আজ কটকে দক্ষিণ আফ্রিকার (India vc South Indian T20 Match) বিপক্ষে ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দল নতুন ইতিহাস রচনা করেছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই দলকে ১০১ রানে জয় এনে দিয়ে নায়ক হয়ে উঠেছেন হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং অর্ডার একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সেই রকম সময় এই তারকা অলরাউন্ডার ভরসা হয়ে ওঠেন। তার দেখানও পথে এগিয়ে যায় গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) দল। দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং আক্রমণের সফলতা দলকে আত্মবিশ্বাস জোগায়। বল হাতে ফর্মে ছিলেন আর্শদীপ সিং (Arshdeep Singh) থেকে জসপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah)। তবে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন হার্দিক। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের কামব্যাকের গল্প শোনালেন তিনি।
Read More: “IPL’এর ভবিষ্যত অন্ধকারে…” PSL’এর প্রতি বাড়ছে বিশ্বস্ত তারকাদের আস্থা, মুখ খুললেন আফ্রিদি !!
হার্দিকের দুরন্ত কামব্যাক-

হার্দিক পান্ডিয়া এই বছর এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) সুপার ৪’এ চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন। এর ফলে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 WC 2026) আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজ সুস্থ হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরেন এই তারকা। প্রথম ইনিংসে এক সময় ৭৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। গিল (Shubman Gilll) ৪ রানে এবং অভিষেক (Abhishek Sharma) ১৭ রানে মাঠ ছাড়েন। সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।
এইরকম পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার প্রশংসনীয় ব্যাটিং আজ ভক্তদের মন জয় করে নেয়। ম্যাচে ২৮ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন। ৬ টি চার এবং ৪ টি ছক্কা হাঁকান এই তারকা। ফলে ভারতীয় দল প্রথম ইনিংসে ১৭৫ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। অন্যদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে আর্শদীপ সিং (Arshdeep Singh), জসপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah), বরুণ চক্রবর্তী (Varun Chakaravarthy), অক্ষর প্যাটেল (Axar Patel) ২ টি করে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট সংগ্রহ করে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। এর ফলে ১০১ রানের বিশাল ব্যবধানে প্রোটিয়াদের পরাজিত করে ব্লু ব্রিগেডরা।
হার্দিক পান্ডিয়ার মন্তব্য-

দুরন্ত পারফর্মেন্সের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমি একটু পিছিয়ে থেকে শটগুলো খেলছিলাম। বুঝতে পারছিলাম পিচে কিছু মসলা আছে। বলের টাইমিং’এর ওপর বেশি মনযোগ দিই। আমি যেভাবে ব্যাট করেছি তাতে আমি খুশি। গত ছয়-সাত আমার ফিটনেস ভালো আছে। এর পিছনে কতো পরিশ্রম আছে বলতে চাই না। একই সঙ্গে ৫০ দিন পরিবার ছেড়ে এনসিএতে গিয়ে সময় কাটাতে হয়েছে।
সেই সময় আমি নিশ্চিত করার চেষ্টা করি যাতে সব ঠিক থাকে। যখন আজ সফলতা পেলাম সত্যি ভালো লাগছে। আমি আমার ভূমিকার বিষয়ে স্পষ্ট থাকার চেষ্টা করি। আমি সবসময় নিশ্চিত করি হার্দিক পান্ডিয়া কী চাই সেটা বড়ো বিষয় নয় দল কী চায় এটাই প্রথম। আমি সবসময় আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টারি। কিছুদিন ভালো যায়, কিছুদিন ভালো যায় না। কিন্তু আমার মানসিকতা একই থাকে। ক্রিকেট জীবনে সবসময় দলকে আগে রাখার চেষ্টা করেছি। দেশকে আগে রাখতে চেষ্টা করেছি। এটিই আমার সবচেয়ে বড়ো ইউএসপি এবং এটাই এখানে আসতে সাহায্য করেছে। কোন বোলারকে টার্গেট করতে হবে চিনে নেওয়া দরকার। যখন পরিকল্পনা কাজে আসে সত্যেই ভালো লাগে।”