চন্ডীগড়: হরমনপ্রীত কউরের আর আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। তার চওড়া ব্যাটেই ভর করে ভারত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ছ’বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল। এই একটা ইনিংসেই আসমুদ্র হিমাচল উত্তাল করে দিয়েছেন হরমনপ্রীত। তার মহাজাগতিক ইনিংস ক্রিকেট প্রেমীদের মনে করিয়ে দিয়েছে ৩৪ বছর আগের ‘হরিয়ানা হ্যারিকেন’ কপিল দেবের অবিস্মরণীয় ১৭৫ রানের ইনিংসকে। কপিলও যে রকম চাপের মুখে সে দিন অপরাজিত ১৭৫ করে ভারতকে একাই জিতিয়েছিলেন, হরমন সেটাই করে দেখান। কপিলের বিরুদ্ধে সে দিন ছিল জিম্বাবুয়ে। হরমনের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর বিধ্বংসী ইনিংসের পুরস্কার পেয়েছেন হরমনপ্রীত কউর৷ বুধবারই তাঁকে ডিএসপি পদে নিয়োগ করে পঞ্জাব পুলিশ৷ ২০১০–১১ সালে পঞ্জাব পুলিশের চাকরি চেয়েও প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের এই পঞ্জাব তনয়া৷ কিন্তু বুধবার মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন হরমনপ্রীত৷ রাজ্যের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ অর্থাৎ ডিজিপি সুরেশ অরোরাকে হরমনপ্রীতের নিয়োগের ফর্ম্যালিটি শেষ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পাশাপাশি প্রশংসা করে হরমনপ্রীতের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷
পুলিশে কাজ করতে পারাটা তাঁর কাছে একটা গর্বের ব্যাপার। পাশাপাশি তিনি নিজেকে সৌভাগ্যবতী বলেও মনে করছেন। হরমনপ্রীত বলেন, ‘পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর আমি নিজেকে অত্যন্ত গর্বিত মনে করছি। ছোটবেলা থেকেই আমার শখ ছিল যে রাজ্য পুলিশের হয়ে আমি কিছু কাজ করব। আজ আমার সেই স্বপ্নপূরণ হয়ে গেল। আমি খুব খুশি। আমি নিজেকে সৌভাগ্যবতী বলে মনে করছি।’ পাশাপাশি তিনি এটাও জানিয়ে দেন যে, ‘এটা খুবই দূর্ভাগ্যজনক যে ফাইনালে আমরা হেরে গিয়েছি। তবে আশা করছি, আগামীদিনে আমরা নিজেদের পারফরম্যান্স আরও উন্নত করতে পারব।’
হরমনপ্রীতের প্রশংসা করতে ভোলেননি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সেমিফাইনালে হরমনপ্রীত অসাধারণ ব্যাট করেছিল। ওর জন্যই অামরা ফাইনালে উঠেছিলাম। হরমনপ্রীত পঞ্জাবের মেয়ে। ওর জন্য অামরা অনেক গর্বিত। ও এখন থেকে পঞ্জাব পুলিশের হয়ে কাজ করবে এবং রাজ্যের পতাকা ওড়াবে। ওকে ডিএসপি পদে নিয়োগ করা হচ্ছে।’