ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দরমহলে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। এবার ভারতের প্রাক্তন তারকা স্পিনার হরভজন সিংকে (Harbhajan Singh) নিয়ে ফের নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। একসময় ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন হরভজন নিজেই। তবে, আর অশ্বিনের প্রত্যাবর্তনের পর হরভজনের ভারতের ক্যারিয়ার ভেস্তে গিয়েছিল। ক্রিকেট থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার পরে রাজনীতির মঞ্চে সক্রিয় হয়েছেন তিনি। আর এবার শোনা যাচ্ছে, ক্রিকেট প্রশাসনের ক্ষমতার আসনেও জায়গা করে নিতে পারেন ‘টার্বুনেটর’।
বড় পদ পেতে চলেছেন হরভজন

এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আসন্ন পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (PCA) বার্ষিক সাধারণ সভায় হরভজন সিংকে (Harbhajan Singh) প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। তার সাথে, সেপ্টেম্বরে মাসেই অনুষ্ঠিত হতে চলা ওই বৈঠকে সভাপতি, সহ-সভাপতি, সচিব, যুগ্ম-সচিব আর কোষাধ্যক্ষের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ বণ্টন করা হবে। জানা গিয়েছে, কোনো রকম ভোটাভুটি হবে না, বরং আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে নাম ঠিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার হরভজনের উপরেই বোর্ডের গুরুদায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হবে।
Read More: Asia Cup 2025: দুবাইতে দাপট স্পিনারদের, ওমান’কে ৯৩ রানে হারিয়ে দুই পয়েন্ট পেলো পাকিস্তান !!
শুধু পাঞ্জাব নয়, অন্যান্য রাজ্যও প্রতিনিধি পতিবর্তনে প্রস্তুত। মুম্বই ক্রিকেট এসোসিয়েশনের থেকে সঞ্জয় নাইক, কর্নাটক ক্রিকেট এসোসিয়েশনের থেকে রঘুরাম ভাট, হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট এসোসিয়েশনের থেকে অরুণ ধুমল, উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট এসোসিয়েশনের থেকে রাজীব শুক্ল, সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট এসোসিয়েশনের থেকে জয়দেব শাহ, বরোদা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের থেকে প্রণব আমিন এবং তামিলনাড়ু ক্রিকেট এসোসিয়েশনের থেকে আর আই পালানি দের নাম উঠে আসছে বিসিসিআইয়ের তালিকায়।
ভারত-পাক ম্যাচের আগে ভাজ্জির বার্তা

বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ (আপ) হলেন হরভজন। পাশাপশি, তিনি পাঞ্জাব ক্রিকেট এসোসিয়েশনের পরামর্শদাতার দায়িত্বও পালন করছেন। যে কারণে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আসনে তাঁর প্রবেশ একেবারে অযৌক্তিক নয়। অভিজ্ঞতা ও রাজনীতির মিশেলে তাঁকে এই গুরুদায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে। সম্প্রতি হরভজন এশিয়া কাপের মঞ্চে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে বেশ জলঘোলা করেছেন। তাঁর মতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের খেলা উচিত নয়।এশিয়া কাপে এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ ঘিরে হরভজনের কড়া মন্তব্যও তাকে আলোচনায় এনেছে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “অপারেশন সিঁদুরে’র পরও যদি টানাপোড়েন চলতে থাকে, তবে পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক হোক কিংবা ক্রিকেট সম্পর্ক কোনোটাই রাখা উচিত নয়।“