পর সিইও হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। ২০২১ সালের নভেম্বরে পান পূর্ণ সময়ের দায়িত্ব। প্রায় চার বছর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে থাকার পর সরে দাঁড়ালেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (CT 2025) শুরুর দিন কুড়ি আগে ইস্তফাপত্র জমা করেছেন তিনি। সেখানে জেফ জানিয়েছেন, “ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের সিইও পদে থাকা আমার জন্য খুবই গর্বের বিষয়। বিশ্বের দরবারে ক্রিকেটকে পৌঁছে দেওয়া বা আইসিসি সদস্যের জন্য অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা তৈরির মত যে বিষয়গুলি আমরা অর্জন করতে পেরেছি তার জন্য আমি গর্বিত।”
“আমি আইসিসির চেয়ারম্যান, বোর্ড অফ ডায়রেক্টরস ও সম্পূর্ণ ক্রিকেটদুনিয়াকে ধন্যবাদ জানাতে চাই গত ১৩ বছর সমর্থনের হাত আমার দিকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য। আমি মনে করি যে সরে দাঁড়ানোর জন্য এটাই সেরা সময়। আমি নিশ্চিত যে ক্রিকেটের জন্য আগামীতে ভালো সময় আসতে চলেছে। আমি আইসিসি ও ক্রিকেটসমাজকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই, ” সংযোজন তাঁর। বাইশ গজের দুনিয়া থেকে সরে দাঁড়িয়ে নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে চান, বিদায়বার্তাও জানিয়েছেন জেফ (Geoff Allardice)। তাঁর বিদায়ের সিদ্ধান্ত কতটা স্বতঃস্ফূর্ত ছিলো তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন কেউ কেউ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের ক্ষেত্রে অব্যবস্থা, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (CT 2025) আয়োজন নিয়ে অহেতুক জটিলতা সৃষ্টির মত বিষয়গুলি নিয়ে ক্ষোভ জমেছিলো অ্যালারডাইসের বিরুদ্ধে। ইস্তফার নেপথ্যে সেই কারণগুলিও থাকতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
বার্তা দিয়েছেন চেয়ারম্যান জয় শাহ-
গত ১ ডিসেম্বর আইসিসি’র কনিষ্ঠতম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জয় শাহ (Jay Shah)। নিউজিল্যান্ডের জেফ বার্কলের ছেড়ে যাওয়া আসনে বসেছেন ভারতের তরুণ ক্রিকেট প্রশাসক। অ্যালারডাইসের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন তিনি। দিয়েছেন বার্তা’ও। প্রাক্তন বিসিসিআই সচিব লিখেছেন, “নিজের মেয়াদকালে যে নেতৃত্ব ও দায়বদ্ধতার পরিচয় জেফ দিয়েছেন তাঁর জন্য আইসিসি বোর্ডের তরফ থেকে আমি ওঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। গোটা বিশ্বে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেওয়াতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। ওঁর কর্মকাণ্ডের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতের জন্য ওনাকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই।” আইসিসি’র তরফে জানানো হয়েছে যে অ্যালারডাইসের উত্তরসূরি সন্ধানের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (CT 2025) আগেই নতুন সিইও’র নাম ঘোষণা করা হবে কিনা সে সম্পর্কে কোনো তথ্য এখনও আনা হয় নি প্রকাশ্যে।