মুম্বই: সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচটি একদিনের এবং একটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে ভারতীয় ক্রিকেট দল। এরপর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল ভারত সফরে আসবে। কিউয়িরা তিনটি একদিনের এবং তিনিট টি-২০ ম্যাচ খেলবে বিরাটদের বিরুদ্ধে। দু’দেশের মধ্যে এই সিরিজ চলবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। নিজেদের মাঠে ভারতীয় দলের খেলার এরপরেও চলতে থাকবে, কারণ তারপরে শ্রীলঙ্কা দল আসবে ভারতে। পূর্ণাঙ্গ এই সিরিজে লঙ্কানরা খেলবে তিনটি টেস্ট, তিনটি একদিনের এবং তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে। এরপরে বিরাট বাহিনী উড়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানে তারা পূর্ণাঙ্গ সিরিজে অংশ নেবে। এখানকার সফরসূচী অবশ্য এখনও চুড়ান্ত হয়নি।
ইতিমধ্যেই ঘরের মাঠে সিরিজের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড( বিসিসিআই)দুটি নতুন ভেন্যু ঠিক করেছে। একটি কেরালার তিরুবনন্তপূরম এবং অন্যটি অন্যটি আসামের বারসপাড়া। সম্প্রতি কলকাতায় বিসিসিআইয়ের ‘ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার কমিটি’ আন্তর্জাতীক ম্যাচ আয়োজনের জন্য এই দুটি স্থানকে বেছে নিয়েছে।
বিসিসিআইয়ের এক কর্তা সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ঘরের মাঠে ২৩টি আন্তর্জাতীক আন্তর্জাতীক ম্যাচ আয়োজিত হবে বলে আশা করছি। এর মধ্যে তিনটি টেস্ট, এগারোটি একদিনের এবং ন’টি টি-২০ ম্যাচ হবে। চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে দেশের প্রতিটা ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজন করা যায়। অসমের বারাসাপাড়া এবং কেরলের তিরুবনন্তপূরম টেস্টে আয়োজনের জন্য অনুমতি পেয়েছে। আমাদের দেশের অধিকাংশ বড় মাঠগুলি একদিনের বা টি-২০ ম্যাচ আয়োজন করতে চাইছে।’
এরই সঙ্গে ওই কর্তাটি আরও যোগ করেন, ‘কোচির নেহরু স্টেডিয়াম, যেখানে সাধারন একদিনের ম্যাচ খেলা হয়ে থাকে। সেখানে এবার অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের কিছু খেলা হবে। আমরা চেষ্টা করছি, সেখানে টেস্ট আয়োজন করতে।এখানে এখনও পর্যন্ত কোনও টেস্ট খেলা হয়নি।ঘরের মাঠের ওই ম্যাচগুলি দেশের অন্তত ১৬-১৮টি ভেন্যুতে হবে।’ প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ভারতীয় দল রয়েছে শ্রীলঙ্কা সফরে। সেখানে বিরাট ব্রিগেড তিন টেস্টের সিরিজ খেলছ। যার প্রথমটি ভারত জিতেছে ৩০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার থেকে, কলম্বোতে।