হার্দিক পাণ্ডিয়ার বড়ো খোলসা, নির্বাচকরা এই কারণে দিয়েছেন দল থেকে বাদ

ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউণ্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া আজ দলের সবচেয়ে প্রধান খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। হার্দিক পাণ্ডিয়া গত কয়েক বছরের মধ্যে নিজেকে এক নম্বর অলরাউন্ডার হিসেবে প্রমান করেছেন আর দলের প্রাণ হয়ে উঠেছেন। যদিও গত কিছু মাস ধরে তিনি চোটের কারণে দল থেকে দূরে রয়েছেন।

অ্যাটিটিউডের কারণে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া

হার্দিক পাণ্ডিয়ার বড়ো খোলসা, নির্বাচকরা এই কারণে দিয়েছেন দল থেকে বাদ 1

হার্দিকের চোট থেকে ঠিক হওয়ার সঙ্গেই তিনি সহজেই দলে ফিরে আসবেন। আজ হার্দিক পাণ্ডিয়ার কাছে সেইসব কিছুই রয়েছে যা সমস্ত খেলোয়াড়রাই চান। কিন্তু এমন একটা সময় ছিল যখন হার্দিক পাণ্ডিয়াকে তার আচরণের জন্য দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এতে কোনো দ্বিমত নেই যে হার্দিক পাণ্ডিয়া নিজের অ্যাটিটিউডের কারণেই বেশিরভাগ সময়েই আলোচনার শীর্ষে থাকেন। কিন্তু তাকে তার এই নেগেটিভ অ্যাটিটিউডের কারণেই ভারতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।

হার্দিক পাণ্ডিয়াকে যখন খারাপ অ্যাটিটিউডের কারণে দল থেকে দেওয়াছিল বাদ

হার্দিক পাণ্ডিয়ার বড়ো খোলসা, নির্বাচকরা এই কারণে দিয়েছেন দল থেকে বাদ 2

স্বয়ং হার্দিক পাণ্ডিয়া জানিয়েছেন যে তাকে অনুর্ধ্ব ১৬র দল থেকে খারাপ অ্যাটিটিউডের কারণে বাদ দেওয়া হয়েছিল আর সেই সময় তার বাবারও হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। হার্দিক পাণ্ডিয়া এ ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন যে,

“আমার মনে আছে যে আমার কোচের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের কারণে আমাকে অনুর্ধ্ব ১৭ দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এটা যথেষ্ট হাস্যকর ছিল। আমার মনে আছে কেউ ভাইকে বলেছিল যে আমার অ্যাটিটিউডের প্রবলেম রয়েছে। ১৬ বছর বয়েসে আমি জানতামও না যে অ্যাটিটিউড কি জিনিস। এটা হাস্যকর ব্যাপার ছিল যে কেউ আমাকে অ্যাটিটিউডের ব্যাপারে জানিয়েছিল। সেই কারণে আমি দল থেকে বাদ পড়ি আর সেই সময় আমার বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়। উনি রোজগার করতেন। আর আমি যদি খুব ভুল না হই তো আমি আর ক্রুণাল ওই সময় অনুর্ধ্ব ১৬ বা অনুর্ধ্ব ১৯ দলে খেলার জন্য এক বছরে ৩৫ হাজার টাকা পেতাম”।

অনুর্ধ্ব ১৬ দল থেকে বাদ পড়ার যন্ত্রণা হার্দিকের কথায়

হার্দিক পাণ্ডিয়ার বড়ো খোলসা, নির্বাচকরা এই কারণে দিয়েছেন দল থেকে বাদ 3

হার্দিক পাণ্ডিয়া আগে বলেন যে,

“বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়। তার অফিস যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ক্রুণালও দল থেকে বাদ পড়ে যায়। আমিও বাদ পড়ি। সেই সময় সবকিছু থেমে গিয়েছিল। ৩৫ হাজার টাকা যা এক-দু মাসের জন্য আমাদের সাহায্য করতে পারত তা আসছিল না। আমরা ভালো সময় দেখেছিলাম। আমাদের পরিবার সাধারণ ছিল, কিন্তু সবকিছু হঠাত করে বদলে গিয়েছিল। মানসিকভাবে আমি এটা মানতে পারিনি। আর আমি প্রশ্ন করি আমরাই কেন? তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে এই খেলায় আমি পুরো দম লাগিয়ে দেব”।
ভারতের এই তারকা অলরাউণ্ডার আরো বলেন, “আমি সম্পূর্ণভাবে ক্রিকেটে ডুবে যাই। আমি মানুষের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিই। আমি সম্পূর্ণভাবে পৃথিবী থেকে আলাদা হয়ে যাই। এর পরের বছরও ওরা আমাকে নির্বাচিত করেননি। কিন্তু আমার মনে আছে যে অনুর্ধ্ব ১৯ দলে সহকারী কোচ আর অধিনায়ক আমাকে সুযোগ দেওয়ার দাবী জানান। এরপর নির্বাচকরা আমাকে সুযোগ দেন। আমার মনে আছে যে ওরা বলেছিলেন যে মাত্র একটা সুযোগ দেব। আর আমি যদি ব্যর্থ হই তো ওনারা কিছু করতে পারবেন না”।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *