এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) পর আসন্ন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় দল। ফলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বিসিসিআই (BCCI)। তারকা ক্রিকেটাররা যাতে বেশি করে ম্যাচের মধ্যে থাকেন সেই বিষয়টিকেও নির্বাচকরা মাথায় রেখেছেন। তবে এর মধ্যেই হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) মতো তারকা ক্রিকেটারের চোট সমস্যা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই তারকা অলরাউন্ডারের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে বড়ো আপডেট সামনে এল।
Read More: এশিয়া কাপে ব্যর্থ শুভমান গিল টি-২০ থেকে পড়ছেন বাদ, সহ অধিনায়ক হিসাবে দায়িত্বে এই তারকা !!
দীর্ঘ সময়ের জন্য ছিটকে গেলেন হার্দিক-

ভারতের তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) গত কয়েক বছর একাধিকবার চোট সমস্যার মধ্যে দিয়ে গেছেন। ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের সময় গোড়ালিতে চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025) চলাকালীন আবারও চোট পেয়ে দলকে চাপের মধ্যে ফেলে দেন এই তারকা। টুর্নামেন্টের সুপার ৪’এ শ্রীলঙ্কার (India vs Sri Lanka Match) বিপক্ষে মাত্র এক ওভার বোলিং করেছিলেন পান্ডিয়া। পায়ের পেশিতে চোট পাওয়ার কারণে তাকে মাটির বাইরে চলে যেতে দেখা গিয়েছিল।
এই কারণে ফাইনালে পাকিস্তানের (India vs Pakistan Match) বিপক্ষে একাদশে ছিলেন না এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। বর্তমানে তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শের মধ্যে রয়েছেন। সূত্র অনুযায়ী তাকে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে। কবে আবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে কামব্যাক করবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। অস্ট্রেলিয়ার (India vs Australia Series) বিপক্ষে আসন্ন গুরুত্বপূর্ণ ওডিআই সিরিজে ভারতীয় দলে থাকবেন না বলেই খবর সামনে এসেছে ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এই সিরিজ। অন্যদিকে অজিদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফেরার সম্ভাবনা থাকলেও এখনও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। পুরোনো ছন্দে ফিরে আসার জন্য তার ৬ মাসও সময় লাগতে পারে।
হার্দিকে দুঃখ প্রকাশ-

হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে না খেলতে পারায় এবার তিনি দুঃখ প্রকাশ করলেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই তারকা বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি আমি মিস করেছি। যার জন্য আমি খুবই মর্মাহত। কিন্তু আমাদের ক্রিকেটাররা যেভাবে পারফর্মেন্স করেছে তা অসাধারণ ছিল। তারা নিজেদের আসল রূপটা সকলের সামনে তুলে ধরেছে। টি-টোয়েন্টি সবসময় আগ্রাসী হওয়ার কথা বলে। সহস নিয়ে খেলো এবং এগিয়ে যাও।
আমাদের দল পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে খেলতে শিখেছে। অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma) টুর্নামেন্টে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। তিনি বেশ কিছু ম্যাচে পাওয়ার প্লেতেই দলকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন।” উল্লেখ্য অভিষেক এই বছর এশিয়া কাপে ৭ ম্যাচে ৩১৪ রান তুলে নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হয়েছিলেন। ফলে তাকে সিরিজের সেরার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) পরিবর্তে এশিয়া কাপের ফাইনালে রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) মাঠে নেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।